আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন,যাদের সাথে হয়তো সুসম্পর্ক ছিল প্রাচীন মানুষদের !

© এই ব্লগের সকল পোষ্ট,ছবি,থিম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কোথাও বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করা নিষেধ ।

পৃথিবী ব্যতিত অন্য কোন গ্রহে অন্য কোন প্রাণী আছে কিনা সেই তর্ক-বিতর্ক চলছে এখনও। সভ্যতার সূচনা থেকে এখন পর্যন্ত ঐ মহাকাশ কিংবা রাতের তারা ভরা আকাশ হাতছানি দিয়ে ডেকেছে মানুষকে নিরন্তর। মানুষ ও সাড়া দিয়েছে,সেই ইশারায় যুগে যুগে। আমরা এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করি যে, মানুষ সেই ইশারায় সারা দিয়ে প্রথম গিয়েছিল চাঁদে,সেই সাথে আমরা মনে করি পৃথিবী ব্যতিত অন্য কোথাও কোন প্রাণী বা এলিয়েন নেই।

কিন্তু,আমাদের বিশ্বাস কে মাঝে শক্ত করে ঝাঁকুনি দেয় কিছু অমিমাংসিত রহস্য। আর যেই রহস্য গুলোর সৃস্টি সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে,যখন কিনা আধুনিক বিজ্ঞানের আলো পৌঁছায় নি এই পৃথিবীতে । তারই কিছু উদাহরণ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই লেখায় একে একে। ১: এই ছবিটি তে আমরা যেই বস্তুটি কে দেখতে পাচ্ছি তার নাম লুলাডফ প্লেট,যা কিনা পাওয়া গিয়েছিল নেপালে। এই লুলাডফ প্লেট এর বয়স ১২০০০ বছর।

১২০০০ বছর পুরনো এই পাথরের প্লেটে আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাবো,যে গোল চাকতির মত এক ধরনের বস্তু যা কিনা দেখতে অনেকটা সসার বা উড়ন্ত চাকতির মত। তাছাড়া ও দেখা যাচ্ছে মানব শরীর সাদৃশ্য কোন বস্তুকে। এখানে আরো একটি জিনিস লক্ষ্য করার মত তা হচ্ছে চাকতির মধ্যে ঘূর্ণায়মান একটি জিনিস যা কিনা অনেকটা গ্যালাক্সি এর মত। প্রাচীন মানুষের এই প্লেট তৈরীর কারণ আজো খুঁজে পায় নি বিজ্ঞানীরা। লুলাডফ প্লেট নিয়ে একটি ভিডিও: ২: এই দুটি ছবির পাথর গুলোর প্রাপ্তিস্থান পেরুর টরো মেরোটু তে (Toro Muerto)।

এদের বয়স ১২-১৪০০০ পুরনো। খেয়াল করলে দেখতে পাবো তাদের মাথার উপরে এক ধরনের জ্যোতিশ্চক্র বা বর্ণ বলয়। এবার নীচের ছবিটার দিকে দেখি একই রকম জিনিস মানব সাদৃশ্য জিনিস গুলোর উপর এবং সসারের মত একটা বস্তু দেখা যাচ্ছে। ৩: এই ছবিটা ও উপরের দুটি ছবির মত। এটি একটি প্রাচীন গুহা চিত্র।

যার বয়স খ্রীস্টপূর্ব ১০০০০ বছর। এটি পাওয়া গিয়েছিল ইতালির ভাল- কমোনিকাতে (Val Camonica)। খেয়াল করলে দেখবো ছবিতে মানব সাদৃশ্য প্রাণী গুলো হাতে এক ধরনের জিনিস নিয়ে আছে এবং উপরের ছবি গুলোর সাথে এর অনেক মিল আছে। ৪: এই ছবি গুলো পাওয়া গিয়েছে উত্তর অফ্রিকার সাহারা মরুভূমির তাছলি(Tassili) অঞ্চলে। এরা খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ এর ও বেশী পুরনো।

এখানে পূর্ববর্তী ছবি গুলোর মত দেখা যাচ্ছে জ্যোতিশ্চক্র বা বর্ণ বলয়। তাহলে আপনিই বলুন দেখে তারা কি মানুষের মত? ৫: এই ছবি গুলোর কথা উল্লেখ আছে,Lt. Grey.এর "Journals of Two Expeditions of Discovery in North-West and Western Australia 1837, 1838, & 1839" প্রবন্ধে। তিনি ১৯ দশকের দিকে অস্ট্রেলিয়ার কিমবার্লি প্রদেশের Glenelg নদীর তীরবর্তী স্থানে কিছু গুহায় এই চিত্র দেখতে পান। এই শুরুর দিককার ছবিটিকে বলা হয় Wandjinaএবং যারা এঁকেছে তাদের বলা হয় Aboriginies । আরো কিছু Wandjina এর ছবি দেওয়া হল।

