আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন বানী । কাদের সিদ্দিকী। গামছা বাহিনী

ফুলের সৌরভে সুরভিত কলমের কণ্ঠস্বর

একটি মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনের সম্মেলনে যোগ দিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি থাকবেই; কেউ বন্ধ করতে পারবে না। এ সময় তিনি দেশের সব ইসলামী দলকে স্বাধীনতাপ্রেমী বলেও মন্তব্য করেন। শুক্রবার দিনব্যাপী পল্টন ময়দানে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়। সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, "ইসলামী রাজনীতি বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। পৃথিবী যতদিন থাকবে ইসলামী রাজনীতি থাকবে, বাংলাদেশে তো থাকবেই।

এটি কেউ বন্ধ করতে পারবে না। " সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থা ও আইনজীবী প্যানেলে যাদের রাখা হয়েছে তাদেরকে জাতি ঠিক মতো চেনে না বলে দাবি করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বীরউত্তম খেতাব পাওয়া কাদের সিদ্দিকী। এ সময় তিনি আইনজীবী প্যানেল গঠনে ব্যরিস্টার রফিকুল হক ও ড. কামাল হোসেনের মতো আইনজীবীর মতামত নেওয়ার দাবি জানান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যাপারে সরকারের পক্ষে যারা বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে তারাই কোনো ষড়যন্ত্র করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান কাদের সিদ্দিকী।

আওয়ামী লীগেও যুদ্ধাপরাধী রয়েছে দাবি দলটির এক সময়কার এই নেতা তাদের নামের তালিকা প্রকাশের দাবি জানান। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জামায়াতে ইসলামী ছাড়া কোনো দল স্বাধীনতাবিরোধী নয়, বিএনপি তো নয়-ই। " সরকার নেতাকর্মীদের জঙ্গি হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করছে অভিযোগ তুলে চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহম্মদ রেজাউল করীম বলেন, "এই অপচেষ্টা বন্ধ না করলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করা হবে। " তিনি সরকারের এই অপচেষ্টা রুখতে দলের নেতাকর্মীদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তত থাকার আহ্বান জানান। সরকার ধর্মহীন একটি শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের নীলনকশা এঁকেছে অভিযোগ করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ তা বাস্তবায়ন করতে না দেওয়ার হুমকি দেন।

সম্মেলনে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব ইউনুস আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম হেমায়াতে উদ্দিন, নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মাইমুল আহসান খান, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন । ১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠা হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.