আমি আমার রব হিসাবে আল্লাহতায়ালাকে রাজি করাতে চাই। মেয়েদের জন্য ইসলামী পর্দা কোনো প্রথাগত বিষয় নয় বরং এটা ইসলামী শরীয়তের ফরজ হুকুম আর পুরুষের চরিত্র রক্ষাকবজ। ইসলামী এই পর্দকে যদি কেউ প্রথা হিসাবে না নিয়ে ধর্মীয় ফরজ হুকুম হিসাবে মানে তাহলে সে মেয়ে কোনোদিনই তার ইজ্জদ-সম্মানকে অন্য পুরুষের কাছে বিলিয়ে দিতে পারে না এবং কোন সভ্য ছেলেরাও তাদের চরিত্রকে নষ্ট করার জন্য উৎসাহিত হবে না। উল্লেখ্য মেয়েদের যেমন শারীরিক পর্দার বিধান আছে তেমনই পুরুষেরও আছে বিভেকের পর্দা যা শারীরিক পর্দার চাইতেও হাজার গুন বেশি কঠিন। বর্তমান সমাজে পর্দাকে মুসলমানের উন্নতির পথে বাধা হিসাবে দেখা হচ্ছে অথচ যতদিন মুসলমান তাদের ধর্মীয় অনুশাসন সমূহ যথাযথ ভাবে পালন করতে ছিল ততদিন তারা নিজেরাও যেমন সুখে-শান্তিতে ছিল তেমনী অন্যন্য ধর্মীয় বিশ্বাসী মানুষের জন্য শান্তির মডেল ছিল।
বিশ্বমানবতা মুসলমানদের জীবন-ব্যবস্থায় কোন কালিমা লেপনের সুযোগ পাচ্ছিলনা আর আজকের কিতাবী ধর্ম সেদিন মুসলমানরে জীবনে প্রতিফলিত হতো কিন্তু দুঃখ আজ এই জন্য যে, যে জাতি একদিন সমগ্র মানবজাতির তৃষণা নিবারন করতেছিল তারা নিজেরাই আজ তৃষণায় এমন ভাবে কাতর যে, তাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তুষণার্ত এই মুসলমান তাদের হাজার উজ্জর ইতিহাসকে ভুলতেই বসেছে। মাত্র কয়েক শতক বছর আগে ১৪৯২ সালে স্পেন থেকে দীর্ঘ ৮০০ বছরের ইতিহাসের অবসান হয়েছে । বর্তমান ইউরোপে যেনো মুসলমানদের অস্থিত্ব বুঝা যাচ্ছে না। যুগের পর যুগ দিল্লি মুসলমান শাসকগন শাসন করলেও আজ বর্তমান ইন্ডিয়া যেন মুসলমানের জন্য জল্লাদখানা। হায় মুসলমান বাঘের বাচ্চা হয়েও তোমরা কেনো ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চার মতো মায়ের দুধ খাওয়ার জন্য অন্যের করুনার উপর বসে আছো? তোমাদের সোনালী ইতিহাসসমূহ কেনো জানতে চাও না? ধর্মীয় পর্দা মুসলমানদের উন্নতির পথে প্রতিবন্ধক নয় বরং উন্নতির সহায়ক এবং বেহাপনার/অশ্লিলতার পথে প্রতিবন্ধক।
মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।