রাজনীতির আবর্জনাগুলো বাদ দিলে আপনার সাথে আমার দ্বিমত খুবই সামান্য।
জামায়াতের কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি খবরটা details দেখে একটু অবাকই হলাম। যিনি (আ স ম আ রব) এই স্টেটমেন্ট দিয়েছেন তিনি ঐতিহাসিকভাবে অতি পরিচিত কিন্তু জামায়াত এর রাজনীতির সাথে জড়িত নন বলেই জানি। কিন্তু খুন, অপহরন,ধর্ষণ, লুটপাট,অগ্নিসংযোগ এই জাতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জামাত জড়িত ছিলনা এ জাতীয় দাবী জামায়াত অনেক আগে থেকে করে আসলেও এই প্রথম কোন বিশেষ ব্যক্তি যে কিনা কোর্টের বাহিরে থেকে এর সমর্থন করে জামায়াতের শুষ্ক ক্ষেতে একটু পানিই দিলেন মনে হয়। সাম্প্রতিক বিএনপি'র অবস্থানতো মেঘ না চাইতে বৃষ্টির জামায়াতের জন্য।
৭১ সালে জামায়াত সহ প্রধান ইসলাম পন্থি দলগুলোর রাজনৈতিক সীদ্ধান্ত ছিল অবিভক্ত পাকিস্তানের পক্ষে View this link এর কারন হিসেবে জামায়াত যে যুক্তিগুলো দেয় সেগুলো একেবারে উড়িয়ে দেবার মত নয় বলে একটু বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করছি। একটা কথা বলে রাখা ভাল যে ঐতিহাসিক ভাবে এদলটি সবসময়ই ভাঙ্গনের বিরুদ্ধে ছিল বলে দাবী করে,যেমন ৪৭ এ ভারত বিভক্তির বিরোধিতা;সেজন্য হয়ত এখনকার ইন্ডিয়ান পন্থি অনেকেই তাদেরকে ভারতপ্রেমী মনে করতে পারেন;
পাকিরা আমাদেরকে অত্যাচার-বৈষম্য করলেও
আলোচনার মাধ্যমেই ঐ সকল সমাধান করা সম্ভব যেটা বঙ্গবন্ধু এবং জামায়াত উভয়ই চেয়েছিলেন; সেজন্য উভয় দলই রাজনৈতিক ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
মাঃ মওদুদী (তখনকার পশ্চিম পাকিস্তান জামায়াতের আমির) ও বঙ্গবন্ধু ৬ দফার আলোচনায় একত্রে দেখা যাচ্ছে।
২৫ মার্চের পরের পরিস্থিতিতেও জামায়াত সহ মুলধারার ইসলামী দলগুলো এটা চাচ্ছিলেন না যুদ্ধের সময়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ভারত মাযখানে সুবিধা পাক; কারন তৎকালিন আলেম সমাজ এর কয়েক দশক আগেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা যে সীমাহীন অসহযোগিতা পেয়ে আসছিলেন ইংরেজ শাসন আমল থেকে(বঙ্গভঙ্গ রোধ ইত্যাদি) তা তখনও ভূলতে পারছিলেন না যার জন্য ভারতকে বন্ধু হিসেবে ঐ পরিস্থিতিতে মেনে নেয়ার মেজরিটি মানুষের মতামতকেও তারা বুযতে সক্ষম হননি। তাদের মতে ভারতের সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতা মানে হচ্ছে হাঙ্গরের মুখ থেকে বেচেঁ তিমির মুখে পরা।
ঐ দৃষ্টিকোন থেকে অখন্ডতা রক্ষার রাজনৈতিক সীদ্ধান্ত হয়ত ভূল ছিলনা এই ভেবে যে আজ যদি পার্বত্য চট্রগ্রাম আলাদা হওয়ার প্রশ্ন উঠে তাহলে মেজরিটি আমরা মনে হয় নন-পার্বত্য অংশেই অবস্থান নিব। ইতিহাসে এরকম আরো নজির আছে বলে জানি। আদর্শিক ভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তাবায়নের জন্য যে তারা অনেক চেষ্টা করেছে তাতে কোন দ্বিধা নেই। প্রচেষ্টাগুলো কি ছিল সেটাই আজ বড় প্রশ্ন কারন এর মাধ্যমেই নির্ণয় হবে কে মানবতাবিরোধি অপরাধ করেছিল;
নিজেদের টাকা পয়সা খরচ করে যে আদর্শিক প্রচারনা আজ জামায়াত চালায় তা তখনো চলেছে জনমত গঠনে। এটা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের গনতান্ত্রিক অধিকার।
আর আপনি নিজের টাকা খরচ করে রাজনীতি করলে আমার তাতে কি আসে যায়। কিন্তু খুন, অপহরন,ধর্ষণ, লুটপাট,অগ্নিসংযোগ এই জাতীয়
মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে যারা প্রচেষ্টা চালিয়েছে তারা যে দলেরই হউক না কেন তার বিচার ৪০ কেন ৮০ বছর পরে হলেও করতে হবে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাদের ঐ জাতীয় ভারত ভিতী কি আদৌ সত্যি ছিল? ইতিহাসের আলোকেই এর বিচার করতে হবে(বর্তমান তো আমরা সবাই জানি)। যুদ্ধের নিরপেক্ষ(নন বাংলাদেশী দ্বারা রচিত) ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে যা দেখলাম তাতে মনে যে ৭১ এ বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের কোন যুদ্ধই হয়নি হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে!
