তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর/ এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা। ।
আমাদের দেশে গুনীজনদেরকে রাষ্ট্রিয়ভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। স্বাধীনতা পদক এদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। রাষ্ট্রিয়ভাবে আরেকটি যে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার দেয়া হয় সেটা হলো একুশে পদক।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য যুদ্ধোত্তর স্বাধীন দেশে দেয়া হয়েছিল চারটি খেতাবঃ
বীর শ্রেষ্ট (৭জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা)
বীর উত্তম (৬৮ জন, বেসামরিকদের মধ্যে পেয়েছিলেন কেবল কাদের সিদ্দিকী)
বীর বিক্রম (১৭৫ জন)
বীর প্রতীক (৪২৬ জন)
উল্লেখ্য, এই পুরস্কারগুলোর জন্য সুপারিশ করেছিলেন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা। ফলে পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সামরিক বাহিনীর সদস্য। বঞ্চিত হয়েছেন বেসামরিক বীর যোদ্ধারা।
প্রতিবছর স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। এটা চালু হয়েছিল ১৯৭৭ সালে।
নামে স্বাধীনতা পুরস্কার হলেও এখন পর্যন্ত এই পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্য অনেকেই স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী, যা স্বাধীনতা এবং এই পুরস্কারের প্রতি অবমাননা। আবার এই পুরস্কার দিয়ে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম.এ.জি ওসমানীকেও। তাই এই পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম শুনলেই মানুষের হৃদয়ে শ্রদ্ধা জাগ্রত হয় না। পুরস্কার প্রাপ্তদেরও নেই কোন রাষ্ট্রিয় মর্যাদা।
একুশে পদকের বিষয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই।
এটাও স্বাধীনতা পুরস্কারের মতই দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির শিকার হয়েছে।
তাই অনেক গুনীজন এইসব পুরস্কার পেলেও, সামগ্রিকভাবে এই পুরস্কারের কোন গ্রহনযোগ্যতা তৈরী হয়নি।
অথচ ভারতে দেখুন তারা তাদের শ্রেষ্ট সন্তানদেরকে প্রতিবছর বেসামরিক ভূষনে ভূষিত করে। সেখানে রয়েছে চারটি বেসামরিক পুরস্কারঃ
১) ভারত রত্ন (খেতাবধারীরা আজীবন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপরের রাষ্ট্রিয় মর্যাদা লাভ করেন)
২) পদ্ম বিভূষন
৩) পদ্ম ভূষন
৪) পদ্ম শ্রী
এই চার শ্রেনীর খেতাবধারীই আজীবন রাষ্ট্রিয় মর্যাদা লাভ করে থাকেন, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী।
আশা করব, ভারতের মত বাংলাদেশেও বেসামরিক পুরস্কার প্রবর্তন করা হবে।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হবেন সমাজের সবচেয়ে আলোকিত মানুষ। এবং তারা আজীবন রাষ্ট্রিয় মর্যাদা লাভ করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।