কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনের উপনির্বাচনে আজ রোববার আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহম্মদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। পরে একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসেবে রেজওয়ান আহম্মদের নাম ঘোষণা করা হয়।
অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র বাতিল করায় ক্ষোভ জানান।
আজ পুরাতন কোর্ট রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অন্যায়ভাবে ওপরের নির্দেশে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নিয়ম ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। এরপরও যদি তিনি সঠিক বিচার ও সিদ্ধান্ত না পান তবে, হাইকোর্টে রিট করবেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তার স্টাফ অফিসার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিদুল ইসলামকে শতকরা এক ভাগ ভোটারের সমর্থন দেখাতে হবে। তিনি তা করেছেন তবে, তাঁদের মধ্য থেকে ১০ জন ভোটার যাচাই করে দেখা গেছে একজন ভোটারের ভোটার নম্বর সঠিক নয়।
এ কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মহিদুল ইসলামের আইনজীবী মো. আতিকুর রহমান জানান, একটি ভুল তথ্যের জন্য মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে না। কাজটি করা সঠিক হয়নি। কারণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুচ্ছেদ ১৪(৩)এর ডি ২ ধারা মোতাবেক রির্টানিং কর্মকর্তা সংশোধনের সুযোগ দেবেন। এ ব্যাপারে রির্টানিং কর্মকর্তাকে বললে তিনি আরপিও দেখাতে পারেননি।
তিনি আগেই মনস্থির করে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মহিদুল নির্বাচন কমিশনে যাবেন। তিনি প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাবেন।
তবে এ ব্যাপারে মনোনয়নপত্র বাছাই কাজে নিয়োজিত রির্টানিং কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সমর্থিত ভোটারের ক্রমিক নাম্বার ভুল হওয়ার কারণে নিয়ম, আইন ও বিধি মোতাবেক মহিদুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আপিল করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় জানায়, দল মনোনয়ন না দেওয়ায় ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র না দেওয়ায় জামায়াতে ওলামায়ে ইসলামের খালেদ সাইফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় রেজওয়ান আহম্মদকে নির্বাচিত সাংসদ বলা যায় কি-না এই প্রশ্নের জবাবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৭। প্রত্যাহারের আগে তাকে একমাত্র বৈধ প্রার্থী বলা যায়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে সাতবারের মতো নির্বাচিত হন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।