আর কাদায় ভরা মনের মধ্যে ........
একমাস হল সিগারেট ছেড়ে দিছি, এ এক আশ্চর্য ব্যাপার। বেশকিছু দিন হল চেষ্টা করতেছিলাম ছেড়ে দেওয়ার। তারপর গতমাসে অন্য এক অনুভূতি হল। সম্ভবত অগ্রণী ব্যাংকের পরীক্ষা ছিল, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভেতরে দাড়িয়ে আছি এক বাগানের পাশে, তো বাগানে দেখি ফুলগাছগুলো সব পুরুস্ট, স্বাস্থবান সব ফুল ফুটেছে। মালী আবার গাছে সার পানি দিচ্ছে, তো এইসব দেখতে দেখতে ভাবলাম, একটা সামান্য ফুল গাছ তারো এত যত্ন, এত সার দিতে হয়, আর আমাদের এই শরীর, একটা এতবড় ওয়ার্কিং মেশিন তাতে কীনা আমরা বিষ ঢালতেছি!!
ফুসফুসের কি অবস্থা দাড়ায় সেটা আমরা সবাই জানি
পকেটে একটা সিগারেট সহ একটা প্যাকেট ছিল, সেটা ফেলে দিলাম।
ঐ রকম ঘন্টাখানেক দাড়িয়ে থাকলে যে ২-৩ টা টানতাম তাও আর টানলামনা। আমরা যারা টানতাম তারা জানি যে সিগারেট ছাড়াটা কতটা কঠিন। শরীরের ভেতর এমন এক দাবী উঠে যে অগ্রাহ্য করা অসম্ভব, কত টাকা খরচ হল এটা কোন ব্যাপার তখন মনে হয়না কত ক্ষতি হচ্ছে তাও কোন ব্যাপার না। একেবারেই যে আমরা জানিনা কি ক্ষতি হচ্ছে তা তো না। তাও একবার দেখে নিন।
লিঙ্ক
সত্যি বলতে আগের চেয়ে অনেক ভাল আছি। আগের চেয়ে ভাল ঘুম হচ্ছে, কম ক্লান্তি অনুভব করছি, আগের চেয়ে বেটার ভাবে শ্বাস নিতে পারছি। আগে মাথার ভেতরে টনটন করতো, আর ভাবতাম সিগারেট খেলে এই ভাবটা থাকবেনা। আর সর্দি কাশির কথা বাদ ই দিলাম।
এই ফ্যাক্টসের দিকে একটু লক্ষ করুন
লিংক
পুরা শরীরে উপর এফেক্ট
অনেকেই সিগারেট খাচ্ছেন, কাউকে বলতে শুনিনি এই ধুমপান করে তিনি ভাল আছেন, ঐ যে নেশা, আর কারও কারও ক্ষেত্রে এটা বেপোরোয়া মুড নিয়ে আসতে সাহায্য করে ফলে নাকি কাজ ভাল হয়!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।