যার সবচয়ে বড় প্রমান হল;
খুবই হতাশ হলাম। কারন হিসেবে যা দেখলাম বাংলাদেশকেতো কেউই তখন ওভাবে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
পাকিরা এটাকে বিচ্ছিনতাবাদী আন্দোলন বলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচার চালিয়েছিল।
তার মানে যুদ্ধ করল ওরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আর আমরা দিলাম লাখ লাখ প্রাণ? তবে যে অর্জন আমরা করেছি তা শুধু আমরাই জানি এর মুল্য কত।
সদ্য মুক্ত দেশের প্রশাসনে Nationalism এর বলে বলিয়ান আওয়ামীলিগ থাকলেও ভারতের কাছ থেকে অসহযোগিতা স্পষ্ট হয়ে উঠে কিছু দিনের মধ্যে। বঙ্গবন্ধুর ভারতের ব্যাপারে উদারতা থাকা সত্ত্বেও
বেরুবারী অংগরপোতা সিট মহল হারানো, ভারত কতৃক ফারাক্কার মরণ বাদ ইত্যাদির বদৌলতে দেশবাসী তৎক্ষনে বুযে গেছে ভারতের বন্ধুত্ব কত প্রকার।
ইসলামী দলগুলোর অখন্ডতাকে defend করার রাজনৈতিক সীদ্ধান্ত ততক্ষনে অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়।
যার ফলে স্বাধীনতারপর যুদ্ধাপরাধে আটক জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতা-কর্মীসহ অন্যদের এক সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ক্ষমার চরিত্র ছিল রাজনৈতিক। নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী প্রমুখ যাঁদের বিরুদ্ধে এখন মামলা দায়ের করা হচ্ছে, তাঁরাও এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়ে মুক্তি লাভ করেছিলেন বলে দাবি করেন বিশিষ্ট কলামিষ্ট বদরুদ্দীন উমর(কালের কন্ঠ, উপ-সম্পাদকীয় ০৭-০৪-২০১০) শুধু তা-ই নয়, মুক্তি দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁদের প্রতি দেশ গড়ার কাজে আত্বনিয়োগের আহবানও জানিয়েছিলেন।
ভারতের সাথে যখন এই জাতীয় অবস্থা তখন মুসলিম বিশ্বের সাহায্য পাওয়ার জন্য সদ্য জন্ম নেয়া বাংলাদেশ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ও আই সি'র সম্মেলনে যোগ দেয় বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোরে অনুষ্ঠিত ঐ ইসলামী সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু জুলফিকার আলী ভুট্টোকে 'আমার পুরনো বন্ধু' বলে আলিঙ্গন করেন এবং তাঁর গালে চুমু খান(কালের কন্ঠ, উপ-সম্পাদকীয় ০৭-০৪-২০১০)
তার পর পরই ১৯৭৪ সালে মার্চ মাসের প্রথম দিকে সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ( যেটা ছাপা হয়েছিল ভারতের ইংরেজি দৈনিক Statesman পত্রিকায়) বঙ্গবন্ধু বলেন, তিনি ও ভুট্টো পুরনো বন্ধু এবং ভুট্টোকে তাঁর সাহায্য করা দরকার।
তিনি বলেন, জনগণের(বাংলার) উচিত পাকিস্তানের তিক্ত অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের অভিজ্ঞতা ভুলে যাওয়া। সেই সময় বহুল আলোচিত ঐ সাক্ষাৎকার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। । রক্তের দাগ মুছতে না মুছতেই বঙ্গবন্ধু কেন এত তারাতারি পাকিস্তানের সাহায্য চাইলেন? কারন ছিল খুব সহজ "শত্রুর শত্রু হল বন্ধু"
আর নাই করবেন কিভাবে?
