সামুর এক মাত্র সর্বাধীক বানান ভুল সম্পন্য ব্লগ ! মনে রাখবেন আপ্নে সামুর সবচাইতে বিপজ্জনক ও বদ ব্লগারের ব্লগে প্রবেশ করেছেন , আপ্নি দুষ্টু প্রকৃতির না হলে এখানে সময় নষ্ট কইরেন না । কি শিরোনাম দেখে চমকে গেলেন ? !!!!!!!!!
কিছু দিন ধরে রুশান বিষয়ক কাজ কর্মে এতো ব্যাস্ত ছিলাম যে পোষ্ট দিতে পারি নাই, আজকে একটু ফুরসত পেলাম তাই পোষ্ট দিলাম , আশা করি সকলের ভালো লাগবে আর রুশান হেল্প টিমের সদস্যদের চিন্তাযুক্ত মাথায় কিছুটা প্রশান্তি এনে দেবে।
আসলেই আমি সাময়ীক ব্যান আছিলাম কলেজে পড়াকালীন সময়ে কিছুদিন, অন্য ভাষায় এটাকে ব্যান না বলে সাময়ীক টিসি বলা হয়। আসুন সেই ঘটনাটা আপ্নাদের সাথে শেয়ার করি।
কলেজের প্রিন্সিপল মহোদয়ের দুপুরের খানা নিয়মিত চুরি করা।
প্রিন্সিপল স্যার কলেজ হোস্টেল এর একটা রুম দখল কইরা দুপুরে রেস্ট নিতো আর ঐ খানেই বইসা দুপুরের খাবার খাইতো । স্যার অনেক রুচিশীল মানুষ তার মুখে অনেক রুচি। বিশেষ কোন খাবার তার প্রিয় নয়, খাবার বলতেই তার কাছে প্রিয় জিনিষ । তার জন্য বাসা থিকা খাবার আসতো। আমি নতুন কলেজে ভর্তি হইছি ।
একদিন দেখি হোস্টেলের একটা রুমের দরজার তালা খোলা কিন্তু দরজা ভিরানো । ভিতরে উকি দিয়া দেহি একটা টেবিলে গরুর মাংস ভাত আর ডাইল । আমার পেডে খিদা কি করুম ? বইসা গেলাম। খাওয়ার পর একটা চিরকুটে লেকলাম "আরে উজবুক খাওন রাইখা কই গেছস ? আমার দাদায় কইছে খাওনের আগে আর মাইরের পিছে থাকতে" । এর কয়দিন পর আবার দরজা খোলা পাইয়া আবারও চান্স নিলাম।
এই ভাবে তিন চাইর দিন ফুড এটাক চালাইলাম । মনে করছিলাম এইডা কোন ছাত্রের রুম। একদিন গিয়া দেহি খাবার ঢাকা আছে । ঢাকনা সরাইয়া দেহি খাবার নাই তয় আরেকটা চিরকুটে লেখা "আহম্মক দরজার পিছনে তাকাও"। তাকাইলাম দেহি প্রন্সিপল ছার আর লগে আরও দুইজন শিক্ষক দারানো।
যাই হোক ফলাফলডা পরে বলি।
শিক্ষক এর লেখা কবিতা চুরি করে নিজ নামে ছাপা।
এলাকায় এক মাত্র স্থানীয় দৈনিক "বরগুনা বার্তা" । ইতিহাস বিভাগের মান্নান স্যার এই পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা লেখেন। একদিন দুইডা কবিতা লেইখা আমার হাতে দিয়া কইলেন ।
ক্লাস ছুডির পর যেন পত্রিকা অফিসে দিয়া আসি। আমি সাইকেলডা লইয়া গেলাম পত্রিকা অফিসে অনেক্ষন বসতে হইলো সেখানে। হটাৎ মাতায় একটা বুদ্দি আইলো স্যারের লেখা কাগজটা বাইর কইরা হের নাম কাইটা আমার নাম বসাইয়া দিলাম। মফস্বলের পত্রিকা । দুই পাতার ।
যে যা দেয় ওইডাই ছাপে । আমার এইডাও ছাপা হইলো।
কলেজের গেম টিচার এর স্ত্রীকে মিথ্যা তথ্য দিয়া শিক্ষকের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি।
কলেজে একজন গেম টিচার আছিলো । অল্প বয়সি।
হেতে আমগো কোন খেলা শিখাইতো না । কিন্তু মেয়েদের ব্যাডমিন্টন, দাবা, ক্যারাম , নিয়া বেশি ব্যাস্ত থাকতো। আমরা আমগো কেলাস মেটগো লগে চান্স মারতে পার্তাম না। স্যার নতুন বিয়া কইরা টিচার হোস্টেলে বউ নিয়া থাকতো। একদিন সুযোগ পাইলাম, স্যার বাসায় আছিল না।
হের বাসায় গিয়া জিগাইলাম স্যার আছে ?
