আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিবিরকর্মী সন্দেহে আটকদের ছাড়াতে ছাত্রলীগের তদবির

চট্টগ্রামে ছাত্রশিবির পরিচালিত কোচিং সেন্টারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে সন্দেহজনকভাবে ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের কয়েকজনকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ওই নেতাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।
আজ শনিবার দুপুরে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন কিং অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টার থেকে শিবিরকর্মী সন্দেহে ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়। সেখানে শিবির পরিচালিত প্রবাহ কোচিং সেন্টারের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছিল।

তারা সেখানে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল বলে পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবদুর রউফ অভিযোগ করেন। আটক লোকজনের মধ্যে কিছু এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীও রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটকের পর থানায় এনে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এ সময় নগর আওয়ামী লীগের নেতা আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দিদারুল আলম গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। দিদারুল এ সময় ওসির কাছে জানতে চান, ‘আমার এসএসসি উত্তীর্ণ ভাইপোকে কেন আটক করেছেন? তাকে ছেড়ে দেন।

আমি নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। ’
এ সময় কয়েকজন উপপরিদর্শক দিদারকে কর্তব্যরত কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে বসিয়ে রাখেন। এর কিছুক্ষণ পর বাকলিয়ার চিটাগং কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ওসমান গনি থানায় যান। এ সময় পুলিশ তাঁকে ফটকে বাধা দিলে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তিনি পুলিশের এক সদস্য ওসমানের ওপর চড়াও হন।


সংবাদ পেয়ে আজম নাছিরের অনুসারী নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হাসান মুরাদ ওরফে বিপ্লব আরও কয়েকজনসহ থানায় যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য নেতারা ওসির সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হন। ছাত্রলীগের নেতাদের কেন মারধর করা হলো, তা উত্তেজিতভাবে ওসির কাছে জানতে চান হাসান।
থানায় গিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা কেন পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হলো, জানতে চাইলে হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ভাইপোকে আটক করেছে বলে দিদার থানায় এসেছিল। কিন্তু ছাত্রলীগ বলে তো পুলিশ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারেন না।

এ ছাড়া ওসমানকে এভাবে মারার কোনো অধিকার কি পুলিশের আছে। তবে বিষয়টি দুই পক্ষের ভুল-বোঝাবুঝিতে হয়েছে। আমরাও চাই শিবিরের নাশকতা বন্ধ হোক। ’
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেরা যেটা করেছে সেটা দুঃখজনক। আমরাও কোনো নিরপরাধ ছাত্রকে রাখব না।

কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের সময়টা তো দিতে হবে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাহ কোচিং সেন্টারের আড়ালে আগামীকালের হরতালের সময় নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল শিবির। তাই আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছিল। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.