দেশ জুড়ে যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। শত হলেও বঙ্গবন্ধু মানুষ ছিলেন আওয়ামীলিগ না(সরি, একটু ঐতিহাসিক মজা নিলাম)।
ভারত তখন যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল তা ছিল কল্পনাতীত।
১৯৭৪ সালের মে মাসে দিল্লির সাথে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়,সে সভায় পানির প্রাপ্য হিস্যা,বেরুবাড়ি-দহগ্রাম-আঙ্গুরপোতা ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে কথা হয়। এর মধ্যে হঠাৎ করেই ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী সরওয়ান সিং বঙ্গবন্ধুকে ইসলামিক সম্মেলনে তার যোগদানের ব্যাপারে ভারতের জনমনে কিছু বিভ্রান্তির কথা জানালেন। বঙ্গবন্ধু অসন্তোষ প্রকাশ করে বললেন, "সরদার সাহেব,এই উপমহাদেশের রাজনীতি আমাকে বোযাতে চেষ্টা না করলে খুশি হবো। আমি এমন এক দেশের প্রতিনিধিত্ব করি যার ৯০ শতাংশ মুসলমান এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্যই আমি ঐ সম্মেলনে যোগ দেই"
সরওয়ান সিং জানালেন; মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের সাথে ভারত সরকারের বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধনের ব্যাপারে সমঝোতায় পৌছায়।
তিনি বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর লাহোর সম্মেলনে যোগদানে এই সমন্বয় সাধন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর বেশ উচ্চকন্ঠে বলেন, "সর্দার সাহেব,সমন্বয় সাধন আর অধীনতার পার্থক্য আমি জানি"
ইন্দিরা গান্ধীকে লক্ষ্য করে বঙ্গবন্ধু বলেন," বাংলার মানুষকে আমি জোরগলায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধঅপরাধীর বিচার বাংলার মাটিতেই হবে, কিন্তু আপনি আর ভূট্টো আমাকে না জানিয়েই স্থির করলেন ওদেরকে বিনা বিচারে পাকিস্তান যেতে দেয়া হবে। জীবনে এই প্রথম আমার দেশের মানুষকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারিনি। " সাবেক সচিব মোহাম্মদ আসাফ উদ্দৌলাহ ছিলেন ঐ ঘটনার জীবন্ত সাক্ষী (৮ এপ্রিল, উপসম্পাদকীয়,নয়াদিগন্ত)
আওয়ামীলিগের সাথে জামায়াতের দন্ধ কিন্তু ২০০১ সালের আগে তেমন একটা চোখে পড়েনি,কারন জামায়াত ছিল আওয়ামীলিগের কাছে একটা ছুনপোটি, স্বাধীনতার আগেও পরে এদের তৎপরতা ছিল খুব সামান্য তাই অনেকেই এদেরকে ঘনার মধ্যে আনেনি। স্বাধীনতায় যেহেতু ওদের ভূমিকাটা ছিল পরিষ্কার দেশবাসী ওদেরকে পরিত্যাগ করবে এই ছিল সাধারনের ধারনা।
কিন্তু ৯১ এর নির্বাচনে ওদের ফলাফল দেখে আর কেউ না হউক তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবি অবাক না হয়ে পাড়েনি। যুদ্ধঅপরাধে সহযোগির অপরাধে অভিযুক্ত প্রধান এবং বড় দল মুসলীম লীগ, তমুদ্দুনে মজলিশ সহ ইসলাম পন্থি দলগুলো ততদিনে মারা যায় যায় কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে জামায়াতের মত একটি মৌলবাদি দল এভাবে উঠে আসাটা ছিল অপ্রত্যাশিত।
তৈরি হল ঘাদানিক কমিটি, যেভাবেই হউক ঠেকাও জামায়াত, ইস্যু হিসেবে যুদ্ধঅপরাধ দ্বিতীয়বারের মত লাইমলাইটে, তবে আগের বারের চাইতে পার্থক্য হল যুদ্ধের পর প্রথমধাপ ছিল সত্যিকারের অপরাধের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার ঘুটিকয়েক দলের বিরুদ্ধে!
