ভণ্ড পীর নিয়ে গত ১২ এপ্রিল প্রথম আলো-র প্রথম পাতায় সংবাদ ছাপা হবার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর গতকাল সে আদালতে স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে তার অপরাধ স্বীকার করে বলেছে, সপ্তাহে ২০ হাজার টাকা আয় করতো। যার মধ্যে সে পেতো মাত্র আড়াই হাজার টাকা। বাকি টাকা তারা নিয়ে নিতো যারা তাকে পীর বানিয়েছে।
বাংলাদেশ এমন এক দেশে, যে দেশে পীর বলুন আর ফকির বলুন, তাদের বেশ জমজমাট ব্যবসা। তাই সবাই পীর হতে চায়। সে পানি পড়া দেয়। মানুষের কঠিন কঠিন রোগ মুক্তির জন্য শুধু দোয়াই করে। প্রশাসন তাদের দিকে ফিরেও তাকায় না।
মানুষ তাকে পীর মান্য করে নজরানা দেয়। তার বাড়ি হয়, গাড়ি হয়। তাকে কোন টেক্স দিতে হয় না। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজনও তাকে টেক্স দিয়ে আসে। সে ফুলে-ফেটে বড় হয়।
সবার সাথে হব্বি-তব্বি করে।
বাংলাদেশের এমন কোন অঞ্চল কি আছে, যেখানে এরকম দু/একজন পীর নেই?
‘ভণ্ড পীর ভয়ংকর চিকিৎসা’ শিরোনামে যদি প্রথম আলো সংবাদ না ছাপাতো তা হলে অন্ধ প্রশাসনের চোখের পড়তো না, পীরের আস্তানা। মানুষ মরতো তবু প্রশাসন নড়তো না।
বাংলাদেশের হাজার হাজার ভণ্ড পীরের মধ্যে এবার একজন হলেও ধরা পড়েছে। সে তার অপরাধ স্বীকারও করেছে।
আমাদের একটাই দাবী, ঐ ভণ্ড পীরের যেন এমন শাস্তি হয়, যাতে সারা বাংলাদেশের অন্যান্য ভণ্ড পীরের ভেতরও ক্ষেপে উঠে। তারা এই ভয়ে যেন ভণ্ডামী ছেড়ে দেয়। আর তাকে যারা পীর বানিয়েছে, তাদেরও অনুরূপ শাস্তি হোক, যাতে আর কেউ ভণ্ড পীরের জন্ম দেবার সাহস না করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।