তবে একলা চলরে.......
বিশ্বজুড়ে ইসরাইল বিরোধী মনোভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ফিলিস্তিনীদের গণআন্দোলন আন্তর্জাতিক রূপ নেয়ায় ইসরাইলী কর্মকর্তারা দখলদারিত্ব বজায় রাখতে তাদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সর্বশেষ মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইহুদ বারাক। তিনি স্বীকার করেছেন বিশ্ববাসী ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলের অব্যাহত কর্তৃত্ব বা জবর দখল মেনে নেবে না। তিনি বলেছেন, ইসরাইলকে এটা বুঝতে হবে যে, আন্তর্জাতিক সমাজ ফিলিস্তিনীদের উপর আরো বেশ ইসরাইলী কর্তৃত্ব ও দখলদারিত্ব আর সহ্য করবে না এবং বিশ্ববাসী অন্য জাতির বা জনগণের উপর ইসরাইলীদের অব্যাহত শাসন দেখতে চায় না।
এদিকে ইসরাইলী দৈনিক হার্তেজ জানিয়েছে, তেলআবিব বিশ্ব অঙ্গনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা খালিল আবু লেইলা ফিলিস্তিন, আরব ও অন্যান্য মুসলিম জাতিগুলোকে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ইসরাইল এখন এটা বুঝতে পারছে যে তারা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেছেন, জাল দলিল ও মিথ্যা ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ইসরাইল বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইহুদ বারাক এমন সময় ব্যর্থতা ও হতাশা প্রকাশ করলেন যখন কিছুদিন আগেও ইসরাইলের তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রী ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলী দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখা অসম্ভব এবং এ দখলদারিত্ব টেকসই হবে না বলে মন্তব্য করে করেছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাপক দমন-পীড়ন সত্ত্বেও ফিলিস্তিনীদের প্রতিরোধ আন্দোলনে ইসরাইলের ব্যর্থতার ফলে ইসরাইলী কর্মকর্তারা এখন এ অঞ্চলে জবর দখলের কৌশলে পরিবর্তন আনার আহবান জানাতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছুদিন আগেও ইসরাইলী কর্মকর্তারা নীল নদ থেকে ফোরাত পর্যন্ত বৃহৎ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তব্য দিতেন।
কিন্তু এখন তারা নিজেদের ভ্রান্ত ধারণা উপলব্ধি করতে পারছেন এবং স্বীকার করছেন যে বৃহৎ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ইসরাইলের শোচনীয় অবস্থারই চিত্র ফুটে উঠে যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট বলেছেন, তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য দখলীকৃত কিছু এলাকা থেকে ইসরাইলী সেনা প্রত্যাহার শুরুর পাশাপাশি বৃহৎ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থেকে জরুরি ভিত্তিতে সরে আসা উচিত। এ অঞ্চলের ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থেকে জরুরি ভিত্তিতে সরে আসা উচিত। এ অঞ্চলের ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ইসরাইল আগ্রাসী তৎপরতা অব্যাহত রাখতে চাইলেও ফিলিস্তিনী জাতিসহ এ অঞ্চলের জনগণের প্রবল প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সমাজের তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা ইসরাইলের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। অবশ্য আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব ইসরাইলের মূল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং ইসরাইল তার শেষ সময় পর্যন্ত এ বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার চেষ্টা করবে।
তাই ইসরাইলের ব্যাপারে কোনো উদাসীনতা প্রদর্শন করলেই এ অঞ্চলে ইসরাইলী জবর দখলের ক্ষেত্র আরো পাকাপোক্ত হবে।
যাই হোক ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যখন ইসরাইলের জবর দখল অব্যাহত রাখার কথা বলছেন, তখন অন্য একদল ইসরাইলী কর্মকর্তা নিজেদের ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করায় ও শান্তির কথা বলায় তাদের সুবিধাদি ও সুযোগ সন্ধানী অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর এর ফলে ইসরাইলের প্রতি সন্দেহের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনীদের অব্যাহত প্রতিরোধ আন্দোলনসহ আন্তর্জাতিক সমাজের অব্যাহত নিন্দা ও সমালোচনা ইসরাইলকে আরো কোণঠাসা করার এবং দখলদারিত্ব অবসানের ক্ষেত্র তৈরি করবে। -ইন্টারনেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।