অচেনার মাঝেও নিজেকে চেনার নিঁখুত অভিনয় করি
ফিলিস্তিন এক আতংকিত নগরী। যেখানে মৃত্যু হাতের মুঠোয়। বিশ্ব মানবাধিকারের কথা বলে বলে যে দেশ বড়াই করে সে দেশের স্পষ্ট প্রশ্রয়ে ফিলিস্তানে চলে নির্যাতনের রুলার।
কোন বাছ বিচার নেই। কোথাও আশ্রয় নিলে সেখানেও চলে আক্রমণ।
কোন শিশু স্বপ্ন দেখতে পারে না। নিজের জীবন বাঁচাতেই বাঁচাতেই তার শৈশব পার হয়। কখনো কখনো ঐ শৈশবটাই শেষ। ইসরাইলী বর্বরদের আক্রমণে মারা যেতে হয়।
যেখানে আগামী কাল কি করবে এ পরিকল্পনা করার সুযোগ হয় না ফিলিস্তিনী বাসীর।
দেশের ভিতরেই বন্দী। দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার অধিকার নেই। দেশের বাহিরে যেতে চাইবে সে সুযোগও নাই। কুড়ে কুড়ে মরে সকল আশা আকাংখা। বাবা বাজার করতে বের হলে বাজার নিয়ে ফিরবেন সে নিশ্চয়তাও নেই।
পুরা ফিলিস্তিন যেন একটা কারাগার। অমানবাধিকার খেলা করে নির্মম ভাবে।
বড় খারাপ লাগে সে ফিলিস্তিনি অসহায় জীবন চিন্তা করতে । কি অনিশ্চিত জীবন।
আমরা স্বপ্ন দেখি অনেক কিছু করার।
আর ওরা ব্যস্ত থাকতে হয় আত্মরক্ষায়।
আহত হলে রক্ত ঝড়ে। কিন্তু চিকিৎসা পায় না। বেয়ে পড়া রক্ত গুলো চেয়ে চেয়ে দেখায় যেন নিয়তি।
অনাহারে কেটে যায় ওদের জাতীয় সময়।
এজন্য জাতীয় সময় বলছি ওদের খাদ্য সংকটে পড়তে হয় ব্যাপক ভাবে।
আজ একটা নৌবহর যাচ্ছিলো ত্রাণ নিয়ে। সাহায্য নিয়ে। সবাই মানবাধিকার কর্মী।
আর সে নৌ বহরের উপর হামলা চালায় হায়েনার দল ইসরইলী বাহিনী।
এতে নিহত হয় ১০ জন।
আহত অনেকে কাতরাচ্ছে। হেলিকপ্টার থেকে আক্রমণ করা হয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানালেও ইসরাইলী বাহিনী সুযোগ দিচ্ছি।
এই ধরণের নির্লজ্জ আক্রমণের পরও কি বিশ্ব চুপ থাকবে? মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হবে না?
ইসরাইলী বর্বরতা বিশ্ব আর কয়দিন দেখেই যাবে।
কোন ব্যবস্থা নেবে না। ফিলিস্তানীদের রক্ত কি লাল না? তারা কি মানুষ না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।