I am what I am and that's how I would be. No I am not stubborn. I just want to be myself.
একটা কেমন যেন হাহাকার ছিল এতদিন মনের মধ্যে। অনেকের বেতন জানার সুযোগ হয়েছিল চাকরির সুবাদে। চাকরির শুরুতে চোখ কপালে উঠে যেত ‘এত্তো বেতন নিয়ে মানুষ কী করে? এতো টাকা কোথায় খরচ করে?’ তারপর নিজে যত উপরে উঠতে লাগলাম, আরো উপরের দিকের মানুষের বেতন জানা শুরু হলো। (নিজের বেতনও বাড়তে লাগলো) সেই থেকে আন্দাজ করতে পারতাম আরো উপরে, তারও উপরের কোঠায় বসে থাকা মানুষটার বেতন কত ‘হতে পারে’। খালি স্বপ্ন দেখতাম ‘আহারে, ঐ জায়গায় যেদিন বসতে পারবো আমার হাতে তো সেদিন থাকবে আলাদীনের চেরাগ!’
সেইরকম একজনের সাথে দেখা হলো এক বিয়ের অনুষ্ঠানে।
ওনার স্ত্রীর সাথে গল্পচ্ছলে শুনলাম পরেরদিন ওনার ঘরে এক বিশাল পার্টি হবে। কিন্তু ভাবীসাহেবা ভয়ে ভয়ে আছেন না-জানি কারেন্ট চলে গেলে কী হবে। আইপিএস কতক্ষণ-ঈ বা লোড নেবে? জেনারেটর চালানো যায়, কিন্তু তাতে তো এসি চলেনা!
হায়, এদেরও এমন হয়? লোডশেডিং-এ, গ্যাসের অভাবে, পানির স্বল্পতায়, ট্র্যাফিক জ্যামে এই স্বপ্নজগতের মানুষগুলোরও জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়?? এত এত টাকা দিয়েও এই বাংলাদেশে ওনারা একটা আলাদীনের চেরাগ পেলেন না?
বুকের ভেতরের সেই হাহাকারটা যেন একটু দূরে সরে গেল। যাদের টাকা নেই, তারা কিনতে পারেনা তাই খায়না। আর যাদের আকাশছোঁয়া টাকার পাহাড় তারাও বেচারীরা পায়না।
কেমন যেন একধরণের পৈশাচিক উল্লাস হচ্ছিল সেইদিন (মু-হা-হা-হাআআআ গোছের হাসি হাসছিলাম মনে মনে)। বাংলাদেশের এই রিসোর্স-ক্রাইসিস-এ কিছু কিছু মানুষ কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিয়ে বসে থাকবে, একদিন হয়তো টাকাই চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে। আর যাদের টাকা নেই তারা সেটা দেখে দেখে আমার মত মু-হা-হা-হাআআআ করে হাসবে।
ইস, আমি কী খারাপ!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।