আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরক্ষর- সাক্ষর মানবতা এবং নৈতিকতা



নিরক্ষর- সাক্ষর মানবতা এবং নৈতিকতা -শফিক আকরাম মানুষের মানবিকতা কবে, কখন, কোথায় জন্ম নিয়েছিল তার হিসেব নিকেশ তিথি নক্ষত্র গুনে বলতে না পারলেও এটি যে অনেক অনেক দিনের আগের বিষয় এ কথা বোধকরি বলা যায়। এমনকি সৃষ্টির শুরুতেই সেটিও জন্ম নিয়েছিল এটিও জোর দিয়েই বলা যায়। তবে সে সময়ে যে অমানবিকতা ছিল না একথাও জোর দিয়ে বলা যায়না। তবে ,তা ছিল বাঁচার তাগিদে, জীবণ রক্ষার্থে। শিক্ষা মানুষকে মানবিক, সুন্দর, পরিশীলিত আর নান্দনিক করে গড়ে তোলে একথা সর্বজনবিদিত।

সকল পাশবিকতা. অসুন্দর অন্যায্যতা পরিত্রাণের অনন্য পন্থা শিক্ষা। আর সে কারনেই এর আলো প্রতিটি দুয়ারে পৌঁছে দেয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা মানুষের। একবিংশ শতাব্দির এইক্ষণে দাঁড়িয়ে সে কথা বলতে কুণ্ঠার কোন অবকাশ নেই। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অন্ততঃ সে কথা বলে। ২০১৫ সাল আগত প্রায়! অথচ আমরা কোন দিকে যাচ্ছি? সেটিই আলোচ্য ও বিবেচ্য।

পৃিথবী কত জন নিরক্ষর তার জ্ঞাতিভাইকে ঠকিয়েছেন? বা ঠকানোর জন্য আগ্নেয় মারণাস্ত্র তৈরি করে লাখ লাখ মানুষের জীবন নিয়েছেন? কতজনই বা নিয়ত তাদের ক্ষতি সাধনে ব্যস্ত ? এর হিসেব নিশ্চয় সুপার কম্পিউটারেও করা সম্ভব নয়। কারন তা অতি নগন্য,অসম্ভব এবং অপ্রমাণযোগ্যও বটে। যুগে যুগে কালে কালে নিরক্ষর বা স্বল্প সাক্ষর মানুষগুলো মানব জাতির জন্য কল্যাণই বয়ে এনেছে। আজকের যে সভ্যতা তার অবদানও বৃহৎ এই জনগোষ্ঠির। রাস্তাা-ঘাট থেকে শুরু করে স্থাপত্য, ইমারত সবকিছুর জন্যই এরা কৃতিত্বের দাবিদার বৈকি? অথচ এরাই অবহেলিত, এরাই অস্পৃশ্য, এরাই নির্যাতিত।

এই হলো আধুনিক সভ্যতা??? ইতিহাসের ছেঁড়া পাতা কিম্বা ঠুলি খুল্লে দেখা যাবে তার পরতে পরতে এসব তথাকথিত অস্পৃশ্য মানুষগুলির কী অমানবিক শ্রম ঘাম ত্যাগের বর্ণনা। আর আমরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত অকৃতজ্ঞ সাক্ষর মানুষগুলো তাদের কোথায় স্থান দিয়েছি? আস্তাকুড়ে? ব্যাক্তিক স্বার্থের কারনে এদের শ্রম-ঘাম চুরিকরে ক্রমে ক্রমে সম্পদের পাহাড় গড়ছি। তাদেরকে ক্রমান্বয়ে সহায় সম্বলহীন করে নিঃস্ব করছি। আর এরা তাদের যাপিত জীবনকে বিধাতার বিধিলিপি বলে শান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করছে। আদি থেকে এ পর্যন্ত আমাদের পশুবৃত্তিকে দমন বা প্রশমিত করার নিমিত্তে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্য, সব ধর্মেই তাগিদ দেয়া হয়েছে।

