(لا اله الا الله محمد رسول الله) আলেম তাদের বলা হয় যারা ইসলাম, কোরআন, হাদিস, ইসলামের যাবতীয় আইন কানুন সর্ম্পকে অবিজ্ঞ, আলেম গণ হল মুসলিম সামাজের দর্পন ও নির্দেশক স্বরুপ, মুসলিম সমাজে আলেমরা হল সর্বোচ্চ সম্মানিত, মুসলিম সমাজে প্রতিটি ব্যক্তি তার জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে ছুটে যায় আলেমদের কাছে, এখনো আমাদের দেশে কোন ব্যাক্তি দাড়ী, টুপি দিয়ে রাস্তাদিয়ে চলার সময় অন্য সাধারণ মানুষ তাদের সালাম দেন ও বিশেষ সম্মান করেন, আর আলেম গণের চরিত্র হয় সৎ, তাদের অন্তেরে রয়েছে প্রচন্ড ঈমাণী শক্তি, আখলাক, তাকওয়া, আকিদা, মনবতা, প্রেম, এই গুলো আলেমদের চরিত্রের অন্যতম উপকরণ, আমাদের মুসলিম সমাজে এখনো ছেলেদের ইসলামী শিক্ষার জন্য পাঠায় মাদ্রাসায়, মাদ্রাসার শিক্ষাত্রীদের হাতে থাকে পবিত্র হাদিস, কোরআন শরীফ, ভিবিন্ন ইসলামী শিক্ষার বই, কিন্তু দুঃখ জনক আমাদের দেশের সেই অবুঝ নিরহ মাদ্রাসার শিক্ষাত্রীদের হাতে আজ তুলে দেওয়া হচ্ছে লাটি, মাথায় টুপির পরিবর্তে হেলমেট, মাথায় টুপি ও লম্বা পাঞ্জাবী পরিয়ে নামানো হচ্ছে রাজপথে রাজনৈতিক আন্দোলনে, আলেমদের মুখে থাকার কথা পবিত্র হাদিস ও কোরআনের বয়ান, কিন্তু আজ আমরা কিছু আলেমদের মুখে দেখতেছি রাজনৈতিক বক্তব্য, হরতাল দেবার হুমকি, সরকার পতনের হুমকি, আলেমগন সাধারণত মিলাদ মাহফিল করেন,কিন্তু আজ দেখতেছি কিছু আলেমের ছদ্দবেশে রাজনৈতিক জনসভা, হলতাল ও লংমার্চ করতে, দুঃখ জনক ব্যাপর হলো আমার বুদ্ধি হবার পর থেকেই আমাদের দেশে যতবার দেখেছি ইসলামের আবমানন ও আপমানিত হতে দেখেছি তার পেচনে আবদান রেখেছেন কিছু আলেমের ছদ্ধ রুপে উগ্রমৌলবাদী ও র্ধম আন্ধ রাজনৈতিক সংগঠন গোষ্টি। সাধারণ মুসলামন যারা আলেমদের মত অভিজ্ঞ নয়, তারা ইসলাম র্ধম সর্ম্পকে তেমন কোন বির্তক ও আলোচনা সমালোচনা করেনা, সাম্প্রতিক আমরা দেখেছি কিছু মানুষ নাস্তিকদের ব্যাপারে খুবই সোচ্চার হতে, ভাল কথা আমি নিজেও চায় প্রকিৃত নাস্তিকদের উপযুক্ত শাস্তি হোক, শুধু বাংলাদেশ থেকে নয পুরো বিশ্ব হতে নাস্তিকবাদ নিপাত যাক, নাস্তিকদের শাস্তি, গ্রেফতার ও তাদের মৃত্যু দন্ডের দাবীতে কত কিছু করা হলো, হরতাল, জ্বালাও পোড়াও, ভাংচুর, হাঙ্গামা, উৎশৃঙ্কলতা, বিশৃঙ্কল আর আরজকতা, এক পর্যায়ে সরকারের সবাইকে নাস্তি উপাধী দেওয়া হলো, সবব্লগারদের কপাল জুটল নাস্তিক অপবাদ, বড়ই আপসোস , বড়ই আজব দুনিয়া , নাস্তিকদের বিরুদ্বে কত কিছু করা হলো, কিন্তু ইসলামে এক মাত্র সংবিধান ও সরাসরি আল্লার সৃষ্টি প্রবিত্র কোরআন শরীফ জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, কিন্তু আজ সবাই নিরভ, আমি জানিনা কে ঐ দিন ৫ মে পবিত্র কোরআন শরীফে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, যেই ব্যাক্তি বা গোষ্টী পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন দিক না কেন, তারাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় কাফের ও নাস্তিক। আজ কোথায় গেল বি,এন,পি, জামাত শিবির ও হেফাজত? পবিত্র কোরআন শরীফে আগ্নি সংযোগ করীদের ব্যাপারে আজ নীরভ কেন মেডাম? বড়ই অদ্ভুদ আমাদের চিন্তা চেতনা। ১) দাড়ী টুপি দিয়ে নাটক সিনামে বানানো যাবেনা , কারণ এতে দাড়ী টুপির আবমান হয়, কিন্তু মুখে দাড়ী ও মাথায় টুপি দিয়ে গাড়ীতে আগুন দেওয়া যাবে, গাড়ী ভাংচুর করা যাবে, ২) নারীরা রাস্তায় বের হতে পারবেনা, কিন্তু মেডাম বেপর্দা হয়ে পুরো দেশ ঘুরতে পারবে। নারী নেতৃত্ব হারাম কিন্তু মেডামের পার্শ্বে বসে সমাবেশ করতে আরাম, ৩) জামাত শিবির সমর্ত করলে সাচ্চা মুসলিম , কিন্তু জামাত শিবির কে রাজাকার বললে নাস্তিক, ৪) সাধারণ ব্লগারদের নাস্তিক বলে গালি দেওয়া হয়, কিন্তু কোরআন শরীফে আগ্নি সংযোগ করীদের জামায আদরে খাতির করা হয়। আজবড়ই হুমকির মুখে পড়েছে দেশ ও ইসলাম, পবিত্র ইসলামকে ব্যাবহার করা হচেছ রাজনৈতিক হাতিয়ার রুপে, এই ভাবে আর কত দিন? এর শেষ কোথায়?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।