আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে বিলবোর্ডে ‘উন্নয়নের প্রচারে’ যুবলীগ

মাসের শুরুতে ঢাকায় একই ধরনের বিলবোর্ড যখন উঠেছিল, তখন চট্টগ্রামের বিলবোর্ডে ছিল যুবলীগ নেতাদের ‘নামের প্রচার’।
এবার সরকারের উন্নয়নচিত্রের বিলবোর্ডের প্রচারে কারো নাম না থাকলেও যুবলীগ নেতারাই এর তদারক করছেন বলে সরকার সমর্থক সংগঠনটির কর্মীরা জানিয়েছেন।
তবে নগর যুবলীগ আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুবলীগ নয়, আমার পক্ষ থেকে ব্যানার লাগানো হচ্ছে। ”
যুবলীগ নেতা বাচ্চু চট্টগ্রাম বিলবোর্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টাও। অ্যাডভেলী, সাইনী আর্ট, ওয়ান্ডার ভিউ, গ্লোবাল মিডিয়া ও সুপার সাইন নামের পাঁচটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিক তিনি।


আগামী বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরে যাচ্ছেন। তার আগে গত শনি ও রোববার নগরীর বিমান বন্দর সড়ক ও শেখ মুজিব সড়কে প্রায় ৩০টি বিলবোর্ড লাগানো হয়।
নগরীতে এই ধরনের মোট ৫০টি বিলবোর্ড হবে বলে যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তারা বলেন,‘নিজ দায়িত্বে’ই তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার করছেন।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং, নেভি হাসপাতাল গেইট, বন্দর টিলা, ইপিজেড মোড়, ঝনক প্লাজা, ব্যারিষ্টার কলেজ মোড়, মাইলের মাথা, সল্টগোলা ক্রসিং, নিমতলা মোড়, বারিক বিল্ডিং মোড়, বাদামতলি, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট ও টাইগার পাস মোড়ের বিলবোর্ডগুলোতে উন্নয়নচিত্রের নতুন ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।


নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নগর যুবলীগ আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু এই কাজের তদারক করছেন।
মাহমুদ চট্টগ্রাম বিলবোর্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। স্কাই আর্ট নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা আছে তার।
সরকারের চার বছরের সাফল্যচিত্র তুলে ধরে চট্টগ্রামের টাইগারপাস মোড় থেকে সিমেন্স ক্রসিং পর্যন্ত বিভিন্ন রকম বিলবোর্ড। ছবি:সুমন বাবু/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, বিলবোর্ডের এসব ব্যানার এক সপ্তাহ থাকবে।

তবে পরে সময় বাড়ানোও হতে পারে।
সরকারের চার বছরের সাফল্যচিত্র তুলে ধরে চট্টগ্রামের টাইগারপাস মোড় থেকে সিমেন্স ক্রসিং পর্যন্ত বিভিন্ন রকম বিলবোর্ড। ছবি:সুমন বাবু/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিলবোর্ডের তথ্য কারা তৈরি করে দিয়েছে- জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, “সরকারি উন্নয়নের তথ্য অন্যরা দিলে তো সঠিক হবে না। ধরেন সরকারি দলই তৈরি করে দিয়েছে। ”
বিলবোর্ডে ব্যানার লাগানোর আগে ভাড়া গ্রহণকারীর অনুমতি নেয়া হয়েছে কি না- ফরিদ মাহমুদ বলেন, “অধিকাংশ বিলবোর্ডই খালি ছিল।


“এছাড়া বিলবোর্ডের অনুমতিপত্রে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সুযোগ দেয়ার শর্ত উল্লেখ থাকে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময়ও প্রচারণার জন্য বিলবোর্ড ছেড়ে দিয়েছিলাম,” বলেন বিলবোর্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
এদিকে সরকারের উন্নয়ন প্রচারণায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠান আপন কমিউনিকেশন্স জানিয়েছে, তাদের কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে।
প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী বাবুল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নগরীতে এখনো আমরা কোনো বিলবোর্ডে ব্যানার লাগাইনি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় প্রচারণা কর্মসূচির উদ্বোধনের পর আমরা চট্টগ্রামেও ব্যানার লাগাব।


“আমাদের ব্যানারে তথ্য মন্ত্রণালয় ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর লেখা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম আসছেন তাই হয়ত দলীয় কেউ ব্যানার লাগাচ্ছে,” বর্তমান বিলবোর্ডগুলো নিয়ে বলেন তিনি।
বাবুল জানান, এই প্রচারের অধীনে সব জেলায় তিন দিনব্যাপী মেলা হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের পটিয়া, রামগড়, লামা ও কাপ্তাইয়ে তিন দিনের মেলা হবে।
সরকারের উন্নয়ন প্রচারের এই কৌশলের সমালোচনা করে আসছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

তারা বলছে, গত সাড়ে বছর দেশে কোনো ‍উন্নয়ন হয়নি। সরকার এখন বিলবোর্ডে প্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।   

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.