কালে কালে ধর্মীয় অবতার, মহামানবের আর্বিভাবও হয়েছে অনেক বার। অশুর শক্তিকে পরাজিত করতে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে এ বসুধায়। কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনীর মত আমাদের কর্ণকুহরে উপদেশবাণী পৌছালেও তার স্থায়িত্ব হয়নি। ফলে সমস্যা সমাধানের পথ সেই তিমিরেই আটকে আছে। আর আমরা উন্মত্ত হয়ে নিজের সুখের জন্য রক্তের হলি খেলায় মেতে উঠেছি।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবতারনা করে হিরোসিমা নাগাসাকিতে বোমা ফেলে লাখো মানুষকে এখনও পর্যন্ত অর্ধমৃত করে রেখেছি। ক্ষমতার দাপটে বসনিয়া,কসোভো,পূর্ব তিমুর, সিয়েরা লিয়ন, ইরাক, চেচেন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান আরো কত দেশে এখনও বোমা চলছে। এর নামকি মানবিকতা, নাকি সভ্যতা ? হা,বিধাতা তুমিও ? তাহলে কি নিরক্ষর বা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ তুলনামূলক জাতির জন্য, দশের জন্য সর্বোপরি দেশের জন্য মঙ্গলময় ? না, সেটিও জোর গলায় বলা সমীচিন নয়। কারন ,সত্যিকারার্থে একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ অবশ্যই একজন নিরক্ষর বা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ অপেক্ষা অধিক মঙ্গলময়। তাহলে সমস্যাটি ঠিক কি? কেনইবা এই গৌরচন্দ্রিকা ? সমস্যাটি হলো বিবেকবোধ আর আকাংখা’র ।

যেখানে কিনা লেখাপড়া শিখে মানুষ বিবেককে জাগ্রত করবে,সমগ্র জাতি তথা দেশ ও দশের মঙ্গল করবে। সেখানে কিনা নিজের আখের গোছাতে মরিয়া হয়ে আমরা সীমাহীন প্রতিযোগিতায় অবতীর্ন হয়েছি। কারন বহুবিধ। ১শিক্ষা ব্যবস্থা, ২, আকাংখার সীমাহীন লাগাম, ৩ রাজনীতির দূর্বৃত্তায়ন ও ৪ সাংস্কৃতিক পুরাধাদের নৈতিকতার স্খলন। ১আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখলেই বোঝা যাবে তার থেকে কী আশা করা যায়।

মাধ্যমিক পর্যায়ের বানরের তৈলাক্ত বাঁশ কিম্বা বীজগণিতের এ+বি হোলস্কয়ার শেখার পর বাস্তব জীবনে ক’জনের তা কাজে লাগে বা লাগছে ? তাহলে কি বৃথা পন্ডশ্রম ছিলো সোনালী সেই দিনগুলি ? সেই শিক্ষা থেকে কী শিখেছি আমরা? আর কিইবা জাতিকে দেব? ওই স্তরে যা শিখেছি তাতে কোনপ্রকারের একজন কেরানী ছাড়া আর কি হওয়া যায়?২পাশ্চাত্য সংস্কৃৃতির অবাধ অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিমাদের জীবনাচরণ,পোশাক-পরিচ্ছদ এমনকি খাবারও আমরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বদৌলতে খুব সহজেই দেখতে পাচ্ছি। আর নিজেকে বার বার ধিক্কার দিচ্ছি ওই সব দেশে জন্ম না নেবার কারনে। তাদের জীবনাচরনের নিয়ত ব্যবহৃত দ্রব্যাদী ভোগ করার জন্য দৌড়াচ্ছি বিরতিহীনভাবে। সেখানে ন্যায় -অন্যায়-দেখার যেন কোন সময় নেই। ফলে যা হবার নয় তাই হচ্ছে।

না পাওয়ার যন্ত্রণা তাকে অসৎ হতে বাধ্য করছে। আর শিক্ষিত হবার কারনে অতি অল্প সময়ে ধনী বা অর্থ উপার্জনের নতুন নতুন পথ আবিস্কার করছি। ৩স্বাধীনতা উত্তর আমাদের দেশের রাজনীতিবীদদের অবস্থা বিশ্লেষণে কি দেখা যায় ? সেই গানটির মত ‘এমন হায় একবার দেশের নেতা হইতে চায়’। আসলে অধিকাংশ নেতার ব্যক্তিক জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে তারা অনেকেই জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। এই অর্থের উৎস কি? কোন সে আলাদিনের চেরাগের সোনালী স্পর্শে এমন হওয়া যায় ? কার সম্পদে তারা নাতিশীতোষ্ণ বাড়ি -গাড়িতে বাস করেন আর চড়েন ? সারাদেশের মানুষ যখন গরমে হাস-ফাস করেন তখন তারা যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ওই ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করেছেন তাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে ঠান্ডা ঘরে বসে মিটিং করেন বিষয়টি দৃষ্টি নন্দন বটে! আজকের দামী গাড়ি, বাড়ি বিলাসীতাতো এদের এবং এদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আর্শীবাদে গড়ে ওঠা হাতে গোনা কিছু ব্যবসায়ী আর অসৎ আমলাদের কাছ থেকেই এসেছে।

