"You may like a situation which is not good for you And You may dislike a situation which is good for you." (Al- Quran)
পর্ব-১ পডুন...
৩.
চঞ্চল- আমার কাস্টমার রে তুই খাবার দেস ক্যান?
মোশা- কাস্টমারের গায়ে কী তোর নাম লেখা আছেরে? (ব্যঙ্গ করে)... যে এটা ছইঞ্চলের কাস্টমার!... আশেপাশে হোটেলের অন্য মেছিয়াররা হেসে উঠে...
চঞ্চল- মোশা তোরে কতদিন কইছি আমারে ছইঞ্চল বলবি না। হয় চঞ্চল বলবি আর নইলে আমার সাথে কথাই কইস না....
মোশা- তুই ও আমারে মশা কইবি না...
চঞ্চল- তোরে কী সাধে মশা কই! তোর রাশিয়ার সমান লম্বা নাম ধরে ডাকতে গেলে আমার আর কাজ করে খাওয়া লাগবে না! তোর নাম নিতে নিতেই এ জনম শেষ... তাওতো তোর নাম আমি বিকৃত উচ্চারণ করি না... তুই তো বিকৃত উচ্চারণ করস...
-মোশাররফ না কইতে পারলে তুই খালি রফ কইস... মোশাররফের রফ
-তুই ও আমারে চঞ্চল না কইতে পারলে চল বলবি। চঞ্চল এর চল
-তোরে বরং চঞ্চলের চন কইয়া ডাকি... হে হে হে আশেপাশে বাকীরাও হেসে উঠবে...
ঝগড়া যখন চলছিল তখনই হোটেল মালিক হাসান ভাইয়ের প্রবেশ...
-এ্যাই শিক্ষিত মেছিয়ার দুইটা তগো কী হইছে রে...
এবার দুজন একসাথে
-স্যার আমরা না কইছি আমগোরে মেছিয়ার কইবেন না...
-বা বা বা এখন তো মহাঐক্যজোট দেখতাছি তা এতাক্ষণ কাম কাজ ফালাইয়া ঝগড়া ঝাগড়ি কিসের ছিল রে...
মোশা -(নব উদ্যমে) দ্যাহেন স্যার আমি এক কাস্টমাররে নাস্তা দিছি আর চনে কয় আমি না কী হের কাস্টমার চি ন তা ই করছি! এইটা কী একটা কথা হইলো কন স্যার!
-দাঁড়া দাঁড়া আগে তুই ক চন কেড়া ?
-কে আবার চঞ্চইল্যা!
-তুই ওরে চন কইলি ক্যান?
-ওই আমারে মোশা কয় এর লাইগা...
-মোশাররফ ডাকতে অসুবিধা হয় এইজন্য মোশা কয় আমিও তো তোরে মোশাই কই না কী...
-আপনে আর চন কী এক!
-যাই হোক তুই ওরে চন কবি না...
-আপনে সবসময় ওরে এসটা খাতির করেন এটা ঠিক না...
চঞ্চল- মোশা ঐটা এসটা না এক্সট্রা ,...
হাসানভাই- দেখছস এর লাইগা ওরে একটু বেশি পছন্দ করি... ভেতরে মাল মানে জ্ঞান আছে... তখনই বাধনের হোটেলে প্রবেশ..........
হাসান ভাই- আরে বাধন যে কী খবর! কেমন আছো! পড়াশুনার অবস্থা কী?
- সব খবরই ভাল আংকেল...
- বুচ্ছি পরোটা নিবা... এ্যাই চঞ্চল বাধনরে পরোটা... কয়টা নিবা বাধন
- ছয়টা দিন।
- কাজের মেয়ের কী অসুখ না কী
- কেন?
- না তুমি আসলা তো সেজন্য বলছিলাম
- না ও একটু ব্যস্ত তো আর আমারও হঠাৎ পরোটা খাইতে ইচ্ছা করলো
- আরে তুমি শুন এখন থেকে কষ্ট করে তোমার এসে পরোটা নেবার দরকার নাই তোমার পরোটা খাইতে ইচ্ছা করলে হোটেলের নাম্বারে খালি একটা ফোন করবা তাইলেই হবে।
- থ্যাংক ইউ আংকেল
- না না থ্যাংকসের দরকার নাই .... কীরে পরোটা হইতে কতোক্ষণ লাগে?
চঞ্চল- আপার জন্য নতুন কই রা পরোাটা ভাজাইতাছি ...
