সত্য সন্ধানে সর্বদা নির্ভিক
সংবাদপত্র থেকে সম্পাদনা সহকারী পদ বিলুপ্তের আশংকা করছে সংবাদপত্র সম্পাদনা সংশ্লিষ্টরা।
আজ সকালে জাতীয় প্রেসকাবে সংবাদপত্র সম্পাদনা সহকারী ফোরাম, ঢাকা আয়োজিত প্রবীণ সম্পাদন সহকারী সম্মাননা-২০১০ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আশংকা প্রকাশ
ইউনিকোড ছাড়া প্রচলিত বাংলায় লেখা টেক্সট ইউনিকোডে পরিবর্তনের জন্য দ্বিতীয় বক্সে কপি করুন ও দ্বিতীয় বক্সের উপরে এটি কোন ধরনের টেকস্ট সেটি সিলেক্ট করে।
সংবাদপত্র সম্পাদনা সহকারী ফোরাম এর আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ফোরামের সদস্য সচিব সেবিকা রানী, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক বদিউজ্জামান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য, মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সম্মাননা উপ-পরিষদ এর আবুল কালাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের মহাসচিব আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে ইংরেজী সংবাদ পত্রের জন্য সম্পাদনা সহকারীদের সেইভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কারণ ইংরেজীতে বানান ভুলের সুযোগ নেই।
বানান ভুল হলে সংগে সংগে তা ঠিক করা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলার যদিও এখনও কোনো গ্রামার ভিত্তিক সফটওয়ার এর প্রচলন হয়নি। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নে একদিন বাংলার জন্যও সম্পাদনা সহকারীদেরও গুরুত্ব কমে যাবে। এমতাবস্থায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সম্পাদনা সহকারীদের তথা সাংবাদিকদের যেন মালিকপক্ষ অন্যায় ভাবে চাকুরিচুত না করতে পারে।
একটি সংবাদপত্রকে নিখুঁতভাবে পাঠকের হাতে তুলে দিতে যারা মূল কাজটা করেন, তাঁরা হলেন সম্পাদনা সহকারী। পেশাদার হিসেবে তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। সর্বশেষ তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় একটি পত্রিকা সহজে পাঠের উপযোগী হয়।
বক্তারা বলেন, একটি সংবাদপত্র যদি উপাসনালয় হয়, একজন সম্পাদনা সহকারী সেই উপসনালয়ের পুরোহিত। সাংবাদিকতার একটি স্তম্ভ হলো সম্পাদনা।
কিন্তু সম্পাদনা বিভাগের সাংবাদিকরা আজ বৈষম্যের শিকার। বক্তারা এই বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সম্পাদনা সহকারীদের ওয়েজ বোর্ড প্রদান এবং সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রত্যেক অফিসে ট্রেড ইউনিয়ন চালুর জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আহমেদ কাফিল, আব্দুল বারেক মল্লিক,ওয়াসিল উদ্দিন, আব্দুস সালাম, বিজন কুমার চক্রবর্তী এবং আব্দুল হাকিমকে (মরনোত্তর) প্রবীণ সম্পাদনা সহকারী সম্মাননা-২০১০ পদক প্রদান করা হয়। আব্দুল হাকিমের পদক তাঁর ছেলে মাহমদু রহমান গ্রহন করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।