ওই সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা সকল মানবিকতাকে বিসর্জন দিয়ে প্রচ্ছন্ন মদদে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, শিশু খাদ্য ও ওষুধের দাম ইচ্ছেমত বাড়িয়ে মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিযোগিতার ঘোড়দৌড়ে নেমেছে। এতে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষগুলির কি পরিনতি হচ্ছে তা ভাবার অবকাশ কোথায়? বরং পবিত্র মাহে রমজানেও যে খেলা তারা দেখালেন তা আশাকরা যায় ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরেই লেখা থাকবে বৈকি! এদের সেই প্রবাদ বাক্যের মতই অবস্থা,‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহীনি’। না হলে.....। এছাড়া তারা তাদের চ্যালা চ্যামুণ্ডদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কেউ তাদের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেই......।

আর ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল হলেতো কথা-ই নেই। পুলিশ বাহিনী দিয়ে মিথ্যা মামলা রুজুু করে গ্রেফতার, হয়রানী আর নির্যাতন সেতো চির চেনা-জানা কাহীনি। আর আমাদের গর্বিত পুলিশ বাহীনি, যারা কিনা জনসাধারণের জান মালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত, তারা প্রভুভক্ত গোলামের মত নতজানু হয়ে গুটিকয়েক মানুষের আদেশ পালনে সদা প্রস্তুত। অথচ বিশাল এই বাহিনীর বেতন-ভাতার সিংহভাগই আহোরণ করা হয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কর আদায়ের মাধ্যমে। আর এই পুলিশ বাহিনী ও সাধারণ মানুষেরই অতি আপনজন।

কারো ভাই বা বোন, কারো প্রিয়তম সন্তান, কারো স্বামী বা স্ত্রী! কিন্তু, হায়!.........। কেন এই অমানবিকতা, কেনইবা নৈতিকতাবোধের স্খলন? সবকিছুর মূলেই কি তবে অর্থ উপার্জন ? তাহলে কি মানবতাকে বিক্রি করে হলেও আমাদেরকে,কেন অসম প্রতিযোগিতায় নামতে হবে বা হয় ! শিক্ষার তবে কি আর প্রয়োজন ছিলো? অন্যদিক বিবেচনা করলে অবশ্য ওই বিষয়টির দায়ভার কিছুটা লাঘব হয়, কেননা আমরা প্রকৃত অর্থে আমাদের পুলিশ বাহিনীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কতটু বা কী সুবিধা দিচ্ছি? আর আমাদের সরকার কিম্বা মন্ত্রী বাহাদুরেরা তাদের জন্য কতটুকু সুবিধা প্রদান করছেন? তারা কি বাধ্য হয়েই অসৎ পথের দিকে ধাবিত হচ্ছেন? বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে বৈকি! তবে যা-ই হোক,তাদেরকে তাই বলে দিগম্বরভাবে অসৎ পথে নামতে হবে এটিও সঠিক পথ নয়। ৪একটি জাতির পরিচয়ের বাহন হলো তার নিজস্ব সংস্কৃতি। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ সাংস্কৃতিক পুরোধাগন পশ্চিমা সংস্কৃতির বিষাক্ত ধুলি মেখে নিজস্বতাকে ভুলে আমাদের দেশে ককটেল সংস্কৃতি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে এর প্রভাব দারুন এবং মহামারি আকারেই লেগেছে।

আজকাল টিভি খুললেই তার প্রভাব লক্ষণীয়। দেশের সিংহভাগ মানুষের জীবনাচরণ ভুলে গিয়ে রাজধানীর কিছু মানুষের জীবন এবং দ্বন্দ্ব নিয়ে নির্মিত হচ্ছে বেশীরভাগ নাটক। আর উত্তর আধুনিকতার দোহায় দিয়ে নিজস্ব ভাষাকেও ক্ষত বিক্ষত করা হচ্ছে। কল্লা ক্যান , গ্যালা ক্যান কোন অঞ্চলের ভাষা আমার জানা নেই। আবার ‘দিব’ শব্দটি প্রায়শঃ শোনা যায়।

