আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
আয় আইজকা!
তো মামুরা, মেলাদিন পর মনে পইড়া গেলো কলেজ লাইফের কথা। বন্ধ একখান আছিলো সেতু নাম কইরা, শয়তানীতে কামেলে হাফেজ, চেহারা ভোলে ভালা। একদিন কইলো ডাইকা,' শোনরে ওরে মান্ঞ্চুমিয়া, আইজকা চটি কিনমু গিয়া, ফার্মগেটের গোড়ায়!' আমরা কইলাম,'আয় আইজকা, দিনখান আজকা ব্যাপক ভালা!'
যেই না কথা সেই না কাজ, হাটতে হাটতে ব্রীজের পাশ, সেতু মামু ফুটপাত গিয়া, কইলো,'মামু' ভাব নিয়া,' আছে নাকি?' আলগা চাউনি। মামা তাকায় ডাইনে বায়ে,' কি লাগবো, কও না আগে?'
: আরে মামু, কি যে কও, অখনো সব ভাইঙ্গা লও, চটি আছে, বেচবা নাকি?
: কি কও মিয়া, এই নাদান পোলা, এই বয়সে কি করবা নিয়া? যাও মিয়া রাস্তা মাপো!
সেতু মামো ফাপড় খাইয়া, কইলো মোরে,' দেখলা হালায় কইলো কি?' আমি কইলাম 'ব্যাপার না, আজকা নাইলে পরশু গিয়া!' দুই-তিন দিন পার হইলো, বাংলা ক্লাসে কইলো সেতু,'মামো, আজকা আনছি জিনিস, পড়বা নাকি, দিবা ফিনিস?'
আমি দেখি রঙ্গিন চটি, দেইখা মাথা গরম দেখি,'মামা,মোরে আজকা দিবা, মাথা আমার গেছে ঘুইরা।
'
: কি কইলা এইডা তুমি? ব্যফক বুকিং, দুইদিন পর শিডিউল চেকিং। লাইনে খাড়াও দূরে গিয়া!
মাথাডা সেদিন ব্যাফক বিলা, অতীত স্মৃতি ব্যাফক মজা।
সেই সেতুর দেশের বাড়ি, বরিশালের পাশে নোয়াখালি। একবার নাকি ঈদের ছুটি, দেশের বাড়ি ট্রলার দিয়া যাইতাছিলো মামো মিয়া। নীচের ডেকে টাংকি দিয়া বসলো যখন জানালার পাশে, নদীর পানি জানালা থিকা সেন্টিমিটার ২-১ দিয়া ঢেউ খেইলা যায় আনমনে।
এই নজারা দেইখা মামো কয়যে মনে,' ও আল্লাহু, কলেমা খান কেমনে কমু!' এমুন সময় পাশের সীটে পিচকা মাইয়া উটকি মারে, বমি করতে জানালা দিয়া যেই না মাথা বাড়াইলো, ওমনি মামো হের ঘেটি ধইরা,' করো কি, মাথা বায়রা দইয়া, দেখো না পানি কেমনে উঠে, বমি করলে নৌকা ডুইবা যাবে!' এই কথাটা শুইনা সবাই 'বেকুব' ভাইবা হাসলো সবাই। ঐডাই ছিলো শেষ নৌকায় উঠা, মামো এখন আমেরিকা! ফেসবুকে তার প্রোফাইল দেখি, কি যে করে খালি ভাবি!
ইদানিং রাস্তা দিয়া হাস উইড়া যায় পাংখা মেইলা। আমাগো দেশের হাসগুলান কেমনে এমুন উড়ে না, মনে হয় সব কুইড়া হইয়া আমাগো লগে তাল মিলাইয়া ঝিমায় খালি দিনটা ভইরা। মন রে বুঝাই টার্কি খামু, মাগার এই হাস ধরলে জেলে যামু, তারপর সোজা দেশের রাস্তা, জিগাইলে কমু,' বিদেশ ভালো লাগে না!'
ইদানিং নাকি টেলিফোনে, চান্দাবাজী চলে সমানে, কে জানি সেদিন ফোনে কইলো, তাগো বাসায়ও নাকি ফোন আইছিলো। কইলো নাকি খুরশেদ ভাই,' ৫০০০০০ টাকা চাই।
' সেই ভয়েতে বাপ তাহার চিন্তা ভাবনায় শান্তি কাবার, কোনো মতে ৩ লাখেতে দফারফা করলো শেষে, কে জানে এই টাকাটা চাইছে কিন্তু ঐ বন্ধুখানা। কেমন সময় কেমন দেশ, নিজের বাড়ি চান্দাবাজী কইরা সব করলো শেষ। অখন নাকি ইউরোপ আইবো, সুন্দর সুন্দর নজারা দেখবো, আমি কইলাম,' মামা আমার, টাকা নিয়া দেশেই থাকো, পারলে ৪ টা বিয়া করো, তাও এইখানে আইসো না পায়ে কুড়াল মাইরো না!'
কে শোনে কার কথা, দেশের সবাই বানছে মাজা, সবাই খালি উড়াল দেয়, কয়দিন পর পস্তায়!
কই যাই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।