বক্তারা বলেন, কেউ জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বললে তাঁকে আওয়ামী লীগ ও ভারতের দালাল আখ্যা দেয় জামায়াতিরা। এই জিনিস আমরা খালি ব্লগেই দেখতাম, এখন দেখি বাজারেও চাল্লু।
জামাতিগো চোখে ভারতীয় দালাল এইসব ওলামাগো স্যালুট যুদ্ধাপরাধীগো দল জামাতের বিরুদ্ধে জনসচেতনায় নামার জন্য।
উল্লেখযোগ্য উক্তি: সমাবেশের প্রধান বক্তা সংহতি পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ বলেন, একাত্তরে যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে, তাদের প্রায় সবাইকে জামায়াতের রাজনীতির শীর্ষ পদে দেখা যাচ্ছে। আজ সারা দেশে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি উঠেছে।
তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের গ্রেপ্তার দাবি করেন। (কাকতালীয় হইলেও এমনই কিছু কিন্তু ঘটতে যাইতেছে)
মাওলানা মাসউদ বলেন, জামায়াতের বুনিয়াদ কোরআন-হাদিস নয়। তারা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তাদের বুনিয়াদ শক্ত করছে। এগুলো বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ছড়াতে তারা যে বইগুলো বিতরণ করছে, সেগুলোও নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ-মাদ্রাসার কমিটিতেও এরা ঢুকে পড়েছে। এগুলো থেকেও এদেরকে বের করে দিতে হবে। (সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ্ আপ্নার ভালো করুক। )
খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আহমদউল্লাহ্ আশরাফ বলেন, ‘জামায়াত মানে যমের হাতে ইসলাম। এদেরকে যেকোনোভাবে মোকাবিলা করা দরকার।
’ (চরম কইছেন স্যার )
মালিবাগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহতাসিম বিল্লাহ্ বলেন, ‘মওদুদীবাদী জামায়াত তাদের জন্মস্থান ভারত ও পাকিস্তানে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। অথচ আমাদের ঈমানের দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশে তারা ছড়িয়ে পড়েছে। ’ (ঈমান না স্যার, আমরা গরীব তো, ট্যাকা দিয়া কিন্না নিছে, আর ঈমান কিনছে কোরান ছোয়াইয়া)
ইসলামী আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ্ আল মাদানী বলেন, জামায়াতের কথা ও কাজে কোনো মিল নেই। তাদের দলের নেতৃত্বে কোনো আলেম নেই। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ইসলামকে ব্যবহার করছে।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তারা ইসলামের পক্ষে কোনো কাজ করেনি। বরং সংসদে মদের দাম কমানোর পক্ষে তারা ভোট দিয়েছিল। (নাউজুবিল্লাহ)
সংহতি পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈফী বলেন, জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর লেখা ২৬টি বইয়ে কোরআন, হাদিস, নবী-রাসূল ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে। মহানবী (সা.) সম্পর্কে মওদুদী পাঁচ জায়গায় লিখেছেন, রাসূল (স.) নবুওয়তের হক ও জীবনের রিসালাতের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভুল করেছেন। এটা কোনো মুসলমান মানতে পারে? যারা এই মওদুদীর অনুসারী, তারা কি ইসলামের দল হতে পারে? (না, পারে না।
এরা স্বাধীনতার শত্রু, এইগুলার বিচার চাই। তারপর দেখি স্বাধীনতা বিরোধী এই ধর্মব্যবসায়ীর দল করতে কয়টা ধান্দাবাজ উৎসাহী হয়)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।