আমি কিন্তু আমার গল্পের চাইতেও বদ ! ঘাড়া ঘাড়ির অভ্যাস ছোটকাল থিকা। ক্যাচালের ধান্দায় কেউ আমার ব্লগে প্রবেশ করলে , তারে খুইজা বাইর কইরা ঘাড়ানি দিতে বেশি টাইম নিমুনা। মনে রাখবেন সামুর সবচাইতে বদ মানুষের ব্লগে আপ্নি প্রবেশ করেছেন। অনেক দিন পরে ব্লগে পোষ্ট করতেছি । ব্লগে নিয়মিত আসা হয় না , ফেসবুকে সবসময় থাকি কিন্তু ব্লগে নিয়মিত থাকি না এটা যেন কেমন একটা ব্যাপার হয়া গেলো ! আসলে ফেসবুক হইতাছে আমার মোবাইলটার মতো যোগাযোগের একটা মাধ্যম ।
আর ব্লগ হচ্ছে আমার কাছে ছবির হাট বা চারুকলায় আড্ডা দেয়ার মতো একটা প্রশান্তি খুজে নেয়ার যায়গা । ব্লগে যতোদিন ধরে পাঠক ও লেখক হিসাবে আছি ততদিনের অভিজ্ঞগতায় কিছু ব্লগীয় ধারনা জন্মেছে সেগুলাই আজকে শেয়ার করবো ।
পোষ্ট এর সাইজ :
ব্লগে পোষ্ট দেয়ার ক্ষেত্রে আমি মনে করি, পোষ্ট খুব বেশি বড় হওয়া উচিত নয় । চার বা পাঁচ প্যারার পোষ্ট হলে ভালো হয় , এতে পাঠকের পড়ার আগ্রহ বারে । একটা বিষয় মাথায় রাখবেন এখানে আপ্নি ছাড়াও আরও লেখকের লেখা আছে , পাঠককে সেই লেখকদের লেখা গুলো পড়ার সুযোগ দিতে হবে ।
প্রয়োজনে পোষ্ট একাধিক পর্ব করুন ।
পোষ্ট এর মেয়াদকাল :
একটা পোষ্ট একজন লেখকের সন্তানের মতো ! কিন্তু প্রতিদিন অথবা দুই একদিন পর পর সন্তান প্রসব করলে সেই সন্তানদের লালন পালন সঠিক ভাবে হয় না । মনে রাখবেন আপ্নার পোষ্ট আপ্নার সন্তানের মতো , পোষ্ট দেয়ার পরে কমেন্ট এর রিপ্লাই সঠিক ভাবে দেয়া উচিত এবং পাঠকের মন্তব্য থেকে কোন কারেকশন আসলে , সেভাবে কারেকশন করা উচিত । একটা পোষ্ট পাঠকের পড়া শেষ হবার আগে আর কোন পোষ্ট দেয়া ঠিক নয় । পোষ্টটাকে আরও বেশি ভালো ভাবে সাজানো যায় কিভাবে তেমন একটা ভাবনা থেকে প্রয়োজনে পোষ্ট দেয়ার পরে আবার পোষ্ট নতুন করে সাজান , পাঠকের কাছে একই পোষ্ট আবারও পড়তে খারাপ লাগবে না ।
লেখক যখন পাঠক
একটা বিষয় মনে রাখবেন ফেসবুকে লেখক বাদেও পাঠক আছে , কিন্তু ব্লগে বেশিরভাগই লেখক, এখানে লেখক নিকধারী পাঠক খুব কম আছে , তাই যদি আপ্নি অইন্য একজন লেখকের লেখা না পড়েন , কমেন্ট না করেন , লাইক না দেন , তাইলে তারও ঠ্যাকা পরে নাই সে আপ্নার লেখা পড়বে । তাই পছন্দের লেখকদের লেখা পড়ুন , কমেন্ট দিন , লাইক দিন । আর আপ্নি যাদের মন্তব্য পেতে ইচ্ছুক তাদের পোষ্টে মন্তব্য করুন ।
অনুসারীত ব্লগ
