ডেস্ক রিপোর্ট
ডাইনোসররা মাংসাশী ছিল। তবে কিছু ডাইনোসর আবার তৃণভোজীও ছিল। আর নিরীহ এই তৃণভোজী ডাইনোসরদের দিয়ে নিজেদের উদরপূর্তি করত ভেলোসির্যাপ্টর নামের ভয়ঙ্কর মাংসাশী ডাইনোসর। এরকম প্রমাণ পাওয়া গেছে সম্প্রতি। ডাইনোসরের এমন একটি ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে, যাতে দেখা গেছে, একটি ডাইনোসরকে আরেকটি কামড়ে ধরে আছে।
দুটোর ফসিলের দাঁতের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এদের একটি মাংসাশী আরেকটি তৃণভোজী। যেটি মাংসভোজী সেটিকে বিজ্ঞানীরা বলেছেন ভেলোসির্যাপ্টর আর তৃণভোজী ডাইনোসরের নাম দিয়েছেন প্রোটোসির্যাটপস। ফসিলে এও দেখা গেছে, মাংসখেকো ডাইনোসরটি কামড়ে ধরে আছে তৃণভোজী ডাইনোসরকে। অন্তত এরকম কামড়ের চিহ্ন শনাক্ত করা গেছে তৃণভোজীর হাড়ে।
ব্যাপারটা অবশ্য ডাইনোসরবিষয়ক পণ্ডিতরা আগেই ধারণা করেছিলেন।
তবে এই আবিষ্কার তাদের সেই আগের ধারণাকে আরো দৃঢ় করেছে। এছাড়া এই আবিষ্কার ১৯৭১ সালে আবিষ্কৃত বিখ্যাত আরেকটি ডাইনোসরের ফসিল সংক্রান্ত ধারণাকেও জোরদার করেছে। ‘যোদ্ধা ডাইনোসর’ হিসেবে পরিচিত ওই ফসিলে দেখা গেছে, দুটো ডাইনোসর একটি আরেকটির সঙ্গে মরণপণ লড়াইয়ে মত্ত। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ওগুলোর একটি ভেলোসির্যাপ্টর অপরটি প্রোটোসির্যাটপস। ওই লড়াইয়ে অবশ্য কেউ জেতেনি।
আক্রমণরত অবস্থায় দুটো ডাইনোসরই মারা যায়।
এমনিতেই ভেলোসির্যাপ্টর কিংবা টিরানোসরাস রেক্স ডাইনোসরদের ভোজনরত ফসিল খুব বেশি পাওয়া যায়নি। সেখানে এক সঙ্গে দুটো যুদ্ধরত ডাইনোসরের ফসিল তো বিরলই বটে। এটা নিয়ে অবশ্য এখনও বিতর্ক চলছে। অনেক বিজ্ঞানী এও বলছেন, ডাইনোসর দুটো একে অন্যকে হত্যা করেছিল।
ভেলোসির্যাপ্টরের থাবা গেঁথে গিয়েছিল প্রোটোসির্যাটপসের গলায়। আর নিজের চেয়ে অনেক বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর শক্তির কাছে হার মেনে গিয়েছিল মাংসাশী ডাইনোসরটি।
নতুন আবিষ্কৃত ফসিল সংক্রান্ত এই আবিষ্কারের কথা প্রকাশিত হয়েছে পালিজিওগ্রাফি নামের জীবাশ্মবিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে। চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সের ড. ডেভিড হোন এই নতুন আবিষ্কারের কথা জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।