আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিউটনের মধ্যাকর্ষন থুড়ি বাতেনের বিচিঘর্ষন সূএ (আপেল গাছের তলায়)…।

ঝিনুক নীরবে সহো, ঝিনুক নীরবে সহো, ঝিনুক নীরবে সহে যাও । ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুঁজে মুক্তা ফলাও
ছুটির দিন। মাএই একটা গরমাগরম(১৬+) ছবি নামাইলাম নেট থেকে। চিন্তা করছিলাম কোন প্লেয়ার দিয়া চালামু এমন সময় মোবাইলটা টিনটিন বাজনা বাজান শুরু করল। খাবলা মাইরা মোবাইলটা তুইলা বাজখাই গলায় জিগাইলাম, কেডা? মামা আমি বাতেন।

এক পাউন্ড মাখন আর মধু লাগানো গলায় উত্তর আইল। শালা বাইন.. …ফোন করার আর টাইম পাও না। দোস্ত খেপস ক্যা। ভালো খবর আছে। কামরুপ কামাখ্যা থেইকা এক সাধু আইছে।

ওরে সিস্টেম কইরা এক পোটলা কামাখ্যার solid গাঞ্জা জোগার করছি। (এইখানে একটু বাতেনের কথা বলে রাখা ভাল। ssc.hsc তে প্লেস পাওয়া পোলা। uni তে আইসা প্রেম সংক্রান্ত মাইনকা চিপায় ফাইসা এহন সবসময় পাস ফেল লইয়া টানাটানি অবস্তা। হেন কোন ড্রাগ নাই যেইটা বাংলাদেশে পাওয়া যায় কিন্তু বাতেন খায় নাই।

এই লাইনের পোলাপাইনের কাছে ওই হইল উইকিপিডিয়া। কোন জায়গার কোন মাল ভালো,কিসের লগে কি মিলাইয়া খাইলে ফিলিংস কড়া এইসব ব্যাপারে ওর জ্ঞান এর সুনাম ঢাকা শহর ছাড়াইয়া জেলা শহরেও ছড়াইয়া পড়ছে। ওর টেবিল,চেয়ার,বিছনা,বালিশ,শার্টের পকেট,গাড়ি,মানিব্যাগ সবকিছুই মালে মালে সয়লাব। মাদকবিষয়ক ওর একটা বিখ্যাত theory হইল "একই মাল ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় সেবন করিলে ভিন্ন ভিন্ন মাএার ফিলিংস হইবে") যাক আমরা আবার ফোনালাপে ফিরে আসি। তো এখন কি করতে হবে?আমি হাল্কা উত্তেজিত।

এহনই নিচে আয়। আমি তোর বাসার সামনে। গাজ়ীপুরে একটা আপেল বাগানের খবর পাইসি আইজকা ওইখানে বইসা খামু। দেখি আপেল গাছ এর তলায় কেমন ফিলিংস হয়। ওকে মামা খাড়া।

এহনই আইতাসি। আমিও ওর সুরে সুর মিলালাম। ঝড়ের গতিতে নীচে আইসা দেখি শালায় দাড়িয়ে আছে মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে। ল মামা উইঠা পড়। রওনা হই জলদি।

আর দেরি সহ্য হইতাছে না। লাফ দিয়া উঠলাম ওর ১৯৭৫ আমলের Volkswagen এ। ছুটির দিনের রাস্তা। বেশী সময় লাগল না। রাস্তাঘাট ঠিকমত বুঝে উঠার আগেই দেখি সুন্দর,মনোরম সবুজ একটা মাঠের সামনে দাঁড়ানো।

মাঠের ওপারে নদী আর নদীর তীরে সারি সারি আপেল গাছ। আহা বড়ই সৌন্দর্য । বেশীক্ষন সৌন্দর্য দেখার টাইম পেলাম না। বাতেন আমারে গুতিয়ে মাঠ পার করে ওপারে একটা বড় আপেল গাছের তলায় নিয়ে বসাল। বসার পর ওর পকেট থেকে বের হতে লাগল কামাখ্যার পোটলা আর অন্যান্য tools & materials.এইসব এর প্রক্রিয়াজাতকরনে ও এতই দক্ষ যে অন্যদের দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।

