একটা ঘটনা পড়ে অনেক খারাপ লাগল। আপনারা ও পড়ুন, যদিও কাহিনীটা অনেক পুরোনো। লেখাটা মূলত একটা গানকে নিয়ে। প্রথমেই লিরিকটি দেখুন.....
নিকষ কালো এই আঁধারে
অন্ধকার ঘরে, কাগজের টুকরো ছিঁড়ে
কেটে যায় আমার সময়
তুমি গেছো চলে
যাওনি বিস্মৃতির অতলে
যেমন শুকনো ফুল বইয়ের মাঝে রয়ে যায়
রেখেছিলাম তোমায় আমার হৃদয় গভীরে
তবু চলে গেলে এই সাজানো বাগান ছেড়ে
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়……
নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজ পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাসটুকু দু’হাতে আঁকড়ে ধরে।
কিছু পুরোনো গান
কিছু পুরোনো ছবির অ্যালবাম
এসবই আমার সাথী হয়ে রয়
কাকডাকা ভোরে
যখন সূর্য ঢুকে ঘরে
কালো পর্দায় বাধা পেয়ে সরে যায়
আমার এ জগত বড় আগলে রাখে আমায়
তবু মাঝে মাঝে মনে হয়
মৃত্যুই কি শ্রেয় নয়
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়
নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজ পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাসটুকু দু’হাতে আঁকড়ে ধরে
আমার সব গান ধূলোয় মিশে যেতে চায়
অস্তিত্বের প্রয়োজনে
চাই তোমাকে এখানে
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়
নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজ পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাসটুকু দু’হাতে আঁকড়ে ধরে।
নেপথ্য কাহিনী:
গানটির রচয়িতা,গীতিকার ও সুরকার চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র।
৫ বছর ধরে একটি মেয়ের সাথে ছেলেটির সম্পর্ক থাকে। কী এক অজানা কারণে মেয়েটি ছেলেটিকে ছেড়ে আর একজনের সাথে সম্পর্ক করে। এতে সেই ছেলেটি অনেক দুঃখ পেয়ে গানটি রচনা করে মেয়েটিকে উৎসর্গ করে। তারপর অনেক কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করে।
গানটি শোনার পর মেয়েটি যখন ছেলেটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে সে তার জন্যই আত্মহত্যা করেছে,এরপর সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে এর জন্য দোষী ভেবে সেও আত্মহত্যা করে। আবার ওই মেয়েটির সাথে তখন যে ছেলেটির সম্পর্ক চলছিলো সেও মেয়েটির আত্মহত্যার কথা শুনে থাকতে না পেরে সেও আত্মহত্যা করে। গানটি পেপার রাইম নামে একটা ব্যান্ড ১৯৯৯ সালের দিকে তাদের একটি অ্যালবামে বের করে।
গানটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।