হাসান ভাই - দেখছ আমার ওয়েটার টা কতো স্মার্ট! বলা লাগে নাই বুইঝা গেছে কোন কাস্টমাররে কেমনে খাতির করা লাগবো...ওর নাম চঞ্চল ওরে আমি খুব পছন্দ করি।
ওরে দিয়াই তোমার বাসায় পরোটা পাঠামু...(ইতিমধ্যে এক কাস্টমার বিল দিতে আসে)
কাস্ট- এ্যাই আমার কতো হইছে?
মোশাররফ কাউন্টারের কাছে এসে দাঁড়ায়
মোশা - আপনার হইছে পাঁচটা পরোটা আর চা এককাপ এই তো ! আর কিছু খান নাইতো?
-না
-তাইলে আপনার হইতেছে ৫*৩=১৫ আর চা ৬=২১ টাকা...
কাস্টমারটি পকেট থেকে ৫০০ টাকার নোট বের করে দেয়...
হাসান ভাই- ভাই ভাংতি দেন...
-ভাংতি তো নাই
- ভাংতি না থাকলে কেমনে হইবো এই সকাল সকাল এখন আমি ভাংতি কই পামু ভাংতি নিয়ে আসেন যান
-আমি ভাংতি আনমু ক্যান? আপনার হোটেল ভাংতি দেয়ার দায়িত্ব আপনার
- দায়িত্ব আমার না ? আরে ব্যাটা যারা ৭০ ৮০ টাকা খায় তাগোরো না হয় দিলাম কিন্তু তুই খাইলি ২১ টাকা তোরে ভাংতি কেমনে দিমু ।
- তুই তোকারি করতাছেন ক্যান ?আমরা কী কাস্টমার না?
-না কাস্টমার হইলে পরোটার লগে ভাজি টাজি কিছ ু একটা খাইতি... কিন্তু আ প নি তো খেলেন পরোটা চায়ে ডুবিয়ে
- আমি কী খামু কেমনে খামু সেটা কী আপনার কাছ থেকে শেখা লাগবে না কী?
-মুখ সামলাইয়া কথা কন কইতাছি
-আমার মুখ সামলানোই আছে আপনার মুখ সামলান...
বাধন এগিয়ে আসবে... হাসান আংকেল কেউ যদি চায়ে পরোটা ডুবিয়ে খেয়ে স্বাদ পায় তাহলে অসুবিধা কী? এই যে আমি প্রায়ই পরোটা নিয়ে যাই তা শুধু এই চায়ে ডুবিয়ে খাওয়ার জন্য... আমার কাছে পাচটা ১০০ টাকার নোট আছে ভাংতি লাগলে আমার কাছ থেকে নেন।
এবার কাস্টমার টি একটু বল পায় সে বলে
-দেখছেন আপা নিজের রুচিমত খাওয়াও যাবে না চিন্তা করেন হোটেল মালিকের ইচ্ছা মত কাস্টমার না কী নাস্তা খাবে... মানে কী বলব ... আর এরা কী বুঝবে পরোটা চায়ে ডুবিয়ে খাওয়ার মর্ম কী?
হাসান ভাই- অই মিয়া বিল দিয়া তাড়াতাড়ি বিদায় হন...
- ক্যান আপনার হোটেলে কী থাকবার আইছি না কী?
- এবার কিন্তু অসুবিধা হয়া যাইবো...
কাস্টমারটি ভাংতি টাকা নিয়ে তার থেকে ৫ টাকা মোশাররফ কে দিয়ে বের হবার সময় বাধনকে বলবে থ্যাংক ইউ আপা!
-ইউ আর ওয়েল কাম । কাস্টমার বের হয়ে যাবে।
হাসান ভাই - তোমারে দেইখা একটা ভাব দেখাইলো আর কী ! নইলে ও কী ৫ টাকা বখশিস দেয়ার জিনিস! বুঝলা বাধন হোটেল ব্যবসা যে কী জিনিস! সারাটা দিন কোন না কোন খ্যাচর লাইগাই আছে! উফ্ মাঝে মাঝে মনে হয় আতœহত্যা করি ।
চঞ্চল ছয়টা পরোটা হইতে কতোক্ষণ লাগে রে !
-এই যে আপা নেন!
-উফ এত গরম! নিব কীভাবে?
হাসান ভাই- দাঁড়াও দাঁড়াও আমি ব্যবস্থা করতাছি... হাসান ভাই ক্যাশ এর বক্র এর নিচ থেকে নেটের ব্যাগ বের করে দেয়।
-আংকেল আসি।
-ঠিক আছে । আর নেক্সটাইম তোমার আসার দরকার নাই । খালি কল দিবা ।
নাম্বার তোমার আব্বুর কাছে আছে...
-ঠিক আছে থ্যাংক ইউ বাধন চলে যায়। ....(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।