₩℮ℓ¢☻₥℮ Ŧ◙ ღẙ Ħє†† ☠
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সরকারি অফিস ও বাসভবনের নাম বঙ্গভবন। ঢাকায় অবস্থিত এ বঙ্গভবনে থাকেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলেও রয়েছে একটি 'বঙ্গভবন'। শিবিরের দুই ক্যাডারের কক্ষের নাম এটি। হল প্রশাসন, প্রতিপক্ষের ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্র্থীদের ধোঁকা দিতেই তারা কক্ষের এ নামকরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হলের আবাসিক ছাত্ররা জানান, বেশ কয়েক মাস আগে হলের প্রথম ব্লকের চার তলার ৪০২ নম্বর কক্ষের নাম রাখা হয় বঙ্গভবন। শিবির ক্যাডার দেলোয়ার হোসেন ও আবু বকর এ নামকরণ করে। দেলোয়ার হোসেন আরবি এবং আবু বকর ভূগোল বিভাগের ছাত্র।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গভবন নাম শুনলে স্বভাবত মনে হয় এখানে ক্ষতাসীন দলের ছাত্ররা থাকেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় এ কক্ষকে কেউই শিবিরের কক্ষ হিসেবে দেখে না।
কিন্তু এই নামের আড়ালে তারা হলে ছাত্রশিবিরের সক্রিয় রাজনীতি করত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার পর থেকে তারা দুজনই পলাতক রয়েছে।
হলের সাধারণ ছাত্ররা আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো এখনো শিবিরমুক্ত হয়নি। কেননা শিবির এত সুসংগঠিত যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তর থেকে তাদের এত সহজে বিতাড়িত করা সম্ভব হবে না।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ও মাদার বখ্শ হলের আবাসিক ছাত্র নাজমুল হুদা বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাই মনে করেন ছাত্রলীগের ভেতরে শিবির আছে, সেখানে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে শিবির থাকা খুবই স্বাভাবিক।
হলের আবাসিক ছাত্র ও ছাত্রলীগকর্মী ওবায়দুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগকে বিভ্রান্ত করার জন্য শিবিরের ক্যাডাররা বঙ্গভবন লিখে রেখেছে। তিনি বলেন, 'এর আগেও তারা এ রকম অনেক হীন কৌশল অবলম্বন করেছিল। কিন্তু আমাদের সতর্ক দৃষ্টির কারণে বারবার তা ব্যর্থ হয়েছে। '
হল প্রাধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন হাওলাদার কলের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি এবং এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।