এগুলো প্রায় ৫০০০ বছরের পুরনো। কিছু মানুষ মনে করে থাকেন যে এরা ইটি(ET) এর প্রতিনিধি। আর এর মাথার দিকটা দেখতে অনেকটা grey aliens এর মত। ৬: ছবির এই জিনিস গুলো পাওয়া গেছে ইকুয়েডর এ। খেয়াল করলে আমরা দেখবো তারা মনে হয় মহাকাশচারীর পোশাক পরে আছে।

৭: এই ছবি গুলোর উৎস হচ্ছে ১০ম শতাব্দীতে সংস্কৃতের তিব্বতীয় অনুবাদ প্রাজানাপারামিতা সূত্রাতে(Prajnaparamita Sutra),যা কিনা জাপানিজ জাদুঘর এ সংরক্ষিত আছে। আমরা ছবিটিকে একটু বড় করে দেখলে দেখি যে,দুটি বস্তু দেখা যাচ্ছে যা কিনা টুপির মত এবং এ গুলো বাতাসে ভাসছে। এর একটির দিকে তাকালে দেখবো যে এর মধ্যে দুটো ছিদ্র আছে। প্রচীন বৈদিক সাহিত্যের বই এ বিমান(Vimanas) নিয়ে লেখা আছে। রামায়ণে বলা আছে,বিমানের দুটি ডেক আছে ,এটি বৃত্তাকার ও এর উপরে ছাদ বিশিষ্ট এবং এটি গতি পায় বাতাসের সহায়তায়।

৮: এই ছবিটা এসেছে মিশরীয় পিরামিডের দেয়াল চিত্র হতে। ছবিটা ভালো করে খেয়াল করলে দেখবো দুটো বর বর কালো চোখ যা মিশরীয় দের মত না। এবং এই ছবির মত বস্তুটি কে বিভিন্ন মিশরীয় মন্দিরে ও দেখা যায়। এখানে দেখা যাচ্ছে যে কোন রাজা বা কোন দাস বস্তুটির মঙ্গলের জন্য কিছু উৎসর্গ করছে। ৯; এই ছবিটি একটি বিখ্যাত ছবি,এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে,একজন মিশরীয় সম্রাট এর সাথে একজন অদ্ভুত মানুষ ঘোড়া চালাচ্ছে।

যার মাথাটা বেশ বড় এবং চোখ দুটো তার পাশের মানুষ টি হতে অপেক্ষা কৃত বড়। আপনার কি মনে হয় না এটা এলিয়েন? ১০: এখানে আমরা মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক এ একটি মাথা যা কিনা সাধারণ মানুষের মাথার মত না। আমরা জানি যে প্রাচীন মিসরীয়রা অত্যন্ত ধার্মিক ছিল,তাদের উপরোক্ত বিভিন্ন চিত্রে আমরা দেখে চিন্তার জগতটাকে একটু অন্য ভাবে প্রসারিত করি,তাহলে হয়তো কিছু একটার অস্তিত্ব চোখে পড়বে। তাছাড়া ও এই মূর্তিটির দির রহস্য আজো বের করতে পারেনি বিজ্ঞানীরা যা কিনা দেখতে অনেকটা হায়ারোগ্লিফিক এর ছবিটার মত । ১১: এটা একটা ঐতিহাসিক ছবি,যেটা পাওয়া যাবে ইরানে।

মজার ব্যাপার হল,ছবিতে এর পাখা দেখা যাচ্ছে এবং দুই হাতে ঘড়ির মত একটা জিনিস,খুব সম্ভব ধরে নিলাম কোন ডিভাইস এটা। ইস্টার আইল্যান্ড এর Birdmen Tribe আমরা এ রকম জিনিস দেখতে পাই। হয়তো এরা ভিন গ্রহেরই কোন প্রতিনিধি। ১২: ছবির এই জিনিস গুলো খ্রীস্টপূর্ব ৫০০০-৪৫০০ পুরনো। এগুলো পাওয়া গিয়েছিল ইরাকে এবং তা সংরক্ষিত আছে ব্রিট্রিস মিউজিয়ামে।

লক্ষ্য করলে দেখতে পাব এদের মাথার পেছন দিকটা অস্বাভাবিক ভাবে বেশী। আর একটা তথ্য দেই,এই পাথরের ছোট ছোট জিনিস গুলো প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতার নিদর্শন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.