জামায়াতে ইসলামী হিন্দ ' ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট লাহোরে এই নামে দলটি প্রতিষ্ঠা করে সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী । পরবর্তীতে হিন্দ শব্দটি বাদ দিয়ে ' জামায়াত ইসলামী '
কিছু প্রশ্ন এসে যায় স্বাভাবিক ভাবেই। এই দলটির প্রতিষ্ঠার আগে এই বঙ্গভুমিতে কি ইসলাম ছিল না ? বা থাকলেও ইসলাম কি বিপন্ন ছিল ? আমি মুসলমান , আমার পিতা জন্ম গ্রহণ করেন ১৯২২ সনে , আমার পিতার পিতা বেঁচে ছিলেন ১০৫ বছর , তিনিও মুসলমান ছিলেন , পিতার পিতার পিতা তিনিও মুসলমান ছিলেন। আমাদের এই মুসলমানিত্বে জামায়াত ইসলামীর সামান্যতম অবদান বা ভুমিকা নেই। তারা আমাদের ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত করেনি।
এদেশের সব মুসলমান এর বেলায়ই এই কথা প্রযোজ্য । জামাতিদের অমুল্য বানী ব্যাতিতই আমরা সবাই যুগ যুগ ধরে মুসলমান ।
যুগ যুগ ধরে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, আমার দাদি ,নানি , মা, খালারা ফজরের নামাজ পড়ে পবিত্র কুরআন তেলোয়াত করেন। কোন কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ বলি , কারো সাথে দেখা হলে আসসালামুয়ালাইকুম বলে কুশল বিনিময় করি , সু সংবাদে আলাহদুলিল্লাহ বলি এমনি যত ধরনের ইসলামী আচার আছে সব পালন করি। এসবের একটিও আমরা জামায়াত ইসলামীর কাছ থেকে শিক্ষা নেইনি।
জামায়াত আমাদের এসব শিখায়নি।
এই মুসলমানিত্ব বজায় রাখার জন্য রাস্ট্র ধর্ম হিসেবে ইসলামকে দরকার হয়নি। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না হলে আমাদের ইসলাম চলে যাবে , এমন সম্ভাবনা শুন্য ভাগ। যাদের ইমান দুর্বল , আল্লাহর প্রতি আস্থা কম তাদের হয়ত ইসলাম ধর্মকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে হয় , তাদের জন্য এই সব দরকার হয় , সংবিধানে ধর্মের অন্তর্ভুক্তি । আমাদের দরকার হয়নি কোনদিন , দরকার হবেও না ।
আমাদের সবার পূর্ব পুরুষদেরও দরকার হয়নি।
এই দেশে ইসলাম প্রসারের জন্য জামায়াত এর কোন অবদান নেই। বিভিন্ন পীর মাশায়েখ ওলামাগন এই ইসলামকে এই ভুখন্ডের মানুষের মাঝে পরিচিত করিয়েছেন । দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শত শত মুসলিম স্থাপনা এই কথার প্রমান এবং সাক্ষ্য দিবে।
আমরা সবাই এই ভুখন্ডে শান্তিতেই ছিলাম ।
সব ধর্ম বর্ণ গোত্র একসাথে মিলে মিশে আমরা বাঙালী ছিলাম । কোথা দিয়ে কোন এক দানব জামায়াত ইসলাম নিয়ে এসে এই শান্তিকে বিঘ্নিত করছে । যারা খুন, ধর্ষণ , লুট , অগ্নি সংযোগ করে ইসলাম প্রসার ঘটাতে চায় - তারা অবশ্যই ইসলামের শত্রু। এদের কারনেই আজ ইসলাম ধর্ম প্রশ্নের সম্মুখীন । এরা মানবতার শত্রু ।
এদের প্রতিহত করা প্রতিটি মুসলিম এবং মানুষের কর্তব্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।