আমি বসে বসে উদাস মনে আশপাশের দৃশ্যাবলী দেখছি আর নানা দার্শনিক ভাবনা ভাবছি এমন সময় শুনি ধুপ করে একটা শব্দ আর বাতেন ওরে মারে বাবারে মাইরা ফালাইলরে গেলামরে বইলা মাটিতে শুয়ে পড়ল। কাছে যেয়ে দেখি ঘটনা তেমন কিছু না। ওর মাথায় গাছ থেকে একটা আপেল পড়ছে আর তাই নিয়ে এত হইচই। শালা!এত হইচই এর কি হল। এমন চিল্লাইলি আমি ভাবলাম কেউ তোরে নাপাম বোমা মারসে।

শালা ফাউল। ও দেখি একটু লজ্জা পেয়ে গেলো। (যদিও লজ্জা জিনিসটা আসলে কি ওয় ঠিকমত কইতে পারবো কিনা আমার সন্দেহ আছে)। বলে আসলে দোস্ত মনোযোগ দিয়া process করতাছিলাম তো কোনদিকে খেয়াল আছিল না। ভাগ্যভালো ডাবগাছের নীচে বসিনাই নাইলে তো গেছিলাম আইজকা।

তারপরেই তার রাগ গিয়া পড়ল আপেলের উপরে। শালার আপেল তোর নিকুচি করি। বলেই আপেলটা কুচি কুচি করে কাটা শুরু করল। কাটতে কাটতেই আচমকা লাফিয়ে উঠল ইউরেকা ইউরেকা বলে। আমি বললাম আবার কি হল? মামা একটা আইডিয়া পাইছি।

আপেলের বিচির পেস্ট জিনিসের লগে মিশাইয়া খামু। দেখি ঘটনা কি ঘটে। আমি তো জানিই ওর এইরকম হাজারো আইডিয়ার কথা। বললাম কোন সমস্যা নাই। এইবার দেখি ওয় আপেলের বিচি বাইর করে ওইগুলারে ঘষে পিষে পেস্ট বানিয়ে জিনিসের সাথে মিশাল।

তারপরে স্টিক বানিয়ে গালভরা হাসি নিয়ে একটা ধরিয়ে দিল কড়া টান। দুই চার টান দিয়ে আমারে দিয়ে বলে মামা সেইরাম ফিলিংস। নতুন একটা আবিষ্কার কইরা ফালাইলাম। আমি টান দিয়ে কোন ফারাক পেলাম না। যাইহোক এইসব ব্যাপারে বাতেনের কথার উপরে কথা নাই।

আমিও বললাম হ মামা,সেইরাম ফিলিংস। তারপরে কয়দিন ধরে বাতেনের সাথে যোগাযোগ নাই। এরমধ্যে শুনি গঞ্জিকাসেবী সমাজে নাকি দাবানলের মত বাতেনের আপেলের বিচি theory ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিনই আমন্ত্রন আসছে এই থিওরি হাতে কলমে দেখানোর জন্য। বাতেনের এখন tight schedule. আর বাজারে নাকি আপেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

সরকার ও নাকি আচানক জনগনের এই আপেলপ্রীতি দেখে যারপর নাই আনন্দিত। জনগনের স্বাস্হ্যর কথা বিবেচনা করে অচিরেই আপেল আমদানি দ্ভিগুন করা হবে এবং ভর্তুকি প্রদান করা হবে দাম কমানোর জন্য এই মর্মে সরকারী এবং বিরোধী দল ঐক্যমত হয়েছে। **শেষখবর এইযে নিখিল বাংলাদেশ ইয়ং গাঞ্জু সোসাইটি বাতেনকে "বিচি বাতেন" উপাধিতে ভূষিত করেছে। বি দ্রঃ ইহা একটি গাজাখুরী(Fun) পোস্ট। লেখার বিষয়বস্তু সম্পুর্ন কাল্পনিক।

লেখার ভাষারীতিও প্রথাগত নয়। কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ।
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।