এক অসাম্প্রদায়িক উজ্জল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি
এক লোক দুই ব্লগেই ব্যাপক হারে ব্লগাইতেছে। দিন নাই,রাইত নাই একই প্যাচাল। অবশ্য প্যাচাল পারবৈ। কারন অরে রাখছেই প্যাচাল পাড়নের জইন্য।
প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,আপনারা হয়ত অনেকেই জানেননা,গাজিপুর না নরসিংদিতে ১টা অফিস আছে যেখানে কিছু ব্লগার কে চাকরী দেয়া হয়েছে শুধু মন্তব্য লেখার জন্য।
ধর্মিয় উস্কানীমূলক ব্লগ যারা লেখে তাদের ১টা বিরাট অংশ এই পেইড ব্লগাররা। এদের পোষে জামায়াত ইসলামী ও তাদের দোশররা যারা সুকৌশলে দেশকে তালেবান বানাতে চায়। সকল রকম অর্থনৈতিক সাহায্য আসে এদের বাইরে থেকে,শান্তির ধর্ম ইসলামকে এরা মিলিট্যান্ট ইসলামে পরিনত করতে চায় নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য।
এইসব ব্লগার সাধারনত ধর্ম বিষয়ক উষ্কানিমূলক,মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পোস্ট লেখে না হয় কমেন্ট করে। উদাহরণ:"আমার মত" ও "মৌলবাদী অপসারণ"।
"আমার মতকে যদিও চেনা যায়। কিন্তু মৌলবাদী অপসারনের আসল চেহারা আপনারা সাদা চোখে ধরতে পারবেননা,অতি ধুরন্ধর। ৭১ পাকিরা ও রাজাকাররা যেমন মেন্টালী বাংগালীকে খোরা করতে চেয়েছিল,এই লোক ও সে ভূমিকা নিয়েছে,তবে অন্য আংগিকে। এই লোক বলছে,সারা বিশ্ব জুরে মুসলমানদের উপর অত্যাচার হচ্ছে,মানলাম,খুবই অন্যায় । কিন্তু এর প্রতীবাদ করতে গিয়ে কেন সন্ত্রাসকে সমর্থন করতে হবে?ঐ লোক বলছে ঐ সন্ত্রাসীমুলক কর্মকান্ডের ইন্ধন দিয়েছে আমেরিকা, ইসরাইল, ব্রিটেনের মত দেশগুলো।
সেটাও ঠিক। কিন্তু এর পিছনে আছে নোংরা রাজনীতি,ধর্ম নয়। তবে ধর্মীয় আক্রমন কেন?কেন এদেশের মানুষগুলোর মধ্যে সুকৌশলে প্রতিষোধ স্পৃহা চড়িয়ে দেয়া হচ্ছে?অত্যাচারের প্রতিবাদে কেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটাতে সমর্থন করা হবে?ঘটালেও সেটাকে মুক্তিযুদ্ধ না বলে জেহাদ কেন বলা হচ্ছে? কেন ধর্মকে বারবার ইস্যু করা হচ্ছে?(যারা এই পোস্টের বিরোধীতা করবেন দয়া করে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে নেবেন। )
এর কারন ১টাই। ধর্মকে ইস্যু করে সস্তা সহানুভূতি কুড়ানো।
সাম্প্রদায়ীক বিষ ছড়ানো। জামায়ীতিদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল। আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় সহজ সরল মানুষগুলোকে ধর্মের যুযু দেখিয়ে বারবার সুকৌশলে তাদের মাঝে সাম্প্রদায়ীকতার বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। ধর্ম মানুষকে ভালবাসতে শেখায়। হিংসা নয়।
যারা মুসলিম ধর্মের খতি চায় তাদের খতি চাওয়া বা অভিশাপ দেয়া কি তাদের ই সমান হয়ে যাওয়া নয়?ভালবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা যায়। হযরত মুহাম্মদ(স) কে আরবের অত্যাচারী শাসকগোস্ঠী যখন পাথর ছুড়ে মেরেছিল তখন ও তিনি তাদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন,বলেছিলেন,"এদের জ্ঞান দাও প্রভু,এদের ক্ষমা কর। "
আমরা সেরকম ইসলামের অহিংস রূপ দেখতে চাই,মিলিট্যান্ট ইসলাম নয়।
দয়া করে কিছু লেখার আগে এই লিংকে যান, তাহলেই বুঝতে পারবেন আমার বক্তব্য ও তাহার স্বরূপ
http://dhakia.amarblog.com//posts/105410/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।