রোববার রাজধানীতে ক্ষুদ্রঋণ ও উন্নয়ন বিষয়ে জাতীয় এক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশে এখন ক্ষুদ্রঋণের ২৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ৬৫ হাজার শাখা রয়েছে, যার মধ্যে ১১ হাজার প্রতিষ্ঠানই অবৈধ। অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ”
তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণ দাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণদান ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অবৈধ বিনিয়োগ, যা অনাকাঙ্খিত।
এপর্যায়ে গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকের নাম ধরে ক্ষুদ্রঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি সাহায্য না দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দিতে দাতাদের প্রতি আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে আলোচনায় তিনি বলেন, টেকসই দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণই একমাত্র উপাদান নয়। এর সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পয়ঃনিষ্কাশন জড়িত।
মুহিত বলেন, শুধু ক্ষুদ্রঋণই যে দারিদ্র্য বিমোচনে ভুমিকা রাখে তা নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ফজলে হাসান আবেদও বলতে পারবেন না।
সবগুলো উপাদানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মুহাম্মদ ইউনুস ও ফজলে হাসান আবেদের চেয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে আখতার হামিদ খানের অবদান অনেক বেশি।
আখতার হামিদ খান ১৯৫৯ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ একাডেমি অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন, যে প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো- তিনি (ইউনূস) বলে বেড়াচ্ছেন, সরকার নাকি গ্রামীণের ৭৫ শতাংশ শেযার নেয়ার পাঁয়তারা করছে। এটা অসত্য। ”
সম্মেলনে ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিনান্সের (আইএনএম) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে সমাপনী অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন তামেসিস, বাংলাদেশে জাইকা প্রধান তাকাও তোদা, আইএনএম’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক এ বাকী খলীলী ও ডিএফআইডির উপদেষ্টা শাহলিনা তাজরিন আজহার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।