হের বউ কইলো উনি তো এই সময়ে কলেজে থাকেন। আমি জিগাইলাম আপনে ওনার কি হন ? আমি ওনার স্ত্রী। আমি কইলাম ও তাইলে আগে যারে নিয়া স্যার এই বাসায় থাকতো তাইলে উনি কেডায়?
ব্যাস আমার দায়ীত্ব শেষ , স্যারের বউর দায়ীত্ব শুরু
শিক্ষক কে ভুতের ভয় দেখানো
বাংলা টিচার মহিতোষ পোদ্দার স্যার এর মাতায় ইয়া বড় টাক ! প্লেগ্রুপের কোনও বাচ্চাও হের মাতার সব চুল গুনতারবো। এই বিশাল স্টেডিয়াম নিয়া সারা কলেজে ঘুইরা বেড়ায়। একদিন রাইতে বন্ধুর কাছ থিকা নোট নিতে হোস্টেলে গেছি ।
শিক্ষক হোস্টেলের সামনে দিয়া যাওনের সময় দেহি ফুল বাগানের মধ্যে কি যেন চিক চিক করতাছে । বুজলাম না জিনিশটা কি ! একটা ছুড ঢিল মারলাম। লগে লগে একটা গর্জন। অইইইইইইই ! বন্ধুর রুমে চইলা আসলাম। ফিরত যাওনের সময় জিনিসটা আবার দেকলাম এইবার একটা বড় ঢিল মারলাম।
একদম জিনিসটার উপ্রে পরলো। আবার গর্জন ওওওওওওইইইইইই। আমিও হের লগে গর্জন দিলাম " আজকে তোর ক্ষমা নেই শয়তান উমআ আ আ" দেকলাম জিনিসটা আস্তে আস্তে আমার দিকে আইতাছে । আমি একটু ডড়াইলাম ! দেহি মহিতোষ পোদ্দার স্যার । এক হাত দিয়া মাতা চাইপা ধইরা ভয়ার্ত চেহারায় আমার সামনে আইসা দারাইছে।
মাদক আসক্ত গাঞ্জা সোবাহান কতৃক শিক্ষক জন ডেভিট এর নামে দুর্নাম রটানো।
কলেজের স্যার গো কাছে ততদিনে আমি একজন দুস্টু ছেলেতে পরিনত হইছি। ইংরেজি বিভাগের প্রধান আমারে ক্লাসের মইদ্যে প্রায়ই পড়া না পারলে কানে ধরাইতো। কন তো ইন্টারে পড়ি ! এলাকার গাঞ্জা সোবাহানরে বিশ টেকা দিলাম। আর কিছু ডিউটি দিলাম সকাল বেলা দেহি পাগলায় পুরা এপিসিয়েন্ট।
প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীরে কলেজে ঢুকার সময় ধইরা ধইরা কইতাছে । "তোমগো কলেজের ডেভিট ছারের পরিচয় জানো? হেতে লর্ড ক্লাইবের বংশধর । হের লাইগাইতো তো হেতে তুমগো কিলাসে ইংলিশ পড়ায়। "
কলেজ থিকা আব্বারে একখান চিডি দেয়া হইছিলো যার অংশ বিশেষ অনেক ব্লগার কে দেখাইতে পারছিলাম আগের নিকে ব্যান খাওনের আগে
কলেজে পড়াকালিন সময় আমার একটা টিম আছিলো , যার না ছিলো "ডাকু রেজিমেন্ট" আমি ছিলাম তার চিফ ।
রুশানের জন্য মন্টা খারাপ ছিলো, মন খারাপ খুব ছোঁয়াচে টাইপের, জানি না আমি কতজনকে সংক্রমন করতে পারছি !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।