আগে সাধু চলিত মিশ্রিত ভাষা দোষনীয় হলেও এখন যেন এটি একটি স্টাইল। আসলে ‘দিব’ শব্দটি সাধারনতঃ সাধুভাষার সাথেই ব্যবহৃত হত। যেমন: সে আমাকে কাজটি করিয়া দিবে বলিয়াছে। বাক্যটির চলিতরূপ করলে দাড়ায়: সে আমাকে কাজটি করে দেবে বলেছে। অথচ এই ‘দিব’ শব্দটি হরহামেশায়ই চলিতরূপে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এটি তথা কথিত স্টাইল আরকি! শুধু শব্দই পরিবর্তন হয়নি। উত্তর আধুনিকতার ধোঁয়াতুলে কবিতা, পোশাক- পরিচ্ছদ খাবার-দাবার এমনকি নিকট আত্মীয় স্বজনদের সম্বোধনও পরিবর্তন করা হচ্ছে। উত্তর আধুনিক কবি-সাহিত্যিকগন হয়ত ক্ষেপে উঠবেন, বলবেন শিল্পের জন্য শিল্প, সেখানে জীবনকে ভেবে বাঁধার দেয়ালে আবদ্ধ হলে কি প্রকৃত অর্থে শিল্প সৃষ্টি করা যায়? তারা যা সৃষ্টি করেন তা তাদের নির্দিষ্ট পাঠক ছাড়া আমাদের দেশের কোটি কোটি পিছিয়ে পড়া আমজনতা কিছুই বোঝেন না এটি হলপ করে বলা যায়। এ তো গেল কবি সাহিত্যিকগণের ভাব-ভাষা। অন্যদিকে আমাদের শিল্পাঙ্গনের অন্যান্য কর্ণধারেরা পোশাক পরিচ্ছদ খাবার -দাবার সব কিছুতেই পরিবর্তন আনছেন সেই উত্তর আধুনিকতার দোহায় দিয়ে।

যেমন আঁকিয়ে বন্ধুদের পোশাক-পরিচ্ছদ দেখলেই বোঝা যায় এরা আঁকিয়ে। ইদানিং বহু কন্ঠ শিল্পীও তাদের পোশাক পরিচ্ছদে পশ্চিমাদের অনুকরণ করছেন। এটিই নাকি আধুনিকতা, এটিই নাকি সভ্যতা! অথচ এদের দেখলে কাউকেই সুস্থ্য বলে মনে হয়না। আর বিষ্ময়ের বিষয় হলো, আমাদের দেশের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত তরুণ সমাজ এদের অনুকরণে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সকল মানবিকতা, নৈতিকতাবোধকে পায়েদ‘লে দিকভ্রান্তের মত উন্মত্ত হয়ে ছুটছে আলেয়ার পিছনে।

মরণ নেশায় আসক্ত হচ্ছে। অভিভাকদের কাছে দাবী করছে সীমাহীন। আর অভিভাবক বেচারা সন্তানের দাবী মেটাতে বাধ্য হয়ে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত হচ্ছেন। এদের দেখাদেখি নিম্নবিত্তদের মধ্যেও প্রাপ্তির আকাংখা সংক্রমিত হচ্ছে। ওই সব পোশাক না পরলে , ওইভাবে না চল্লে ওই রকম খাবার না খেলে, ওই রকম বাড়িতে না বাস করলে জীবন যেন বৃথা ।

এই ভেবে তারাও প্রতিযোগিতার মাঠে নামছে। ফলে সব যা হবার তা-ই হচ্ছে। মানবিক গুনাবলী ভুলে গিয়ে পশুবৃত্তিতে রুপান্তরিত হচ্ছে আমাদের বিবেক। সঙ্গত কারনেই হিংসা-বিদ্বেষ, অন্যায়-অত্যাচার অনিয়ম-দুর্নীতিতে দেশ ক্রমশঃ ধাবিত হচ্ছে। মজার বিষয় হলো, যাদের দেখে আমাদের তরুণেরা সংক্রামিত হচ্ছে এদের প্রায় শতভাগই তথাকথিত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত বা সাক্ষর।

তাহলে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে আমাদের মত তথাকথিত শিক্ষিত মানুষগুলোই মূলতঃ অনিয়ম, অন্যায্যতা,অকল্যাণকর সংস্কৃতি আর দুর্নীতির মহাকারন(?) আমাদের কাছে জাতির কী প্রত্যাশা আর কিইবা আমরা করছি? তাহলেকি তথাকথিত এই শিক্ষার কোন মূল্য নেই, নিরক্ষর থাকায় ভালো ছিলো; সবই পন্ডশ্রম?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।