তৃতীয় বিশ্ব নয়, বাংলাদেশকে দেখতে চাই প্রথম বিশ্বের কাতারে
সকাল বেলা প্রথম আলোর প্রথম পাতার একটি খবর (খবর ঠিক না একটা ছবি) নজর কাড়ল। নজর না কাড়ার কোন কারনও নেই। একজন ভন্ড পীর দুটি দুধের বাচ্চাকে পা ধরে চরকির মত ঘুরাচ্ছে, মাটিতে ফেলে লাথি দিচ্ছে, বাচ্চাদুটির পেটের উপর দাড়াচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এমন একটা খবর বিবেকবান প্রতিটা মানুষের অন্তরকে নাড়া দেবে সন্দেহ নাই। আমরা যারা প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ি তারা প্রতিদিনই এমন হাজারো মন খারাপ করা খবর দেখে থাকি।
এতে আমাদের মন খারাপ হয়, আমরা নিজের জায়গায় থেকে হয়ত এর প্রতিবাদ করি। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই। ব্যস এটুকুই। কিন্তু আমরা কি পারব নিজের শক্তিতে এমন একটা বর্বরতা রুখে দাঁড়াতে যদি এমন ঘটনা আমাদের চোখের সামনে ঘটে? কিংবা পারবকি অন্ততঃ সামনা সামনি প্রতিবাদ করতে যে এটা ঠিক না?
এই প্রশ্নটা আমাদের বিবেকবান সমাজের প্রত্যেকের কাছে।
এমন প্রশ্ন করতে বাধ্য হচ্ছি কারন যে বর্বর ঘটনার উল্লেখ করা হচ্ছে, সে বর্বরতার ছবি তোলার জন্য সেখানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন আমাদেরই এই বিবেকবান সমাজের একজন প্রতিনিধি, যিনি নিজেকে সাংবাদিক দাবী করেন।
সাংবাদিকতা ওনার পেশা তাই হয়ত পেশাগত দায়িত্ব তখন মানবতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। একটা ছবি, একটা ফ্রেম হয়ত তাকে পৌঁছে দিতে পারে খ্যাতি, সফলতার শীর্ষে কিংবা এনে দিতে পারে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার। এগুলোর চেয়ে দুটি জীবনের মূল্য কি খুব বেশী?
একজন সাংবাদিক হয়ে তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এক অমানষিক বর্বরতার। জানাতে পারেননি প্রশাসনকে। কিংবা জানাতে পারেননি ক্রসফায়ারখ্যাত র্যাবকে।
একজন সাধারন জনতা যা করতে পারেননা তা ওনার জন্য করা কোন ব্যাপারইনা। কিন্তু কেন তিনি প্রতিবাদ করলেন না? কেন অপেক্ষা করলেন পরদিন পত্রিকায় শিরোনাম করার জন্য? শুধু কি একটা ফ্রেমের জন্য? জীবনের চেয়ে মূল্যবান একটা ফ্রেমের জন্য?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।