আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাস্তব দুনিয়ার আজব খবরঃ ৭৫ বছর পানাহার না করে বেঁচে আছেন প্রহ্লাদ ভাইজানি

পরজীবীর মত বেঁচে আছি। সবার শ্রম আর ঘামের উপর দখলদারিত্ব করে। আমার মত অসৎ সকলে, যারা উৎপাদন ও শ্রমের সাথে যুক্ত না হয়ে বেঁচে থাকে।

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল (শীর্ষ নিউজ ডেস্ক): প্রহ্লাদ ভাইজানি নাম হলেও মানুষ তাকে মাতাজি বলেই ডাকে। গেরুয়া পরিহিত দীর্ঘ সাদা চুল-দাড়িতে ৮২ বছর বয়স্ক এ ভারতীয়কে একজন সাধু-সন্ন্যাসী বলেই মনে হয়।

মাতাজি পানাহার না করেই আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছর বেঁচে আছেন। ৮ বছর বয়স থেকে পানাহার ত্যাগ করেন এবং আজ পর্যন্ত মুখ দিয়ে কোনো খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করেননি। তার এই বেঁচে থাকাটা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের জন্য বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। এ জন্য গত ২২ এপ্রিল তাকে আহমেদাবাদের স্ট্যালিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৭ মে পর্যন্ত চলবে তার উপর গবেষণা। ৩২ জন চিকিৎসক তার উপর গবেষণা করছেন। এদের মধ্যে স্ট্যালিন হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট ড. সুধীর শাহের নেতৃত্বে রয়েছেন ২৫ জন বিশেষজ্ঞ। তার সাথে রয়েছেন ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অব ফিজিওলজি অ্যান্ড এলাইড সায়েন্সের (ডিআইপিএএস) ৭ বিজ্ঞানী। http://www.biplobiderkota.com নয়াদিল্লির ডিআইপিএএস-এর ডিরেক্টর জানিয়েছেন, গুজরাটের এই রহস্যময় মানবের উপর গবেষণা চালিয়ে আমরা তার বেঁচে থাকার বিকল্প শক্তির উৎস বের করতে চাই।

যে শক্তি আমরা মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারব। তিনি আরো বলেন, বিশেষজ্ঞরা যদি তাদের গবেষণায় সফল হন তাহলে মানুষের শরীরের এই বিকল্প শক্তির উৎস সৈনিক ও নভোচারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এ বিকল্প শক্তি সৈনিক ও নভোচারীদের ক্ষুধা নিবারণ করবে। প্রহ্লাদ জানি বলেন, তার বয়স যখন আট বছর তখন তিনি মায়ের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন এবং তখন থেকেই তিনি পানাহার না করে বেঁচে আছেন। তিনি আরো জানান, প্রকৃতির ডাকেও তাকে সাড়া দিতে হয় না।

তিনি তার বেশির ভাগ সময় মেডিটেশনে কাটান। ড. সুধীর শাহ জানান, প্রহ্লাদ তার ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শরীরের ১৫০ মি.লি. ইউরিনের মধ্যে ১০০ মি.লি. শুকিয়ে ফেলেছেন। এখানে উল্লেখ করা দরকার, প্রহ্লাদের পানাহার না করে বেঁচে থাকার দাবিটি প্রমাণ করার জন্য ২০০৩ সালে তাকে ১০ দিন স্ট্যালিন হাসপাতালে চিকিৎসকদের কড়া নজরদারীতে রাখা হয়। (শীর্ষ নিউজ ডটকম/ আরআর/ সস/ ০০.০৫ঘ.)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।