আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিসু (পেসাব)বিষয়ক কথকতা

http://www.facebook.com/Kobitar.Khata

যাদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হিসু করার অভ্যাস আছে তাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য। বিশ্বে এমন কোন দেশ আছে কিনা কে জানে, যে দেশের মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হিসু করে। এই কর্মটি আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে অথচ এই নিয়ে কোন পত্রিকায়, কোন ব্লগে, কোন ফোরামে, কোন মিডিয়ায় বা কোন ''সুশিল'' সমাজের লোককে প্রতিবাদ জানাতে দেখলাম না। অথচ এর থেকে অনেক সস্তা বিষয় নিয়ে কত তুমুল আলোচনা হতে দেখলাম। ঢাকা শহরের কিছু কিছু ফুটপাত আছে যে গুলো দিয়ে হাঁটা তো দূরের কথা সেগুলোর ১০ হাত দূর দিয়ে যাওয়ার সময়ও নাক চাপা দিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে যেতে হয়।

সেখানে যে শুধু হিসু তা না, হাগুও দেখা যায়। কোন জাতের মানুষ এরা যারা রাস্তার পাশে দাড়িয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে এই কর্মগুলো করে?? ৩/৪ বছর আগে ঢাকার মেয়র একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকাবাসীকে মশার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে ঢাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানো হবে। এই কথা শোনার পর কিছু পরিবেশবাদীর সেকি কান্না। তারা মেয়রের হাতে পায়ে ধরে বলল, ''মেয়র সাহেব, আপনি ভুলেও এই কাজটি করবেন না। এই কাজ করলে মশার পাশাপাশি অন্য পোকাগুলোও মরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

যদি পোকাগুলো মরে যায় তাহলে ঢাকা শহরের পাখি গুলো না খেয়ে মারা পড়বে। '' বুঝেন অবস্থা। পরিবেশের জন্য তাদের কত কান্না। আরে গাধা ঢাকা শহরে পোকা খাওয়ার মতো পাখি পাবি কই? এই শহরে তো আছে শুধু কালো কালো কিছু কাউয়া। তারা খায় পঁচা জিনিস, গু ইত্যাদি।

আর আমাদের দেশে যা ভেজাল তাতে সেই ওষুধে মশা মরে কিনা তাই সন্দেহ, আবার পোকা মারার চিন্তা। তারা এই ফালতু বিষয় নিয়ে মেয়রের হাতে পায়ে ধরতে পারে কিন্তু একজাতের মানুষ যে দিনের পর দিন রাস্তায় হিসু করে পরিবেশ দুষণ ঘটাচ্ছে তা তাদের চোখে পড়ে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তির সবচে বড় উপায় হলো প্রচুর পরিমান পাবলিক টয়লেট তৈরি করা এবং রাস্তায় হিসুকারীদের সেখানে যেতে বাধ্য করা। আমাদের দেশে যা কিছু পাবলিক টয়লেট আছে তাও পয়সা দিয়ে হিসু করতে হয়। কি অদ্ভুত ব্যবস্থা।

পয়সা দিতে হলে পাবলিক সেখানে হিসু করতে যাবে কেন? একবার এয়ারপোর্টের টয়লেটে হিসু করে বের হলাম। বের হতেই একজন সামনে এসে দাড়াল। প্রশ্ন হিসু করেছি না হাগু। কেমন লাগে বলেন? লজ্জার মাথা খেয়ে বললাম হিসু। সে বলে তাহলে ৫টাকা দিতে হবে।

আমি মনে মনে বলি এমন জানলে এখানে হিসুই করতাম না। কষ্ট করে বাসায় নিয়ে যেতাম। এয়ারপোর্টের মতো সরকারী অভিজাত জায়গায় হিসু করতেও টাকা লাগে। সরকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবীঃ ১. দেশে প্রচুর পরিমানে পাবলিক টয়লেট তৈরি করা হোক এবং সেগুলোতে বিনামূল্যে হিসু ও হাগু করার ব্যবস্থা করে দেয়া হোক। ২. যারা রাস্তায় হাগু মুতু করে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হোক।

৩. এই বিষয়ে কোন আইন না থাকলে প্রয়োজনের নতুন আইন জারী করা হোক। ধূমপান করলে ৫০ টাকা জরিমানার মতো এই আইনে আরো থাকবে কানে ধরে গলাফাটিয়ে ''আমি আর রাস্তার পাশে হিসু করুম না'' এই কথাটি ১০ বার বলার ব্যবস্থা করা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.