প্রায়ই শুনি, ঐচ্ছিক পর্যায়ের কিছু মাসআলা দেখিয়ে কেউ কেউ জোর দিয়ে দাবি করেন যে, ইসলাম আদৌ যুক্তিসাপেক্ষ নয়। যদি তা হতো, তবে মোজার নিচের দিকের পরিবর্তে উপরের দিক মাসহ করতে বলা হতো না। এটি যুক্তিবিরোধী। কারণ নিচের দিকটাই বেশি নোংরা হয়। তা সত্ত্বেও, যুক্তির পরোয়া না করে ওপরের দিক মাসহ করতে বলা হয়েছে।
কাজেই ইসলামে যুক্তির কোনো গুরুত্ব নেই।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখানে কাঁটা তুলতে আবার কাঁটারই আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ইসলামের যে নিষ্ঠাবান অনুসারী ইসলামসিদ্ধ নয় বলে যুক্তি প্রত্যাখ্যান করতে চান, ইসলামের চারিত্র ব্যাখ্যার জন্যে তিনিই অযৌক্তিকভাবে যুক্তির সাহায্য নিলেন। অর্থাৎ তাঁর এ দাবির মর্ম যৌক্তক না হলেও পদ্ধতিটা যৌক্তিক। এভাবেই সরল ধার্মিকরা অনুমিত ভুল শোধরাতে গিয়ে নিজের অজান্তেই নতুন নতুন ভুলের জন্ম দেন।
এ মহাবিশ্বে সবচে' যৌক্তিক ঘটনা হলো ঈশ্বরের অস্তিত্ব। মানুষের প্রবণতার মর্মমূলে যুক্তি প্রতিষ্ঠিত বলেই পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ ঈশ্বরবিশ্বাসী। ইসলামের দিকে তাকিয়ে তাই দৃঢ়তার সঙ্গেই বলতে পারি -- আল্লাহ যৌক্তিক, কুরআন যৌক্তিক, রাসূল যৌক্তিক। ইসলামে যা আছে, যুক্তিসিদ্ধভাবেই আছে; কোনো বিযুক্তি নেই। এ বক্তব্যের পক্ষে আপনি যতোটা প্রমাণ যথেষ্ট বলে মনে করবেন, কুরআন-সুন্নাহ থেকে তার অন্তত তিনগুণ বেশি প্রমাণ উপস্থিত করা সম্ভব।
আপাতত এটুকুই বলি -- সংশ্লিষ্ট মোজাটি (চর্মনির্মিত বা জুতো ছাড়াই পরার মতো টেকসই হওয়ায়) জুতোর স্থলাভিষিক্ত হতে পারে। আমিও চামড়ার জুতো পরি। তাতে ধুলোবালি লাগলে ন্যাকড়া দিয়ে মুছি; তবে মুছি ওপরের দিকটাই, জুতোর তলা কখনোই মুছি না। জুতোমিস্ত্রিও জুতোর ওপরের অংশই কালি করে, কখনোই জুতোর তলায় কালি দেয় না। বিনীত প্রশ্ন: এটি কি অযৌক্তিক? তা না হলে মোজার ওপরের অংশ মাসহ করার মাসআলাকে অযৌক্তিক ধরে নিয়ে শরীয়তকে অযৌক্তিক প্রমাণের চেষ্টা কি আদৌ শরীয়তসম্মত?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।