একাকিত্ব বাড়ছে তরুণদের
পুরো পৃথিবীতে টেলিভিশন দেখে না এমন তরুণের সংখ্যা নগন্য। আজকাল সঙ্গে যোগ হয়েছে কম্পিউটার। গেমস নিয়েও তরুণ তরুণীদের উৎসাহ প্রবল। এমন অনেক তরুণ পওয়া যাবে যারা তাদের অবসরের সময়গুলো কাটান টিভি দেখে আর কম্পিউটার গেমস খেলে। টেলিভিশন দেখা বা গেমস খেলা কোনোটাই খারাপ কিছু নয়।
কিন্তু সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে তরুণ-তরুণীদের একটা বড় অংশ ভুগছেন একাকিত্বে। আর তাদের একাকিত্বের জন্য অনেকটাই দায়ী হচ্ছে টেলিভিশন আর কম্পিউটার গেমস। জরিপে বলা হয়, অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীজুড়ে পুরো একটা জাতি তৈরি হবে যারা টিভি আর গেমসের কারণে এককিত্বে ভুগছেন। আর সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্যটি হচ্ছে এদের একাকিত্বের শুরুটা হচ্ছে শিশুকাল থেকেই। অর্থৎ আজকে যারা বয়সে তরুণ এবং এখন টিভি গেমসের একাকিত্বে আবদ্ধ, তাদের সবারই অভ্যাসের শুরু শৈশবে।
একটা ছেলে বা মেয়ে যে বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে খেলে বেড়াবে মাঠে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াবে এখানে ওখানে সে বয়সটাতেই তারা চলে যাচ্ছে বিভিন্ন রকম গেমস খেলার জন্য নিজের ঘরে আর দরজা বন্ধ করে শুরু করে দিচ্ছে খেলা, অথবা রিমোট কন্ট্রোলের বোতামে ঘুরছে নানা সব চটকদার চ্যানেল। ফলে তারা ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তাদের সোসাইটি থেকে। শিশুদের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায় শিশুদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই ভুগছে এমন সমস্যায়। জরিপে আরও জানা যায়, প্রায় এক-চতুর্থাংশ তরুণ-তরুণীও একই সমস্যার আবর্তে রয়েছ। তরুণদের মাঝে আবার গেমসের চেয়ে টেলিভিশন দেখাটা বেশি আগ্রহব্যঞ্জক হয়ে দাড়িয়েছে এনালিস্ট মিনটেলের আয়োজন করা জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে।
মিনটেলের জরিপে আরও জানা যায়, প্রায় ৩৬% বাবা মা ও ছেলেমেয়েদের বাইরে খেলা বা ঘুরতে যাওয়ার বদলে টিভি গেমসকে বেশি উৎসাহিত করেন। কিছু কিছু বাবা-মা আছেন যারা ছেলে মেয়েদের এমন একা হয়ে যাওয়াটা লক্ষ্য করছেন না। জরিপের ফলাফলে বলা হয় যে, স্কটিশ বাবা-মা তাদের সন্তানদের বাইরে খেলাধুলার ব্যাপারে বেশি উৎসাহিত করেন। আর লন্ডনের ৪১% বাবা মা আছেন যারা চান তাদের সন্তানরা যেন ঘরে না থেকে বাইরে বের হয়। আর ইংল্যান্ডের এক-পঞ্চমাংশ শহুরে বাবা মা আছেন যারা তাদের সন্তানদের ব্যাপারে উদাসীন মন।
বরং তারা তাদের ছেলে মেয়েদের বাইরে খেলাধূলার ব্যাপারে উৎসাহিত করছে।
তথ্য সূত্রঃটাইমস অব ইন্ডিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।