যে আমি লেখার জন্য জ্বালায় প্রদীপ, তেল ফেলে ঐ জলে। একটি আর্টিকেল পড়ছিলাম ”ইসলাম প্রচারে মনবিজ্ঞানের ভূমিকা”। আব্দুল্লাহ আল-খাতির রহ. এর লেখাটি বঙ্গানুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি কিভাবে তবলীগ ওয়ালারা ইসলামের দাওয়াত দেয়। তাদের অনেকের এই সাইকোলোজিকেল জ্ঞানের অভাবে মাঝে মাঝে তাদের দাওয়াতকে বিরক্তিকর মনে হতো।
তারা যেন এই দায়িত্ব নিয়ে দাওয়াত দিতে এসেছে যে, যে কোনভাবে এই কথাগুলো কাউকে বলতে পারলেই শেষ- এই সঠিক পথে আনর একমাত্র দায়িত্ব আল্লাহ তাআলার। কথা সত্য-যাকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে তাকে তাকে আকৃষ্ট করা অবশ্যই একটি দায়িত্ব-এ মধ্যে পড়ে। বেশির ভাগ সময় দেখা যায় যখন আমি কোন তাড়াহুড়োর মধ্যে আছি কিংবা পরীক্ষা,পড়তেছি তখন তারা এসে হাত ধরে কথা বলা শুরু করে। আমি বিষয়টাতে আদও আগ্রহবোধ করছি কি না কিংবা কতক্ষণ পর্যন্ত শুনতে আগ্রহী সে বিষয়ে তার কোন মনযোগ নাই। এমনকি আমি মনযোগসহকারে শুনছি কি না তা বোঝার চেষ্টা করে না।
আগেই বলে রাখি বিষটা সবার ক্ষেত্রে সত্য নয়, তবে অনেকের ক্ষেত্রে এবং অনেক সময় ই সত্য। যাই হোক এই প্রবন্ধটি পড়ার সময় মনে হলো যারা ইসলামী দাওয়াতী কাজে যুক্ত আছে তাদের জন্য হয়তবা অনেক কাজে দিবে। বিশেষ করে ইসলামের/দাওয়াতের প্রসঙ্গটি কিভাবে শুরু করা যেতে পারে এবং মানসিক কোন কোন দিকগুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে তার একটা দিকনির্দেশনা হয়ত পাওয়া যেতে পারে।
গত ২০ মে ’১৩ তারিখে ঠিক এই জিনিসটাকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে দেখে মুগ্ধ হলাম। একটা চাকরীর পরীক্ষা দিয়ে আমারা সবাই অপেক্ষা করছিলাম ফলাফলের জন্য।
সময়টাও ছিল বেশ দীর্ঘ্য। এরই মাঝে নোটবুকের দিক থেকে মুখ তুলে একজন দাঁড়িওয়ালা লোক বলে উঠল, ”জাকির নায়েকের লেকচার শুনেন। জাকির নায়েকের লেকচারের ভূল বের করেছেন একজন”। কে না আছে যে, একবারের তরে হলেও জাকির নায়েকের লেকচার শুনেনি। আর তাঁর প্রতিভা সম্বন্ধে জানেনা শিক্ষিত সমাজে এ রকম লোকও প্রায় বিরল।
সুতরাং তার কথাটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতই। আর সত্য সত্য তিনি মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারলেনও। তার পরে তিনি আর জাকির নায়েকের প্রসঙ্গে থাকেন নি। তিনি চেষ্টা করেছেন ইসলামের দাওয়াত দিতে। এবং আমরা অনেকেই তাঁর সাথে তাঁর আলোচনায় অংশ নিয়েছি।
ধর্ম আলোচনার সুন্দর একটা পরিবেশ সৃষিট হয়ে গেল। আসলে ধর্ম সম্বন্ধে প্রায় প্রাত্যেক মানুষেরই আগ্রহ আছে, এবং ধর্মভীতিও অছে। শুধু সঠিক সময়ে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলেই দাওয়াতের অনেকখানি কাজ হয়ে যায়। আর হেদায়েত দানের মালিক তো আল্লাহ। (.......আল্লাহ্ তাআলা যাকেই চান নিজের দিকে নিয়ে আসেন এবং যে ব্যক্তি তাঁর অভিমুখী হয় তিনি তাকে (দ্বীনের পথে) পরিচালিত করেন।
আল কোরআন- ৪২:১৩)
বি:দ্র: আমি কোন তাবলীগের ভাইদের মনে আঘাত দেওয়ার জন্য কথাগুলো বলিনি। আমি তাঁদেরকে অনেক ভালও বাসি। কেননা একনও তাঁদের কল্যানেই দেশে-বিদেশে ইসলামী দাওয়তের কাজ চলছে এবং তাঁদের হাতে অনেকে নওমুসলিমও হচ্ছে। আল্লাহ্ আমদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।