দুই বছর বাদে এখন সরকার এই নির্বাচন চাইলেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইনি জটিলতাকে কারণ দেখিয়ে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এড়াতে চাইছে।
২০০২ সালের এপ্রিল মাসে সর্বশেষ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়। ২০০৭ সালের মে মাসে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হয়।
এ টি এম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি এরপর ঢাকা সিটি নির্বাচনের উদ্যোগ নিলেও তা করতে পারেনি। এর মধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি কর্পোরেশন করে সরকার।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেয়ার পর গত বছরের এপ্রিল মাসে তফসিল ঘোষণা করেও আইনি জটিলতার কারণে তা আর করতে পারেনি।
আইনি সেই জটিলতা কাটার পর বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের সঙ্গে ঢাকারি বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
বুধবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কাজী রকিব বলেন, সরকার এই নির্বাচন চায়। স্থানীয় সরকার বিভাগ অনুরোধও জানিয়েছে।
তবে সুলতানগঞ্জের নতুন এলাকা সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্তির পর আইনি বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে অবস্থান জানান তিনি।
“আমরা প্রস্তুত থাকলেও আবার আইনি জটিলতায় পড়তে চাই না। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। এখন কোনো স্থগিতাদেশ নেই। কিন্তু নতুন এলাকা নিয়ে জটিলতায় পড়তে হতে পারে। ”
ডিসিসি দক্ষিণের ওই ১৩টি এলাকা বাদ দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধও করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
ডিসিসি দক্ষিণকে রেখে উত্তরের তফসিল দিতে বাধা কোথায়- প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান সিইসি।
সংবাদ সম্মেলন ডেকে নির্ধারিত বিষয়ে সিইসি সাংবাদিকদের তিনটি প্রশ্ন করার অনুরোধ করেন। এর আগেই একই অভিজ্ঞতা হয় সাংবাদিদের।
নিজের বক্তব্যের বাইরে কোনো প্রশ্ন করা হলে প্রায়ই তা এড়িয়ে যান তিনি।
বুধবার ডিসিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে উঠলে কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষের ঘোষণা না দিয়েই উঠে যান তিনি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ পেয়ে কাজী রকিব নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের ইসি দুই মাসের মাথায় ডিসিসির দুই ভাগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিরো। আদালত স্থগিতাদেশ দেয়ায় এক বছর আর উদ্যোগ নেয়া যায়নি।
গত ১৩ মে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনি বাধা দূর হলেও নতুন করে নতুন এলাকা ডিসিসিভুক্ত হওয়ায় (১ জানুয়ারি তেজগাও সার্কেলের কামরাঙ্গীরচর থানার সুলতানগঞ্জের ১৩টি পাড়া/মহল্লা) নতুন জটিলতার শঙ্কা তৈরি হয়।
নতুন এলাকাকে ওয়ার্ডভুক্ত না করে নির্বাচন দিলে ফের নির্বাচন স্থগিতের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছে ইসি।
ছসিবহ ভোটার তালিকা করার পর বর্তমান সরকারের মেয়াদে শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি কয়েকদফা উদ্যোগ নিয়েও ডিসিসি নির্বাচন করতে পারেনি।
নির্বাচন করতে না পারায় ওই সময় সিইসি হুদা সরকারের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে। বিদায়ের সময়ই তিনি এই নির্বাচন করতে সরাসরি অপারগতা প্রকাশ করেন।
২০১১ সালের নভেম্বরে উত্তর ও দক্ষিণ নামে ডিসিসি ভাগ হলে বিদায় নিতে হয় নির্বাচিত মেয়র বিএনপির সাদেক হোসেন খোকা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের।
এরপর থেকে অনির্বাচিত প্রশাসক দিয়েই এই সিটি কর্পোরেশন দুটি চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।