পাগল পাগলামী করবে এটাই স্বাভাবিক
বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ এর রোল মডেল।
আমরা গর্বিত (???????????????????)
ক্ষুদ্রঋণ বাঙ্গালী জীবনের এক অভিশাপ। এই অভিশাপের কালো ছায়া সমগ্র জাতিকে গ্রাস করেছে। ড.(?) মুহম্মদ ইউনুস (সার) এর প্রবর্তক (?)
আসুন প্রথমে একটু ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে জানি -
ক্ষুদ্র ঋণ হল বাংলার দ্রারিদ্র জনগোষ্ঠিকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ভিক্ষুকে পরিণত করার সহজ উপায়। কিভাবে ????????????
মনে করুন,
একজন করিম মিয়া বিবিধ কারণে ৫০০০/- টাকা উপকারী ব্যাংক নামক এনজিও(নব্য বুর্জোয়া) থেকে ঋণ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
তাকে প্রথমে ৬ মাসের সঞ্চয় জমা দিতে হবে। যদি যে সপ্তাহে ২০/- টাকা হারে সঞ্চয় জমা দেন তবে ৬ মাসে তার সঞ্চয় জমা হবে ৫২০ টাকা (২৬ সপ্তাহ) এর জন্য তাকে প্রথমে সদস্য হতে হবে। সদস্য হতে প্রথমে ২০/- (অফেরতযোগ্য) মূল্যের ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। ঋণ গ্রহণ করতে আবারও ২০/- টাকা মূল্যের ঋণফরম পূরণ করতে হবে। ১৬০/- টাকা দিয়ে ১৫০/- টাকা মূল্যের সরকারী ষ্ট্যাম্প পেপার কিনতে হবে চুক্তিপত্র সম্পাদনের জন্য।
অর্থাৎ ৫০০০/- টাকা ঋণ গ্রহণ করতে প্রথমেই তাকে ৭২০/- টাকা পকেট থেকে প্রদান করতে হচ্ছে যার ২০০/- টাকা প্রাথমিক ক্ষতি। এবার তার ঋণ হিসাব দেখা যাক - সর্বমোট ৪৫ সপ্তাহে ঋণ পরিশোধের জন্য তার উপর কমপক্ষে ২০% হারে সুদ প্রদান করতে হবে। তাহলে২০% সুদসহ সর্বমোট ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৫৮৩০/- টাকা। ঋণ গ্রহণের দিন তার কাছ থেকে প্রথম সপ্তাহের কিস্তি কেটে রাখা হবে। মানে বর্তমানে সে হাতে পেল ৪৮৭০/- টাকা।
প্রাথমিক খরচ বাদ দিলে করিম মিয়ার উপকারী টাকার অংক দাড়াল ৪১৫০/- টাকা। এই ৪১৫০/- টাকা ব্যবহার করে তাকে পরিশোধ করতে হবে সঞ্চয় বাদ দিলে ৫৬৯৮/- টাকা। অর্থাৎ ৪১৫০/- গ্রহণ করে (সঞ্চয় বাদে) ৫১৯৮/- টাকা পরিশোধ করতে হবে, সুদ ১০৫৮/- টাকা। তাহলে, সুধি মহোদয়, সুদ কতো পারসেন্ট দাড়াল ? (বেশি না মাত্র ২৫.৫৮%)
ঠিক এই পরিমাণ লভ্যাংশসহ প্রথম কিস্তির টাকা কেটে নেয়া হয়েছে, যখনও করিম মিয়া টাকা হাতে পাইনি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
উপরিক্ত হিসাব সম্পূর্ণ দূর্নীতিমুক্ত (বাংলাদেশের যা অসম্ভব)
এখানে ঋণ প্রদানকারী এনজিও'র কর্মীকে মিষ্টি মুখ করার টাকা, জামিনদার দুজনকে চা-পান খাওয়ার টাকা এবং ঋণ পাওয়া আনন্দে অন্যকে মিষ্টি খাওয়ার খরচ ধরা হয় নাই...........................
মুল কথায় আসি .....................
এভাবে প্রতি কিস্তিতে টাকা পরিশোধ উত্তর সময়ে চক্রাবৃদ্ধি হারে সুদের পারসেন্ট বাড়তে থাকে। ৪০তম সপ্তাহে দেখা যায় করিম মিয়ার কাছে তার সঞ্চয়ের টাকা অবশিষ্ট আছে কিন্তু সে টাকা ব্যবহারেও তাকে সুদ দিতে হচ্ছে।
এর মাধ্যমে কিভাবে আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে, আমি বুঝতে পারছি না। শুধু দেখি আমাদের পাড়ার মহল্লার লোকজন ইয়া নফসি, ইয়া নফসি পড়ছে, আজ কিস্তির দিন, আজ কিস্তির দিন, আজ কিস্তির দিন
ক্ষুদ্রঋণ এ কোন ঋণ খেলাপী নাই, ১০০% টাকা কালেশন হয়। খেয়ে থাক আর না খেয়ে থাক কোন মাফ নেই। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতেই হবে। কিস্তির দিনে মা মরে গেলেও মাফ নেই, লাশ থুয়ে আগে টাকা গুনতে হবে।
এমনকি নিজে মরেও শান্তি নেই, এনজিও কর্মীরা টাকা না পেলে লাশ দাফন করতে দিবে না।
তবুও ক্ষুদ্রঋণ আমাদের গর্ব, কারণ এদেশ ক্ষুদ্রঋণের রোল মডেল।
(চলমান)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।