working in DPL প্রায় একশো বছর আগে হিরের খোঁজে ভিড় জমিয়েছিলেন জার্মানির বাসিন্দারা। কোলমানস্কোপ শহরটি তাঁদেরই হাতে গড়া। কিন্তু চল্লিশ বছরেই সেখান থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে নেন তাঁরা। পড়ে থাকে শুধু জার্মান স্থাপত্যের নিদর্শন। শতাব্দী পেরিয়ে এখনও সেখানে দাঁড়িয়ে শূন্য ঘরদোর।
প্রতিনিয়ত একটু একটু করে বালিগর্ভে চলে যাওয়াই যার ভবিষ্যৎ।
কোথায় এই কোলমানস্কোপ? মানচিত্র দেখাচ্ছে আফ্রিকার নামিবিয়ার দক্ষিণ প্রান্তে ‘নামিব’ মরুভূমির মধ্যেই রয়েছে ছোট্ট শহরটি। ১৯০৮ সালে সেখানে রেলের লাইন তৈরি করতে গিয়ে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে একটি পাথরের সন্ধান পেয়েছিল জাকারিয়াস লিওয়ালা নামে এক রেলকর্মী। সঙ্গে সঙ্গে পাথরটি দেখান মালিক অগাস্ট স্টচকে। অগাস্ট জানান, পাথরটি আসলে হিরেই।
ব্যস, কেল্লা ফতে! হিরের লোভে ঝাঁকে ঝাঁকে জার্মানির লোকজন পাড়ি দিলেন নামিব মরুভূমিতে।
বালির স্তূপে ঢাকা পড়ে কোলমানস্কোপ।
পরের ইতিহাসটা তৈরি হল দ্রুত লয়ে। বিস্তীর্ণ মরুভূমিতেই গড়ে উঠল কোলমানস্কোপ। দেখতে, শুনতে, আকারে, প্রকারে ঠিক যেন একটা জার্মান শহর।
আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম ট্রাম চলে এখানেই। ক্রমেই সেজেগুজে উঠল এই ছোট্ট শহর।
কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরই বদলে যায় ছবিটা। বিশ্বযুদ্ধের জেরে পড়তে শুরু করে হিরের দাম। শহর ছাড়তে শুরু করেন জার্মানরা।
১৯৫৪-এর মধ্যে জনমানবহীন হয়ে পড়ে তা।
তার পর থেকে ধীরে ধীরে বালির গর্ভে চলে যেতে শুরু করেছে কোলমানস্কোপ। ইতিমধ্যেই বহু বাড়ি চলে গিয়েছে বালির তলায়। আর বাকিগুলির মধ্যেও জমতে শুরু করেছে বালি। কোনওটার বাইরের ঘর, কোনওটার শোওয়ার ঘর বালিময়।
তারই মধ্যে দিয়ে হেঁটে যান পর্যটকরা। বসতিহীন হয়ে পড়লেও বাইরের দুনিয়ার কাছে ‘ঘোস্ট টাউন’-এর আকর্ষণ আজও অটুট যে।
এখন অবশ্য হিরের খোঁজ পড়ে না সেখানে। কিন্তু হিরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শহরের উত্থান-পতনের ইতিহাস পরখ করতে আজও কোলমানস্কোপে পাড়ি জমান মানুষেরা।
তথ্যসূত্র: গুগল ও আনন্দবাজার পত্রিকা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।