সহজ সরল কঠোর... পলি মাটির তৈরী
সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান অনেকটাই ভোগের সামগ্রীর মত। নারীরা যতই আন্দোলোন করে যাচ্ছে এর ফল খুব একটা সন্তোষ জনক নয় বলেই আমার মনে হচ্ছে- আশা করি আপনারাও আমার সাথে একমত।
পৃথিবীতে নারীকে সকল যুগে ও সকল সময়েই খেলনা ও বিনোদন সামগ্রীর সাথে একই কাঁতারে দাঁড় করানো হয়েছে। এমনকি প্রাচীন থেকে বর্তমান কোনো ধর্মেও নারীর সামাজীক অবস্থানের সঠিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র ইসলাম ছাড়া।
ইসলাম নারীকে একটি বস্তুগত অবস্থান থেকে তুলে এনে সম্মানের সাথে মানুষদের কাতারভুক্ত করে দিয়েছে। দিয়েছে সামাজীক এবং মানবিক মুল্যবোধের সমন্বয়ে একটি উন্নত অবস্থান। কিন্তু আজ আমরা যারা ইসলাম ইসলাম বলে আর্তস্বর তুলি কখনো কখনো দেখা যায় তাঁরাও যথেষ্ট অধিকার ও সম্মান নারীর প্রতি করেননা।
আল্লাহ কি বলেছেন?
وَآتُواْ النَّسَاء صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا (4
আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে| তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর|
And give to the women (whom you marry) their Mahr (obligatory bridal money given by the husband to his wife at the time of marriage) with a good heart, but if they, of their own good pleasure, remit any part of it to you, take it, and enjoy it without fear of any harm (as Allâh has made it lawful).
আর আমাদের সমাজে ট্রেন্ড হয়ে গেছে যে অর্ধেক দেবো আর অর্ধেক মাফ চেয়ে নেবো... তার মানে কি মাফ চেয়ে নেয়ার সুজোগ দিয়েছে বলেই প্রত্যেকের জন্য এটাই হবে? এটাতো শুধুমাত্র যারা একান্তই অপারগ তাদের জন্য। তাহলে ঠকানো হচ্ছে নিশ্চই।
আর নারী পুরুষের সৃষ্টিগত পার্থক্যের কারনে এরা একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে। সেই আকর্ষনকে নির্দিষ্ট সিমার মধ্যে রাখার জন্যই পর্দার হুকুম দেয়া হয়েছে। পর্দার ব্যাপারে একটি কমন ধারণা হচ্ছে এটি মেয়েদের জন্য। মেয়েরা তাদের সাড়ে তিন হাতের শরীরটুকু কে ঢেকে চললেই পর্দা হয়ে গেলো ব্যাস...এমনকি তাতে যদি শক্তি প্রয়োগ করতে হয় তাও করতে হবে...
যাদের সাথে পর্দা করা জরূরী নয় তাদের ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'লা ঘোষনা করেন
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالاَتُكُمْ وَبَنَاتُ الأَخِ وَبَنَاتُ الأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللاَّتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللاَّتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ اللاَّتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُواْ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلاَئِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلاَبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُواْ بَيْنَ الأُخْتَيْنِ إَلاَّ مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا (২৩
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্র্যাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে| যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই| তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে| নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাকরী, দয়ালু|
Forbidden to you (for marriage) are: your mothers, your daughters, your sisters, your father’s sisters, your mother’s sisters, your brother’s daughters, your sister’s daughters, your foster mother who gave you suck, your foster milk suckling sisters, your wives’ mothers, your step daughters under your guardianship, born of your wives to whom you have gone in - but there is no sin on you if you have not gone in them (to marry their daughters), - the wives of your sons who (spring) from your own loins, and two sisters in wedlock at the same time, except for what has already passed; verily, Allâh is OftForgiving, Most Merciful.
এইসব লোকদের ছাড়া অন্য সবাই কেই পর্দা করতে হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কার পর্দাটা জরূরি? নারীর নাকি পুরুষের?
এই প্রশ্নের জবাবে আল্লাহ বলেনঃ-
"হে নবী আপনি মু'মি নারী ও পুরুষদেরকে বলেদিন তারা যেনো তাদের চক্ষুকে নিন্মগামীকরে রাখে"
সজাসুজি এখানে বলে দেয়া হয়েছে পর্দাটা আসলে কোনো একজনের জন্য নয়।
এটা সমান ভাবেই নারী ও পুরূষের জন্য প্রজোয্য।
কিন্তু আজ আমাদের সমাজে আমরা পর্দার ব্যাপারে শুধু নারীকেই চাঁপ প্রয়োগ করি...অন্যদিকে পুরুষদেরকে তেমন ভাবে করা হয়না বলেই বোরখা পরা ও পর্দানশীল নারীদেরকেও লাঞ্চিত হতে দেখি। যা কাম্য নয়।
সেই সাথে নৈতিক শিক্ষার অনুপস্থিতি ভয়াবহ ভাবে টের পাচ্ছি।
কেস ষ্টাডী--------
অনেক বড় আলেমের বংশধর।
তার মাতামহ দেশ বিদেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যে অন্যতম। পিতাজীও কম যান না। কথায় কথায় কুরান হাদিসের বুলি... যদিও সাড়ে তিনহাত শরীরে তার কোনো অঙ্গশই খুঁজে পাওয়া যায়না। উন্নত শিক্ষাব্যাবস্থায় মাধ্যমিক স্তরে পড়ূয়া ছেলেটি যখন তার পরিচিত একটি মেয়েকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করার প্রচেষ্টা চালায় (যদিও সফল হয়নি) যে মেয়েটি পুরোপুরি হিজাব মেনে চলে (মনে প্রাণে ও প্রকাশ্যে) তখন আমাদের কষ্টানুভুতির শেষ দেয়ালগুলো ও আছড়ে পড়ে...
কাকে দায়ী করবেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।