চকিত চাহনী সেই হৃদয় দহনের ক্ষণ প্রতিটি প্রভাতে
একটা পরিত্যক্ত ঘটনার পিছু নেয়ার কোনো মানে নেই;
অভিনব ছুতোর অতীতকে পেছনে ফেলে বলা হলো যেই:
ভুল, ভুল, ভুল- ভুলে যাও। ফুল ঝরার জন্যই ফুটে থাকে,
নিয়মের ঘূর্ণায়নে ছুড়তে হয় তাকে জীবনের এ বাঁকে।
আমার কী সময় হলো ভুলে যাওয়ার? মন্দ্রিত সে বাসনা!
যেখানে গড়ে ওঠেছিল শরীরী স্বপ্নের মনো তাজমহল,
চলেছিল রাতভর কথার ভীড়ে তারায় তারায় টহল,
চাঁদ আলো দিয়ে বলে গেছে, আগামী পূর্ণিমা রাতে এসো ফের
দেবো স্বপ্ন সুখ আর মুঠো মুঠো নির্জনতা তার ছেয়ে ঢের-
আমি যে সে অপেক্ষায় আজো আছি ভোর অবধী অপেক্ষমান
সাথী করে কবিতা- শব্দের মিছিল, উপমা- সময়ের গান।
মাঝে মাঝে দক্ষিণের বাতাসে স্মৃতির উস্কানি, আগুন জ্বলে,
ব্যর্থ প্রণয়ের হাতপাখা বাতাসে উড়িয়ে চলে যেতে বলে-
স্মৃতির প্লাবনে অপূর্ণতা; ভুলে যেতে হবে তাকে, ভুলে যাও।
হৃদিত কুটুমের খোঁজে ভিন দেশ পানে ভাসিয়ে চলো নাও।
অপূর্ণতা তাতে রয়ে গেলো, কোনো শর্তবিহীন হারানো ভয়
যাবে যাক, ভালোবাসা নয়, ব্যাকুল জেদের কাছে নত হই;
নষ্ট জীবনের পেছনে আমি কী দানব নাকি পুরুষ নই?
আমাকে টলতে হবে, চলতে হবে কারো কথায়, গেয়ে যেতে
হবে গান- কোনো মানবীর বুকবাঁধা যৌবনের স্বাদ পেতে!
আমি চলি না, টলি না, শুনি না গান তাই পাঁজরে কষ্ট বাঁধি;
বুকের ভেতরে যে নদী তার ঠাই নেই বলে অঝরে কাঁদি।
কে গো কুহেলিকা! আমায় দিয়ে গেলে শরাবের ধোঁয়াটে ঘ্রাণ,
বেলা শেষের আগে মাঝপথে অবহেলায় কেড়ে নিলে প্রাণ,
পলাশ-কাঠালী আবহ ঘুরে থামাতে দিলে গোলাপের কাঁটা-
অপরুপ এ ব্যথার দানে, নৃত্য-নাচে, পুকুর হয়েছে ঘাটা;
সেখানে দেখো ঢোঁয়াস লিলি বুক চিতিয়ে আপন মনে দুলে;
বেলকনির ঐ দাঁড়িয়ে থাকা কষ্ট গুলো ভুলের ফোটা ফুলে।
১৪ অক্টোবর ২০০৯
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।