প্রথমবারের মতো নিলামের মাধ্যমে ঢাকা লিগের দলবদল হয়েছে রোববার। টাকা কমে যাওয়ায় এবং দল বাছাইয়ের স্বাধীনতা না থাকায় শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে ছিলেন ক্রিকেটাররা। পরে কেবল এক মৌসুমের জন্য লটারির মাধ্যমে দলবদলে রাজি হন তারা।
নিলামে গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ভিক্টোরিয়ার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দলে পেয়েছে সেবার রেলিগেশন ম্যাচে খেলা কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। তার ভিক্টোরিয়া সতীর্থ তামিমের নতুন ঠিকানা ব্রাদার্স ইউনিয়ন-যারা ছিল সুপার সিক্সের বাইরে।
সেন্ট লুসিয়া জুকসের হয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলে সোমবার দেশে ফেরার পর তামিমের প্রশ্ন, “বোর্ড আসলে কাদের জন্য, ক্রিকেটারদের নাকি ফ্র্যাঞ্চাইজি আর ক্লাবগুলোর জন্য?”
“বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ক্রিকেটারদের টাকা কমিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছিল, বিসিবি তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। এবার ক্লাবগুলোও একই দাবি জানিয়েছে আর বিসিবি তা মেনেও নিয়েছে! সুতরাং প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। ”
“আইপিএলকে অনুসরণ করতে চাওয়া খারাপ কিছু নয়। কিন্তু সেখানে স্থানীয়রাই বেশি টাকা পায় আর তরুণদের উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু আমাদের এখানে বিপিএলে বিদেশিরা বেশি টাকা পায়।
মুশফিক, সাকিবের মতো খেলোয়াড়রা টাকা পায় হাজারে, আর গড়পরতার অনেক বিদেশি খেলোয়াড় টাকা পায় লাখে। এটা কতটা যুক্তি সঙ্গত, প্রশ্ন বিস্ফোরক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের।
লিগের দলবদলে নতুন পদ্ধতির বিরোধীতার কারণ হিসেবে তামিম বলেন, “আমাদের এবং ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এটা সমর্থন করিনি। ”
“শ্রীলঙ্কায় ভালো বেতনের জন্য বোর্ডের সঙ্গে দর কষাকষির কাজটা করে জয়াবর্ধনে, দিলশানের মতো জেষ্ঠ ক্রিকেটাররা। আর বেশি দিন খেলবে না, তাই তাদের এগুলো করার দরকার নেই-তবুও ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের কথা ভেবে তারা এটা করেন।
আমাদেরও হয়তো তাই করতে হবে। ”
এর আগে নিলামের মাধ্যমে দলবদল পদ্ধতিতে নিজেদের অনীহার কথা জানিয়েছেন বতর্মান ও সাবেক দুই অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।