সুকুমার রায়-এর অবাক জলপান এর সেই পথিকের এখন আর কোনো চিন্তা নেই। রমনা পার্ক থেকে শুরু করে গাবতলীর গরুর হাট, এমনকি আমাদের মহল্লায় টং দোকানেও পানি পাওয়া যায়। রাজপথের মোড়ে মোড়েও শোনা যায় সেই বাণী
এই পাআনি লাগবো পাআনি। শর্ত হলো এই পানি কিনে পান করতে হয়। বিক্রেতার এতে দুই দিক দিয়ে লাভ।
পানি পান করানোর ছোয়াবও হয় আবার ব্যবসাও হয়। মোমিনের টং দোকানেও এই পানি জলের মতো বিক্রি হয়। কোনো দামাদামি, মুলামুলি নাই। প্রতি গ্লাস এক টাকা। আপনি পানি না পেয়ে কা কা করে মরবেন তবুও এই টাকা আপনাকে দিতেই হবে।
কারণ জনাব এটি ফিল্টার পানি। এই পানি একটি বেঢপ জারের মধ্যে থাকে। গলা ধরে বিশুদ্ধ জারটিকে দোকানের সামনে উপুর করে রাখা হয়। কিন্তু জারের মধ্যে পানি কতটা বিশুদ্ধ সেটা বোঝার উপায় থাকে না। কেননা কোনো এক অজানা কারণে জারের রং হয় হালকা নীল।
অথচ সে তুলনায় মিনারেল ওয়াটারের বোতলগুলো স্বচ্ছ হয়। ঘটনা কী?
ফিল্টার ফটিকের ফিল্টার পানির ব্যবসা বহুদিনের। টিউবয়েলের পানি সে জারে ভরে সাপ্লাই দেয়। টিউবয়েলের পানি না পেলে ডোবার পানিই শেষ ভরসা। কিন্তু ত্যাদর পাবলিক একদিন ব্যাপারটা ধরে ফেলল।
ফিল্টার পানির মধ্যে শেওলা! পুলিশ এলো। জেলখানা থেকে বের হয়ে ফিলটার ফটিক নতুন এক বুদ্ধি বের করলো। সে ভেবে দেখল স্বচ্ছ জারই যত নষ্টের মূল। এরপর স্বচ্ছ জার নয় সে পানি সাপ্লাই দিতে লাগল হালকা নীল জারে। ব্যস পানিতে একটু আধটু ময়লা এখন আর কারো চোখেই পরে না।
ফিল্টার ফটিকদের কারণেই ফিল্টার পানির জার নীলাভ হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।