সবুজের জন্য ভালবাসা । বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামকে হত্যার অপরাধে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ড মওকুফের জন্য রাষ্ট্রপতিকে দায়ী না করতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তবে এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমালোচনাও করতে ছাড়েননি সরকারদলীয় এ সংসদ সদস্য।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধানের ৫৬(১) ও ৯৫(এ) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে নিজ ইচ্ছায় নিয়োগ দিতে পারেন। আর কোনো কিছু রাষ্ট্রপতি নিজের সিদ্ধান্তে স্বাধীনভাবে করতে পারেন না।
সমালোচনা করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারের সমালোচনা করা উচিৎ, রাষ্ট্রপতির নয়।
স¤প্রতি রাষ্ট্রপতি লক্ষ্মীপুরের বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামকে হত্যার দায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও পৌর চেয়ারম্যান আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করেন। বিএনপি এর সমালোচনা করে আসছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপারিশ করলেও আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেনি বলে জানান আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিয়ে এ সুপারিশ পাঠানো উচিৎ ছিলো।
এ সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগে বারবার বিবেচনা করারও প্রয়োজন ছিলো। "
সরকারের পক্ষ থেকে সুপারিশ এলে রাষ্ট্রপতির তা অনুমোদন দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না, বলেন সুরঞ্জিত।
রাষ্ট্রপতিসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সমালোচনার উর্ধ্বে রাখার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য।
তিনি বলেন, "রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে তিনি দল ও রাজনীতির ঊর্ধ্বে চলে যান। রাষ্ট্রপতি আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক ও শেষ আশ্রয়স্থল।
আমি আশা করবো, যারা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে সমালোচনা করছেন তাদের কাছে বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে এবং আজকের পর এ নিয়ে আর সমালোচনা হবে না। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।