এই জিনিসটা অনেকরেই দেখছি করেনা !!! কেন করে না সেটা জানি না !!! আপ্নার পছন্দের লেখকদের অনুসারিত করে রাখুন তাতে তাদের লেখা কখনো হাড়িয়ে যাবে না । আর যাদের ব্লগে নিয়মিত কমেন্ট করতে চান তাদেরকেও অনুসারীত করে রাখুন তাতে তাদের নিয়মিত লেখা গুলোতে কমেন্ট করতে পারবেন পড়তে পারবেন ।
ভালো লাগা প্রিয়তে নেয়া
লেখা ভালো লাগলে ভালো লাগা বাটন ক্লিক করুন । ভালো লাগা বা প্রিয়তে নেয়া বাটনে ক্লিক করতে কার্পন্য করবেন না । অনেকে ভালো লাগলো বা প্লাস লিখে মন্তব্য কইরা ভালো লাগা বাটনে ক্লিক করেন না । তখন লেখকের কাছে খারাপ লাগে ।
ইমোটিকন এর ব্যাবহার
কেউ কেউ মন্তব্যে কোন কথা না লিখে শুদু ইমো দিয়া দেয় (আমারও এই দোষ আছে) ! পরিচিত লেখক হলে এটা করা উচিত নয় ।
আচ্ছা যদি এমন বা এমন বা এম ইমো দেয় আর সাথে যদি কোন বক্তব্য না থাকে তাইলে কমেন্টার রিপ্লাই কি হতে পারে বলে মনে করেন ? তাই ইমো দিলেও সাথে একটা কিছু লিখে দিন ।
না পইড়া মন্তব্য দেয়া
কমেন্ট দিয়া লেখকরে খুশি কইরা নিজের পোষ্টে কমেন্ট দেওয়ানোর জন্য প্রচুর কমেন্ট করার একটা সিস্টেম আছে ! আর বেশি বেশি কমেন্ট করতে গিয়া সময় বাচাইতে অনেকে না পইড়া কমেন্ট কইরা ফালায় ! লেখক কমেন্ট এর ধরন দেখে সেটা বুঝতে পারে এবং কষ্ট পায় ।
অ-অনুসারীত পোষ্ট পড়া
অনুসারিতর বাইরেও লেখক হান্টিং এ নামতে হবে । মনে রাখবেন শুধু মাত্র অনুসারিতরাই ভালো লেখক আর অন্যরা ভালো লেখে না এমন না । প্রতিদিন অনুসারীতদের লেখা পড়ে অ- অনুসারীতদের লেখা পড়বেন , এভাবে অনুসারীত লেখকের সংখ্যা দিন দিন বারবে ।
নতুন ব্লগার
ব্লগের প্রথম পেইজের ডান দিকে দেখবেন নতুন ব্লগার দের তালিকা আছে , তাদের পোষ্ট ভিজিট করা উচিত এবং তাদের পোষ্টে লেখা বিষয়ক মন্তব্য করলে তারা ব্লগিং এ উতসাহীত হবেন ।
জোর করে পোষ্ট না দেয়া
একট বিষয় মাথায় রাখবেন যখন পোষ্ট লেকার মতো যথেস্ট ভাবে প্রস্তুতি থাকবে তখনই পোষ্ট লিখবেন । একটা পোষ্ট লেখার সময় আগের পোষ্টের চাইতে বেশি ভালো করে পোষ্ট তৈরি করার চেষ্টা করবেন । তাই রিখতে ইচ্ছা না হলে জোর করে লিখবেন না ।
সব কিছুই নিজের চিন্তা চেতনা থেকে লেখা , ব্লগিং করতে গিয়া কিছু সমস্যা চোখে পরছে অন্যের ও নিজের মধ্যে , সেগুলা নিয়াই লেখাটা লেখলাম ।
সামনে ব্লগ ওয়ার বা ব্লগ যুদ্ধ নিয়া লেখার ইচ্ছা আছে । ইদানিং লেখার হাত নষ্ট হয়া গেছে ব্লগ যুদ্ধ নাও লেক্তারি ।
(কমেন্ট এর উত্তর দিতে লেইট হইতারে অবশ্য কমেন্ট এখন বেশি পাইনা ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।