আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে বি.এন.পি এর লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাসের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আকাঙ্খায় বাংলাদেশের মানুষ ২০০৯ সালের প্রথম প্রহরে আওয়ামীলীগ দলকে মসনদে বসাল। নির্বাচনী বিধি ব্যবস্থা নিয়ে নানান মতভেদ থাকতে পারে সেটা অন্য আলোচনার বিষয়।
গত প্রায় ৪ বছর যাবত আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করছে, তারা জামায়াতকে রাজনীতিতে ক্রমাগত প্রতিষ্ঠা পাবার সুযোগ করে দিয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে নানান টালবাহানা করে। প্রকৃত অর্থে আওয়ামী লীগ দলের অসাম্প্রদায়িক মুখোশ জনগনের সামনে থেকে খসে পড়ছে তাদের সাম্প্রদায়িক চেহারা নেতা নেত্র্রীদের কথাবার্তা আর কাজকর্মে সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে একারনেই ঘোষনা দিয়ে সাম্প্রদায়িক দল জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোন ইচ্ছা, পরিকল্পনা কোনটিই তাদের নেই, অর্থনৈতিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করলে জামায়াত আর আওয়ামী লীগ উভয় দলের নেতৃত্ব একই পর্যায়ভুক্ত। সুতরাং মন মগজ আর টাকা পয়সায় কোন পার্থক্যই তাদের নাই।
আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক ছাড়াই নির্বাচনে যাবেন, প্রধান বিরোধী দল বি.এন.পি তত্তাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। এ মুহুর্তে জামায়াত একটি দল যাদেরকে শুধুমাত্র স্বীর্কীতি দিলে, যুদ্ধাপরাধ ইস্যু কে গাযেব করে দিলে তারা যে কোন অবস্থাতেই এমনকি তত্ত্বাবধায়ক ছাড়াও নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত আর বি.এন.পি যদি সে মুহুর্তে সত্যিই নির্বাচনে না যায় তবে আওয়ামী লীগের গত ৫ বছরের কর্মকান্ডের ফলস্বরুপ কিছু ভোটও জামায়াতের ঝুলিতে পড়বে আর এ সুযোগটা জামায়াত কিছুতেই ছাড়বে না।
জামায়াতের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ এ দেশের আর দশটা দল থেকে শক্তিশালী তারা ইতোমধেই আওয়ামী লীগের বাইরে জনপ্রিয় লোকদের টাকা পয়সা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাড় করানোর পরিকল্পনা করছে।
আওয়ামী লীগ বি.এন.পি ঠেকানোর কৌশল হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি জিইয়ে রেখে জামায়াতকে যা ইচ্ছে তাই করার সুযোগ দিচ্ছে। কারন এরা তত্ত্বাবধায়কহীন নির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাব্য দল।
আর সে নির্বাচনে যদি জামায়াত আওয়ামী লীগ বিরোধীতাকে কাজে লাগিয়ে বি.এন.পি না থাকায় যদি শুধুমাত্র ৫০টি আসনও পায় তবুও জামায়াত দেখিয়ে দেবে তাদের সহিংসতা কি পরিমান হতে পারে।
অসাম্প্রদায়িকতার মুখোশ পরা আওয়ামী লীগ দলটি বি.এন.পি কে পর্যুদস্ত করতে গিয়ে জামায়াতের হাতে এমন অস্ত্র তুলে দিচ্ছে যা ক্রমে তাকেই গ্রাস করে ফেলবে, আর দেশ আরো ভয়াবহ ফ্যাসিজম এর দিকে এগিয়ে যাবে।
এ মুহুর্তে বাংলাদেশের মানুষ কি করবে? তারা কি একই মন মানসিকতা সম্পন্ন জামায়াত,জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ বি.এন.পির মতো দলের পেছনে ছুটবে? আমাদের আজকে অতি দ্রুততার সাথে জনগনের পক্ষের শক্তি গড়ে তুলতে হবে , মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খার বাংলাদেশ চাইলে একটা পরিবর্তিত বাংলাদেশ চাইলে এ ছাড়া দ্বিতীয় পথ খোলা নাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।