আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
ঋতু পরিবর্তন হবার সময়। চারিদিকের সব সাদা বরফের অস্তীত্ব দিন দিন কমে যাচ্ছে। সবাই বলছে এবারের ঝলমলে গ্রীষ্মে বেশ গরম পড়বে। আমি আশায় আছি গরমের ছোয়াটা পাবার জন্য।
দেশে থাকতে যখনই রাস্তা দিয়ে হাটতাম তখনই একটু গরমেই শার্ট ভিজে যেতো। তবুও সেটাতে এতটাই অভ্যস্ত ছিলাম যে হাতের কাজটা করতে তেমন অসুবিধা হতো না। সবচেয়ে বেশী সমস্যা হতো যখন রাতের বেলা পাওয়ার চলে যেতো। কিন্তু তারপরও কিছু সময় কাটতো তখন খুব সুন্দর, এই যেমন বাসার সবাই একসাথে বসে গুটুর মুটুর করা। পাওয়ার থাকলে দেখা যেতো সবাই কেউ টিভি অথবা কেউ ইন্টারনেট।
অথবা মধ্যরাতে বসে বসে আকাশের চাদ দেখা, অপূর্ব এক অনুভূতি।
এখানে এসব নেই, নেই পরিচিত মানুষ, নেই সেই মুড যে আকাশে তাকিয়ে দেখবো চাদ। সময় কাটানোর জন্য পাব নইলে ইন্টারনেট। অবশ্য লেখাপড়া যারা করছি তাদের কাছে সময় হচ্ছে এক মূল্যবান ব্যাপার, কারন তাদের কাছে সবকিছু থাকলেও এটা থাকে না। সমস্যা হলো একটাই, আমার মনের একটু অসুখ আছে, আমি সবার সাথে আর মিশতে পারি না।
কয়দিন ধরে শুনছি বিমানবন্দরে বিমান নামতে পারছে না। আকাশে ছাইয়ের দানা দখল করেছে সাদা মেঘগুলোর পিঠ। প্রোগ্রামিং নিয়ে বসলে রাত কোথায় কখন কেটে যায় সেটাও টের পাই না। দেশে ফোন দেই না ভয়ে, কারন কখন কোন কোন অনুষ্ঠানের কথা বলে আর আমি এদিকে আফসোস করে মরি আরকি! সময় অনেক পেরিয়ে গেলো আমার, এখনো আছি দৌড়ের উপর। দৌড় থামাবো কি না জানি না, তবে রাসেলের মতো এখন মনে ভয় ঢুকে গেছে সারা জীবন এভাবেই চলতে হবে।
আমরা হলাম পরিবারের স্পেয়ার পার্টস, কোনো কিছু করতে পারবো না।
মনের এসব ভয়, ভাবনাগুলো সরাতেই কখনো মনোযোগ দেই মহাবিশ্বের বয়স কত যখন K=1 অথবা জলবায়ুর এই ট্রানজিশন টাইমটায় বাংলাদেশকে নিরেট কত বছর এক্সট্রিম সাফার করতে হবে। কি হবে এসব ভেবে?
বার বার ফিরে যাই মেটাল মিউজিকে, অন্তত ঘোরলাগা মনটাকে ঠিক করতে মেটাল অনেক সাহায্য করে! ধ্যৎ, কিছুই ভালো লাগে না, মনের আকাশে এখন সাদা ছাইয়েরা ঘুরে বেড়ায়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।