আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাবিতেছি

চেনা রূপ , প্রতিদিন,

অনেক দিন ধরিয়া কিচ্ছু লিখিবার মতো প্লট খুঁজিয়া পাইতেছি না। মনে হইতেছে ভাঁড়ে মা ভবানী চলিয়া আসিয়াছে। ঘটে যাহা অবশিষ্ঠ ছিল তাহা দিনে দিনে গড়ের মাঠ রুপধারন করিতেছে। কি লিখিব? রাজনীতি লইয়া লিখিবার ইচ্ছে আমার কোনদিনও ছিলো না, আজিও নাই। উহা লিখিবার বিশিষ্ঠ বুজুর্গেরা এখনও বর্তমান।

তাহারা বর্তমান রাজনীতি লইয়া কঠিন কঠিন তর্ক-বিতর্কে চায়ের স্টলের আড্ডা হইতে বাড়ির ডাইনিং টেবিল পর্যন্ত কাঁপাইয়া তোলেন। ভার্চুয়ালি একে অপরকে গালাগালি করিয়া মা বাপের গুষ্টি উদ্ধার করিয়া ছাড়েন। আমরা সাধারন ছলিমদ্দি দুরে দাড়াইয়া আল্লা আল্লা নাম জঁপি। যে ভুমিকম্প চলিতেছে , কখন জানি ঢাকা শহরের ভেজাল সিমেন্টীয় ঘরবাড়ি হুড়মুড় করিয়া ভাঙ্গিয়া পড়ে। কি পাইয়াছি আমরা? এ পর্যন্ত বহুত তো দেখা হইলো।

ক্ষমতার হাত তো বেশ কয়েকবার বদলাইয়াছে। জনগন দেখিয়াছে তাহার জন্য কে কি করিতে পারে। মাগার একটাকা দান করিয়া সত্তর টাকা আজিও মিলিলো না। এদিকে পাছার ছাল চামড়া বলিয়া কিছু থাকিতেছে না। রহিমের বেটী করিমের বউ এর ঝগড়া চলিতেছে।

আমরা নাদান ফ্রীমে সিনেমা দেখিতেছি । এই একটা কাজ আমরা ভালো পারি। যতই হোক আমরা রসিক জাতি তো! গল্প মনে পড়িয়া গেলঃ- দুই সতীনের মিল নাই। স্বামী তাহাদ্বিগের মধ্যে রান্না করিবার দ্বায়িত্ব ভাগ করিয়া দিয়াছেন। আজ এ রাঁধিবে তো কাল ও।

বড়জনের রান্না করিবার দ্বায়িত্ব যেদিন থাকে ছোটজন লুকাইয়া তরকারীতে লবন ঢালিয়া দিয়া আসে। ছোটজনের সময় বড়জনও অনুরুপ। স্বামী পড়িয়াছেন বিপাকে। কোনদিনও বাড়িতে খাইতে পারেন না । তরকারীতে নুন থাকে বেশী।

কি আর করিবেন। ধরিয়া মাইর দেন। মাগী, ঠিক করিয়া রাঁধিতে পারস্ না, তোকে বিবাহ কে দিয়াছে? মাইর খাইয়া চুপ করিয়া থাকে মাগার চরিত্র বদলায় না। অতঃপর স্বামী রুপ বদলাইলেন। বড়জন সম্মুখে দাড়াইয়া আছে, স্বামী মুখে তরকারী তুলিলেন।

থুক্ করিয়া তরকারী ফালাইয়া দিয়া বলিলেন- প্রতিদিনই তরকারীতে লবন হয় বেশী, আজ মোটেও লবন হয় নাই। খাওয়া যায় এমনে!! কে রাঁধিয়াছে? বড়জনের তো কম্প শুরু হইয়া গেল। বড়জনের এই অবস্থা দেখিয়া ছোটজন খুশী হইয়া হাসিমুখে দরজার অন্তরাল হইতে বলিল- তাও ভালো। ভাগ্যিস, লুকাইয়া আমি একটু লবন দিয়া আসিয়াছিলাম। তা না হইলে তো------ স্বামীর কাছে সব পরিস্কার হইয়া গেলো।

কিন্তু কি আর করিবেন? উহারা যে নিজ স্ত্রী। পাঠক কি মনে করেন। স্বামীর কি অন্য কিছু করা উচিৎ ছিলো? বিঃ দ্রঃ এই লেখাটি আগেও প্রকাশ হয়েছিলো ১১/০৩/১০ তারিখে। কিন্তু তখন প্রতম পাতায় আসতে পারেনি। তাই আজ আবার।

বিঃ বিঃ দ্রঃ-- আরও কয়েক জায়গায় প্রকাশিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।