তবে আওয়াজ বেশি দুরে যায়নি কারন আওয়ামীলিগ তেমন একটা উৎসাহী ছিলনা শুরু থেকে। কিছু দিন পর ঘাদানিক হাওয়া, কারন আওয়ামীলিগ-জামায়াত ভাই ভাই হয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন।
তারপরে ২০০১ এ বিএনপির সাথে জামাতের জোটই জামায়াতের যুদ্ধঅপরাধের সহযোগি হিসেবে মানবতাবিরোধীর কাঠঘড়ায় দাড়ানোর জন্য যথেষ্ট বলে অনেকে মনে করেন!
আমার ছোট্ট জিঙ্গাসা, জামায়াত, বিএনপি, জাপা'র মত দলের উথ্যানের জন্য মূল দায়ী কে? বিএনপি, জাপা'র তো জন্মই হতনা যদি না আওয়ামীলিগ তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করত।
সেক্ষেত্রে জামায়াতের মত কট্টর একটা দল যখন উঠে আসল তখন বুযতে হবে ওদের বেইস তৈরি হয়েছে বাংলার মাটিতে, আর যারা ওদের রাজনীতির সাথে যুক্ত তারা সবাই কি বোকা না উল্লুক? ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে গনতান্ত্রিক পথ থেকে ঠেলে দিয়ে জঙ্গি হতে প্ররোচিত করা আর যাই হউক দেশের জন্য কোনভাবেই কল্যানজনক হবেনা।
আদর্শ দিয়ে আদর্শকে মোকাবেলা করার যে গনতান্ত্রিক নীতি থেকে সরে এসে পুলিশ দিয়ে প্রতিপক্ষকে গায়েল করার চেষ্টা চলতে থাকলে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান কারী ঐ দলটির পক্ষেও সাধারন জনগনের সহানভুতি তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তখন মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে
পুলিশ পেটানোও অসম্ভব কিছু নয়। আর যেহেতু একমাঘে শীত যায়না,আপনাদের দিন শেষে,আজ যেভাবে চিরুনি অভিজান চলছে তখন আপনাদের বিরুদ্ধেও
যে চলবেনা তার কি কোন গেরান্টি আছে?
শেষকথা হল, মানবতাবিরোধী যে অপরাধ হয়েছে তা নিয়ে রাজনীতি দেখতে চাইনা,চাই সুস্ঠ নিরপেক্ষ বিচার। এই দাবীতে মোটামুটি সবাই একমত হলেও বিচার নিয়ে সংশয়ে পুরো জাতী আজ দুইভাগে বিভক্ত।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত বিচার হলে এই বিভক্ত দেশকে জোড়া লাগানো (যা আমাদের দেশের জন্য অতিব প্রয়োজন) খুবই কষ্ট সাধ্য হবে ,ফলে তৈরি হবে আরেক নতুন ইতিহাস। আমরা ইতিহাস নিয়ে আরো অমীমাংসিত নতুন ইতিহাস দেখতে চাইনা।
দ্রষ্টব্য: এটি একটি রিপোষ্ট, এই পোষ্টটি আমার ব্লগ কতৃপক্ষ যুদ্ধঅপরাধীদের বিচারের বিপক্ষের পোষ্ট বলে মুছে দিয়েছিল। এখানেও আগের বার ভালভাবে প্রকাশ হয়নি বলে একটু এডিট করে আবার প্রকাশ করমাল।
disclaimer: পোষ্টটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু পাঠকের পক্ষ-বিপক্ষের উপর যেহেতু লেখকের কোন হাত নেই তাই কারো মতামতের বিরুদ্ধে গেলে যেন একে আমার ব্লগ কতৃপক্ষের যুক্তিতে বিবেচনা করা না হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।