স্বপ্নগুলো সত্যির প্রত্যয়ে পথচলা ............
কালো ডাইরীর চিঠি, ঠিকানা হীন। স্বার্থপর কি, আপন না পর,তা হয় তো বুঝানোর জন্য লিখা হয়ে ছিলো চিঠি টি! চিঠির শুরুটা ঠিক এভাবেই হয়েছিলো;-
গাছের গুড়ির উপর বসা সামনে কম্পিউটার, হাত জোড়া কি বোর্ডের উপর অবিরাম দৌড়াদৌড়ি করছে, আর পা দু' খানা টেবিলের পাশে অন্ধকারে, খানিক বাদেই তাকিয়ে দেখলাম আমার পায়ের উপর কিছু কাল মশা বসে আছে। কিন্তু এরা কেন বসে আছে কিছুই বুঝতে পারলাম না, আর এই সাধারণ বিষয় টা তখন কেন বুঝতে পারলাম না তাও বুঝতে পারলাম না। যাই হোক বাদদেই এখন এসব কথা, আজ অনেক দিন পর কিছু লিখতে ইচ্ছে হল। কিন্তু কেন হঠ্যাৎ আবার এই লেখার ইচ্ছে হল এটাও বুঝতে পারলাম না,শুনেছি মানুষের না কি মন অনেক খারাপ থাকলে লিখতে ইচ্ছে হয়, আর অনেক ভাল থাকলেও লিখতে ইচ্ছে হয়।
কিন্তু আজ আমার মন কি ভাল না খারাপ?? হাঁ হাঁ হাঁ তাও বুঝি না। এই বুঝতে বুঝতে জীবনের এত গুলো কাল পার হয়ে গেছে, হয়ে গেল অনেক সময় নষ্ট কিন্তু আর আমার বোঝা হল না। এখন অনেক রাত, রাত টা আমার প্রিয়, গভীর রাতে রাস্তায় হাটতে আমার খুব ভালো লাগে, আর ভালো লাগে অন্ধকারে রাস্তার ওভার ব্রীজের উপর বসে বসে গাড়ীর হেডলাইট দেখতে আর গাড়ী গুনতে। কেন জানি এক সময় মনে হয় আমি পাগল, কিন্তু আমার পায়ের দিকে তাকালে দেখতে পাই আমার পা আসলে গোল না, অতত্রব আমি পাগল না। তুমি আমার একটা প্রশ্নের উওর দিবে? ভয় পেয়েছ? না থাক ভয় পেতে হবে না, কারণ কোন প্রশ্নের উওর তোমাকে দিতে হবে না।
তুমি বলতে পারো স্বার্থ কেন পর হয়, সবাই কেন স্বার্থপর স্বার্থপর বলে? থাক তোমাকে বলতে হবে না, আসলে স্বার্থ কোন সময় পর হয় না, স্বার্থ হয় সব সময় আপন। স্বার্থ যদি পর হত তাহলে মানুষ কখনো স্বার্থ কে সাথে নিয়েই চলাফেরা করতো না, স্বার্থ হচ্ছে আপন তাই মানুষ সব সময় স্বার্থ কে চিন্তা করে প্রতিটি কদম ফেলে। যেমন দেখো মা সন্তান প্রসব করে, তুমি হয় তো চিন্তা করছো এখানে আবার স্বার্থ কিসের, কিন্তু আমি বলবো এখানেও বিরাট স্বার্থের উপস্থিতি আছে, সেই স্বার্থ টি হল প্রতিটি মেয়েই মা ডাকটি খুবই ভালোবাসে, আর এই ডাক টি শোনা ছাড়া প্রতিটি মেয়ের জীবন অর্থহীন আর এটি হল স্বার্থ। এতেও যদি তোমার বুঝতে কষ্ট হয় আরো সহজ করে বলি বাস্তব দিয়েই তোমাকে বুঝাই, ধরো তুমি আজ আমার আশে-পাশে আছো, কিন্তু এক বারের জন্যও তুমি আমার সাথে কথা বলার জন্য আমার রুমে আসছো নি,কিন্তু ধরো হঠাৎ অনেক রাতে আমার রুমে এসে কাঠের দরজায় দু'টি টোকা দিয়ে আমার সাথে কথা বলতে এসেছো। আমি তো তখন রিতিমত অবাক, কিন্তু শেষে বুঝলাম এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
এর মধ্যে স্বার্থ নামের শত্রুটি উপস্থিত আছে, স্বার্থ নামের শত্রুটি যদি না থাকতো তাহলে তুমি সেই সময় কালো ডাইরী চাইতে না, অতত্রব বুঝতে পারছো স্বার্থপর না আপন। আজ এখন আমি বুঝতে পেরেছি কালো মশা কেন আমার পায়ের উপর উড়ে এসে বসে ছিল। হুম তুমি জানতে চাচ্ছো মশার স্বার্থ কি আমার পায়ে বসার? খুব সহজ, মশা আমার পায়ে বসেছে ভালো কথা কিন্তু সে শুধু শুধু বসেই নেই, সে ডাইরী চাওয়ার মতন সেও কিছু একটি আমার কাছ থেকে নিয়ে যাচ্ছে তা হল আমার রক্ত। ( একটি কালো ডাইরী)
-২২/১২/২০০৮ ইং
বিঃদ্রঃ পত্রটি কিন্তু আমার লেখা নয়, এটি কালো ডাইরীর পত্র!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।