Mind is like water, when its agiated it becomes difficult to see but if you allow it to settle, the answer becomes clear
এনার্জি ক্রাইসিস বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি। শক্তির মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হল বিদ্যুতশক্তি। কেননা এটির সাথে আমাদের অস্তিত্ব জড়িত। বিদ্যুৎ ছাড়া জীবন প্রায় অচল। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেশিরভাগ পাওয়ার প্লান্টে ফসিল ফুয়েল যেমন তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
তৈরী হতে লাখ লাখ বছর সময় দেয়া এসব জ্বালানী শেষ হয়ে যাচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে। আর এসব থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাপকহারে পরিবেশ দূষণ ঘটায়। তাই এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের হিসেবে বিকল্প উৎসের কথা বেশ জোরেসোরেই ভাবা হচ্ছে। বিকল্পের মধ্যে আছে নিউক্লিয়ার এবং সোলার এনার্জি বা সৌরশক্তি। আজকে সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব।
সোলার সেল সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। সোলার সেলে সূর্যের আলো পড়লে সেটা থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বাসা বাড়ির জন্য এটি ব্যবহার উপযোগী। কিন্তু এটি যে পরিমান বিদ্যুৎ যোগান দেয় তার চেয়ে খরচ অনেক বেশি। আর চোর বাবাজির সুদৃষ্টি পড়লে তো কথায় নাই।
সোলার সেলের ইফিসিয়েন্সি খুব কম। তাই এটা দিয়ে পাওয়ার প্লান্ট বানানোর কথা চিন্তাও করা যায় না।
তাহলে সৌরশক্তি থেকে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়? বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান সূত্র হচ্ছে টারবাইন ঘুরিয়ে মেকানিকাল এনার্জিকে বিদ্যুতে রূপান্তর করা। তাপবিদ্যুৎ, পানি বিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুৎ, নিউক্লিয়ার সব একই নীতিতে কাজ করে।
সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের কৌশল হল সূর্যের আলো থেকে পানি গরম করে বাষ্প থেকে টারবাইন ঘুরানো।
কিন্তু সরাসরি সূর্যের আলো ব্যবহার করে পানি ফুটানো সম্ভব না। তাই বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় যাতে সূর্যের আলোর বেশিরভাগ ব্যবহার করা যায়।
১ম পদ্ধতিঃ এতে চিত্রের মত উত্তল কাঁচ ব্যবহার করা হয়। তবে এটি কোন সাধারন কাঁচ নয়। বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরী বলে এই কাঁচ সর্বোচ্চ সূর্যালোক প্রতিফলন নিশ্চিত করে।
প্রতিফলিত আলো যেয়ে পড়ে টিউবের ওপর। আমরা আতশ কাঁচ সম্পর্কে সবাই জানি। সূর্যের আলোতে এটি দিয়ে কাগজের ওপর ধরলে কাগজে আগুন ধরে যায়। এখানও একই নীতি মেনে চলা হয়। মানে আলোকে একটি বিন্দুতে ফোকাস করা হয়।
ফলে ঐ স্থানের তাপমাত্রা অনেকগুন বেড়ে যায়। সূর্যের সাথে সাথে কাঁচগুলোর দিকও পরিবর্তন করা হয় যাতে এতে সর্বোচ্চ সূর্যালোক পড়ে। তাই এই পদ্ধতি খুব ইফিসিয়েন্ট।
টিউবের মধ্যে দিয়ে বিশেষ ধরনের লিকুইড সবসময় চলাচল করে। গরম লিকুইড পানি গরম করে আর গরম পানির বাষ্প থেকে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
টিউব তৈরীতেও রয়েছে বিশেষ কারসাজি। বিশেষ কাঁচের তৈরী টিউব মধ্যে বায়ুশূণ্য করা হয়। তারপর এতে লোহার পাইপ ঠিক মাঝখানে স্থাপন করা হয়। এতে বিকিরন পদ্ধতিতে ঢুকা সূর্যালোক যাতে পরিবহন পদ্ধতিতে বের হতে না পারে তাই এই বায়ুশূণ্য ব্যবস্থা। লোহার পাইপটি কালো রঙ করা থাকে যাতে বেশির ভাগ তাপ শোষিত হয়।
আলো প্রবেশের পর কাচের টিউবটি গ্রীনহাউসের মত কাজ করে। তাই তাপের সর্বোচ্চ সৎব্যবহার নিশ্চিত হয়।
কিন্তু এ তো গেল দিনের বেলা। প্রধান গ্রীডের যুক্ত করলে তো দিনরাত সবসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বিদ্যুতের ক্ষেত্রে থিউরী হচ্ছে “ইউজ ইট অর লুজ ইট!” অনেক গবেষণার পর একটি খুব ইন্টারেস্টিং পদ্ধতির মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিনে উৎপাদিত বিদ্যুৎ রাতে ব্যবহারে জন্য জমা রাখা যায়।
(চলবে...)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।