রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকের রফিক হাউজিংয়ে (প্লট-৩৮, রোড-৯, ব্লক-খ) ভাড়া বাসায় থাকেন জাতীয় পর্যায়ের একজন ক্রিকেটার। সাধারণত মাসে তাঁর বিদ্যুৎ বিল এক হাজার টাকার কাছাকাছিই থাকে। কিন্তু মাস তিনেক ধরে বিল ক্রমাগত বাড়ছিল। ওই ক্রিকেটার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছিলেন না। এর মধ্যে ৫ আগস্ট তাঁকে আড়াই হাজার টাকার বিল দেওয়া হয়।
বিল অনুযায়ী মিটার রিডার গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাঁর মিটারে আট হাজার ৯১৫ ইউনিট থেকে নয় হাজার ৩৮১ ইউনিট পর্যন্ত ৪৬৬ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখিয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ আগস্ট ওই মিটারটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, মিটারে সেদিন পর্যন্ত উঠেছে নয় হাজার ২৫৫ দশমিক ৯ ইউনিট। অর্থাৎ মিটার রিডার যেদিন বিদ্যুৎ ব্যবহারের হিসাব নিয়ে বিল করেছেন, তার ১৭ দিন পরও মিটারে উঠেছে উল্লিখিত ইউনিটের চেয়ে প্রায় ১২৫ ইউনিট কম। হাতেনাতে এই প্রমাণের পরও ওই ক্রিকেটার তিন দিন বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ঘুরে বিল সংশোধন করতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিল হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা।
এত হেনস্তা সত্ত্বেও অন্য অনেক গ্রাহকের কাছে ওই ক্রিকেটার ভাগ্যবান। কারণ, তিনি প্রতিকার পেয়েছেন। অসংখ্য গ্রাহক এমন ভুতুড়ে বিল পেয়েও বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ধরনা দেওয়ার এত সময় দিতে পারেন না; অনেকে হাতেনাতে ভুলের প্রমাণও দিতে পারেন না। ফলে প্রতিকারও পান না। বিদ্যুৎ বিলের নামে তাঁরা শিকার হচ্ছেন প্রতারণার, মিটার রিডারের খামখেয়ালির।
কল্যাণপুরের এক বাসিন্দা দেখালেন তাঁর বাড়ির কমন মিটারের বিল। এই মিটারে সাধারণত পানির পাম্প, লিফট, নিরাপত্তা বাতি প্রভৃতি যুক্ত থাকে। এই মিটারে তাঁর মাসে সর্বোচ্চ বিল হয় ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু গত তিন মাসে তা বাড়তে বাড়তে ২৯ হাজার টাকায় উঠেছে। এর মধ্যে জুন ও জুলাই—এ দুই মাসের বিলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে কোনো ব্যবধান নেই।
বিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা বেশি। এই গ্রাহক তাঁর বিলগুলো দেখালেও ঠিকানা প্রকাশ করতে রাজি হননি। কারণ হিসেবে জানালেন, ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়ে গেছে। কিছু বাড়তি টাকার বিনিময়ে তিনি বাড়তি বিলের বোঝা থেকে নিস্তার পাবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।