কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনের সাংসদ আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ওই আসনটি শূন্য হয়ে গেছে। শূন্য আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ৩ জুলাই। তফসিল ঘোষণার পর ওই শূন্য আসনে কে প্রার্থী হচ্ছেন, তা নিয়ে এলাকায় চলছে জল্পনা-কল্পনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক রাজনীতিতে নতুন মুখ। পিতার আসন শূন্য হওয়ায় উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে তিনি প্রকাশ্যে দলীয় তরুণ নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির ছেলে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থিতা চান এমন অনেক প্রার্থী প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামী ৬ জুন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৯ জুন মনোনয়নপত্র বাছাই, ১৭ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ। ৩ জুলাই ভোট গ্রহণ করা হবে।
কিশোরগঞ্জ থেকে আবদুল হামিদ সাতবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
এই আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। একমাত্র ’৯৬ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গে আবদুল হামিদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। সামান্য ভোটে ফজলুর রহমান হেরে যান। এ ছাড়া প্রতিবারই আবদুল হামিদ বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমে ডেপুটি স্পিকার, পরে স্পিকার নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তাই এই আসনটিকে জেলাবাসী আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুর রহমান জানান, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। দুটি উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। সুতরাং কিশোরগঞ্জ- ৪ আসনে প্রশ্নই ওঠে না।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, একসময় দলীয় নেতা-কর্মীরা মনে করতেন, আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হবেন বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক জিল্লুর রহমান অথবা তাঁর ছোট ভাই মিঠামইন কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামরুল আহসান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তিনি মনোনয়নপত্র কিনবেন। কামরুল আহসানের ছেলে মাহমুদুল হাসান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়ে লিফলেট ছেড়েছেন।
লিখেছেন, ‘আর নয় পুরাতন, এবার চাই পরিবর্তন। আবদুল হামিদের একান্ত স্নেহভাজন ঘনিষ্ঠ সহচর মাহমুদুল হাসানকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। —প্রচারে এলাকার সচেতন জনগণ। ’
আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য জেলা পরিষদের প্রশাসক জিল্লুর রহমান বলেন, সময় পাল্টে গেছে, বর্তমানে রাজনীতিতে উত্তরাধিকার প্রাধান্য পাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আসনে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের আসনে তাঁর বোন রিমিন হোসেন সিমি নির্বাচিত হয়েছেন।
সাবেক সব রাষ্ট্রপতির শূন্য আসনে ছেলেরা সাংসদ হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে তার ব্যতিক্রম হবে কেন?
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিকই প্রার্থী হবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।