জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
মানুষকে প্রতারণা করার কত কত অভিনব বুদ্ধি করে প্রতারকচক্র। সেই সব বুদ্ধির সঙ্গে অধুনা যোগ হয়েছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারণা করা হচ্ছে।
সহজ সরল অসহায় মানুষ এই সব প্রতারকচক্রের হাতে জিম্মি হয়ে হারাচ্ছে সর্বস্ব। সেই রকম একটি ঘটনা :
ফতুল্লায় অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলিংএর দায়ে মহিলা গ্রেফতার
ফতুল্লা প্রতিনিধি :
ইলেট্রিক মিস্ত্রী মহসিনকে একটি ঘরে নিয়ে আটক করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক উলঙ্গ করে আগেই তৈরী করে রাখা উলঙ্গ এক যুবতীর সাথে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলিং এর চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ চক্র।
এ ছবি ইন্টারনেটে দেয়ার হুমকি দিয়ে মহসিনের বড় ভাই মান্নানের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তার ভাইকে ছাড়িয়ে নিতে বলে। ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ওৎ পেতে সংঘবদ্ধ চক্রের এক সদস্যাকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ঘটনার শিকার মহসিন জানায়, গত সোমবার বিকেলে দেওভোগ এলাকার রহমানের ছেলে মহসিন পঞ্চবটি থেকে রিকশাযোগে নারায়ণগঞ্জ আসার পথে মাসদাইর গাবতলী বাস ষ্ট্যান্ডের সামনে ৮/১০ জন মিলে তার গতিরোধ করে। পরে তাকে জোর পূর্বক নিয়ে যায় মাসদাইর এলাকার পারুলের বাড়িতে।
পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে উলঙ্গ করে এবং পাশের রুম থেকে এক যুবতীকে উলঙ্গ অবস্থায় ডেকে এনে তার সাথে রেখে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে। পরে মহসিনের বড় ভাই মান্নানকে মোবাইল ফোনে বলে তোমার ভাই অসামাজিক কাজ করার সময় আমরা ছবি তুলে মেয়েসহ আটক রেখেছি। সন্ধ্যার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে এসে তাকে ছাড়িয়ে নিতে হবে। আর না হলে লাশ নিয়ে যেতে হবে। এ কথা জানিয়ে মহসিনকে সিদ্ধিরগঞ্জের এম সার্কাস এলাকায় নিয়ে যায়।
আর টাকা নিয়ে তার ভাইকে চানমারীতে আসতে বলে। এ খবর পেয়ে মান্নান তার ভাইকে উদ্ধারের জন্য ফতুল্লা থানা পুলিশের সহায়তা চায়। পুলিশ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি ধরার জন্য দাবিকৃত টাকা দেয়ার কথা বলে একটি খালি ব্রিফকেস হাতে দিয়ে মান্নানকে পাঠায় এবং সাদা পোশাকে পুলিশ চারিদিকে ওৎ পাতে। টাকার ব্রিফকেস নেয়ার সময় পুলিশ প্রতারকচক্রের সদস্য ইয়াসমিন হাওলাদার (২০) নামক এক যুবতীকে আটক করে।
এ দিকে শহরের এম সার্কাস এলাকায় মহসিনকে আটকের দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে এগিয়ে যায়।
অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে চক্রের সদস্যরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মহসিন ফিরে এসে নিজে বাদী হয়ে এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানায় এজাহার দায়ের করে। থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই শফিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযানে বের হয়েছে। #
এই প্রতারণার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট। আধুনিক এই প্রযুক্তিকে মানুষের উপকারে ব্যবহার করার বদলে মানুষকে প্রতারণার কাজে কত সহজেই না ব্যবহার করা হচ্ছে।
আসলে প্রতারকচক্রের মাথায় অনেক অনেক কুবুদ্ধি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।